[ad_1]
হোম অফ ক্রিকেট’ ওরফে ‘লর্ডস’-এ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মানকাডিং করেছেন ভারতের স্পিনার দীপ্তি শর্মা ! যা নিয়ে বাইশ গজে হইচই পড়ে গিয়েছে। সদ্যসংশোধিত আইসিসি-র (ICC) নিয়মে মানকাডিং কিন্তু বৈধ।
ফলে দীপ্তি নন-স্ট্রাইকার প্রান্তের চার্লি ডিনকে যেভাবে রান আউট করেছেন, সেখানে কোথাও ভুল নেই। তবে সাহেব ক্রিকেটাররা ভারতীয়দের বিঁধতে কোনও সুযোগই হাতছাড়া করে না।
প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক নাসের হুসেন থেকে শুরু করে অ্যালেক্স হেলস যখন মানকাডিংয়ের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তবে বাংলার ক্রিকেটারের রক্ষারকবচ হয়ে মাঠে নেমেছেন দেশের সিনিয়র স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ।
গতকালই চেন্নাইয়ের তারকা স্পিনার দীপ্তিকে সমর্থন করেছিলেন। অশ্বিন টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আরে আমাকে কেন ট্রেন্ডিং করছেন। আজকের রাত তো আরেক বোলিং হিরোর মুহূর্ত।’
দীপ্তির নাম না করে তাঁকে খোঁচা দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার স্যাম বিলিংস। জেমস অ্যান্ডারসনকে ট্যাগ করে বিলিংস লিখেছিলেন, ‘এমনটা করলে তুমি ক’টি উইকেট পেতে পারতে জেমস!’ এরপরেই বিলিংসকে অশ্বিন বুঝিয়ে দেন যে, কত ধানে কত চাল! বিলিংসের ট্যুইট ধরে অশ্বিন লেখেন, ‘আমি তো বলব এটা দারুণ আইডিয়া।
ওই বোলারকে পুরস্কৃত করতে কেমন হয়! যে ওই ভয়ংকর চাপের মধ্যেও নিজের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। সে জানে যে, এরপর এই নিয়ে তাঁকে সামাজিক ভাবে কলুষিত হতে হবে।’ অশ্বিন এই ট্যুইটের সঙ্গেই আইসিসি-কে ট্যাগ করে লেখে, ‘আচ্ছা আইসিসি এই ব্য়াপারে সাহসিকতার পুরস্কার দিলে কেমন হয়!’
বাইশ গজের যুদ্ধে মানকাডিং নিয়ে বরাবর তীব্র বিতর্ক হয়েছে। এই নিয়মে কোনও ব্যাটারকে আউট করা ‘জেন্টলম্যান’স গেম’-এর বিরোধী কাজ বলেই মনে করা হয়। ২০১৯ সালে আইপিএল-এ মানকাডিং বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন অশ্বিনই।
এরপর থেকে একাধিকবার এই নিয়মে বদল আনার দাবি উঠেছে। গত মার্চে এই ইস্যুতে বড় ঘোষণা করে দেয় ক্রিকেটের আইনম প্রণেতা ম্যারিলিবন ক্রিকেট ক্লাব। এমসিসি-র তরফে জানানো হয়েছিল, মানকাডিংকে আর ‘আনফেয়ার প্লে’ অথবা ‘অনৈতিক খেলা’র তালিকায় রাখা হবে না। বরং এটি স্থান পাচ্ছে ‘রান আউট’ বিভাগেই ।
অর্থাৎ হাজার বিতর্ক সত্ত্বেও মানকাডিং বৈধ স্বীকৃতি পেয়ে যায়। এমসিসি-র পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল, ‘ক্রিকেটের নিয়মে এটা হিসাব মতো রানআউটই। তাসত্ত্বেও একে আনফেয়ার প্লে-র তালিকায় রাখা হয়েছিল।
বিষয়টিকে এমনভাবে তুলে ধরা হয় যেন বোলারই এক্ষেত্রে ভিলেন। কিন্তু এতে তো কোনও অনৈতিক বিষয় নেই। বরং নন-স্ট্রাইকার এন্ডে যিনি রয়েছেন, তিনিই নিয়মভঙ্গ করছেন।
ফলে এই ইস্যু নিয়ে বিতর্কের কোনও কারণই থাকতে পারে না।’ দীপ্তি সঠিক পথে থেকেও বির্তকিত হয়ে গেলেন হাতে গোনা কয়েকজন ইংরেজ ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত জ্ঞানের জন্য।
In fact that’s a great idea. How about awarding that wicket to the bowler for “ presence of mind” under immense pressure and of course knowing the social stigma that he/she would have to deal with post doing it. How about a bravery award to go with it too @ICC ? https://t.co/9PqqetnnGw
— Ashwin 🇮🇳 (@ashwinravi99) September 25, 2022
[ad_2]