ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

কোহলি সূর্যের আগুনে পুড়লো অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপের আগে জাত চিনিয়ে সিরিজ জিতলো ভারত

কোহলি সূর্যের আগুনে পুড়লো অস্ট্রেলিয়া, বিশ্বকাপের আগে জাত চিনিয়ে সিরিজ জিতলো ভারত

[ad_1]

ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজের শেষ ম্যাচটি আজ হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এতে ভারত ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয়।

এই ম্যাচে ভারত একটি পরিবর্তন করেছে। ঋষভ পান্তের জায়গায় ভুবনেশ্বর কুমারকে খাওয়ান তিনি। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও একটা পরিবর্তন এনেছে। তিনি শন অ্যাবটের জায়গায় জোশ ইঙ্গলিসকে খাওয়ান।

এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক শর্মা। তবে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এবং ক্যামেরন গ্রিন প্রথম উইকেটে ৪৪ রানের জুটি গড়ে তোলায় তার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হয়।

ফিঞ্চ আউট হওয়ার সময় এই জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। একটি চারের সাহায্যে ৬ বলে ৭ রান করেন ফিঞ্চ। তার আউটের পর ব্যাট করতে আসেন স্টিভ স্মিথ।

এদিকে গ্রিন তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩৫তম ওভারে। এর জন্য তিনি 19 বল মোকাবেলা করেন। তবে হাফ সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে না পেরে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন।

২১ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫২ রান করেন সবুজ। তার আউটের পর ব্যাট করতে নামেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে না পেরে রান আউট হন তিনি।

১১ বলে একটি চারের সাহায্যে ৬ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। তার আউটের পর ব্যাট করতে নামেন জশ ইঙ্গলিস। যদিও স্টিভ স্মিথকে আউট করেন যুজবেন্দ্র চাহাল।

১০ বলে একটি চারের সাহায্যে ৯ রান করেন স্মিথ। তার আউটের পর ব্যাট করতে আসেন টিম ডেভিড। তার সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন ইঙ্গলিস।

ইঙ্গলিসকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন অক্ষর। ২২ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন ইংলিশ। শেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ম্যাথু ওয়েড আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন।

তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে না পেরে ৩ বলে ৪ রান করে আক্সারের বলে চলে যান তিনি। তার আউটের পর ব্যাট করতে নামেন ড্যানিয়েল সামস।

ডেভিড স্যামসের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৬৮ (৩৪) রানের জুটি গড়েন। ডেভিডকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন হর্ষল। ২৭ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ রান করেন ডেভিড।

শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দল 20 ওভারে 7 উইকেট হারিয়ে 186 রান করে। স্যামস 20 বলে 28 রানে অপরাজিত থাকেন একটি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে। কামিন্স 0(1) রানে অপরাজিত থাকেন।

ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। অক্ষর ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল ও হর্ষাল প্যাটেল।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দলের শুরুটা ভালো হয়নি কারণ কেএল রাহুল ৪ বলে ৪ রান করে স্যামসের বলে আউট হন। তার আউটের পর ব্যাট করতে আসেন বিরাট কোহলি।

তবে কিছুক্ষণ পর রোহিত শর্মাকে আউট করেন কামিন্স। অধিনায়ক রোহিত 14 বলে 2 চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে 17 রান করেন। তার আউটের পর ব্যাট করতে নামেন সূর্যকুমার যাদব।

তৃতীয় উইকেটে বিরাটের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। এই জুটি ভাঙেন জোশ হ্যাজলউড যখন আউট হন সুরিয়া। সূর্য ৩৬ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রান করেন।

তার আউটের পর ব্যাট করতে মাঠে নামেন হার্দিক পান্ডিয়া। কোহলি তার সঙ্গে ৪৮ (৩২) রানের জুটি গড়েন। বিরাটকে আউট করতে গিয়ে এই জুটি ভেঙে দেন স্যামস।

বিরাট ৪৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন। তার আউটের পর ব্যাট করতে আসেন দিনেশ কার্তিক। কার্তিক যখন মাঠে নামেন, তখন ভারতের প্রয়োজন ছিল 4 বলে 5 রান।

শেষ পর্যন্ত 19.5 ওভারে 4 উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। হার্দিক ১৬ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। একই সঙ্গে এক বলে এক রান করে অপরাজিত থাকেন কার্তিক।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ড্যানিয়েল সামস। প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউড একটি করে উইকেট পান।

[ad_2]

Leave a Reply