ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

কোহলি ফর্মে ফিরতেই রাহুলের জায়গা নিয়ে টান পারাপারি !

[ad_1]

এশিয়া কাপ ২০২২ মরশুমে নিজের হারানো ফর্ম ফেরত পেয়েছেন বিরাট কোহলি। এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে তিনি ৫ ইনিংসে ২৭৬ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৭। তবে পাকিস্তানের ওপেনার মহম্মদ রিজওয়ান ৬ ইনিংসে মোট ২৮১ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১১৭।

পাশাপাশি শতরানেও খরাও কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি ৭১তম শতরানের খরা কাটিয়ে ফেলেছেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ৬১ বলে ১২২ রানের একটা বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এটা আবার তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ সেঞ্চুরি।

এই ম্যাচটা যেহেতু সম্মানরক্ষার ছিল, সেকারণেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। তাই এই ম্যাচে বিরাটের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন কেএল রাহুল।

তিনিও এই ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্স করেননি। ৪১ বলে তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছিল ৬২ রান। আর এমন পারফরম্যান্সের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে কি আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে বিরাট কোহলিকেই ওপেনিং স্লটে নিয়ে আসা উচিত?

রোহিত শর্মার সঙ্গে তিনি যদি ওপেন করতে নামেন, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্কোরবোর্ড যে চড়চড়িয়ে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

সেক্ষেত্রে কেএল রাহুলকে মিডল অর্ডারে নেমে আসতে হবে। অনেকে তো আবার এও মনে করছেন যে বিরাট কোহলি যদি ওপেনিং স্লটে ফিরে আসেন, সেক্ষেত্রে রাহুলের নাম প্রথম একাদশ থেকে বাদও পড়তে পারে। কারণ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি হাফসেঞ্চুরি করলেও ধারাবাহিকভাবে তিনি কিন্তু একেবারে ব্যর্থ।

আসুন তাহলে আপনাদের একটা পরিসংখ্যান দিই, যেটা দেখে আপনিও মনে করবেন যে বিরাট কোহলিকেই ২০২২ টি-২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ওপেন করানো উচিত। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে বিরাট কোহলি ৯ বার ওপেন করতে নেমেছেন।

আর এই স্লটে বিরাটের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এসেছে ৪০০ রান, গড় ৫৭-র কাছাকাছি। আর স্ট্রাইক রেট ১৬১। ইতিমধ্যে তিনি দুটো হাফসেঞ্চুরি এবং একটি শতরান করেছেন। ফলে ওপেনার হিসেবে বিরাট যে যথেষ্ট বিধ্বংসী হতে পারেন, তা আর আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না।

তবে IPL পরিসংখ্যান দেখলে তো আপনি আরও চমকে যাবেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে বিরাট কোহলি মোট ৮৪ ইনিংস খেলেছেন। এরমধ্যে ২০টি হাফসেঞ্চুরি এবং পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে।

ব্যাটিং গড় ৪১ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৪-এর কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। এই পরিসংখ্যানের পর কীভাবে বিরাটকে ওপেনিং স্লট ছেড়ে দেওয়া হবে না? জবাব আপনারাই দেবেন।

এবার ‘ওপেনার’ কেএল রাহুলের কথায় আসা যাক। কর্নাটকের এই ব্যাটারও কিন্তু ওপেনিং স্লটে কিন্তু খুব একটা খারাপ পারফরম্যান্স করেননি। দেশের হয়ে তাঁর ব্যাটিং গড় ৩৮ এবং স্ট্রাইক রেট ১৩৮-এর কাছাকাছি।

কিন্তু সম্প্রতি তাঁর ব্যাটে যে ফর্ম দেখতে পাওয়া গিয়েছে, সেটা একেবারেই আশানুরূপ নয়। ২০২১ সালের শুরু থেকে তিনি দেশের হয়ে মোট ১৬টি টি-২০ ম্যাচে ওপেন করার সুযোগ পেয়েছেন।

স্ট্রাইক রেট ১২৮-এর কাছাকাছি। আধুনিক টি-২০ ক্রিকেটে এমন রেকর্ড সত্যিই চিন্তার বিষয়। সেইসঙ্গে তাঁর ব্যাটিং গড়ও। সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১২২। আফগান বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করার পরেই তাঁর এই স্ট্রাইক রেট কিছুটা হলেও উন্নত হয়েছে।

এবার আসা যাক, কেএল রাহুলের IPL পরিসংখ্যানের কথায়। গত তিনটে মরশুম ধরে তিনি প্রতিবারই ৬০০-র উপরে রান করেছেন। কিন্তু স্ট্রাইক রেট ১৩৫-এর আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।

আর এটাই সমর্থকদের বারবার হতাশ করছেন। তবে ওপেনিং স্লটে তিনি কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন, সেটাও কিন্তু আমরা সকলেই জানি। পঞ্জাব সুপার কিংস হোক কিংবা লখনউ সুপার জায়ান্টস, প্রতিবারই তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।

তবে টি-২০ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ভারতের সামনে আপাতত ছ’টি টি-২০ ম্যাচ রয়েছে। বিশ্বকাপের মূলপর্ব শুরু হওয়ার আহে ভারত দুটো ওয়ার্ম আপ ম্যাচও খেলবে।

শেষ মুহূর্তের পরিবর্তনে রাহুল দ্রাবিড় এবং রোহিত শর্মা কি সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কোহলিকে ওপরে তুলে আনতে পারবেন? তাহলে প্রশ্ন হল, কেএল রাহুলকে কোথায় খেলানো হবে। কারণ ২০১৮ সালের IPL টুর্নামেন্টের পর আর কখনও রাহুল মিডল অর্ডারে ব্যাট করেননি।

[ad_2]

Leave a Reply