ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

দ্রাবিড়কে টপকে বিরাট ইতিহাসের পথে কোহলি! শুধু সামনে থাকবেন কিংবদন্তি শচীন

[ad_1]

সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে ঠিকই। তবে বিরাট কোহলিকে নিয়ে ওঠা সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছে এই টুর্নামেন্টে।

দুরন্ত ছন্দে ব্যাট করে কোহলি প্রমাণ করেছেন যে, কিংবদন্তিদের এভাবে মুছে ফেলা যায় না। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ফাইনাল টাচ-আপ দেওয়ার জন্য বিরাট ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-২০ ক্রিকেট খেলবেন।

মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামিকাল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মোহালিতে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় টি-২০ নাগপুরে। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ রবিবার হায়দরাবাদে।

আর এই সিরিজেই দ্রাবিড়কে টপকে বিরাট ইতিহাস গড়তে পারেন কোহলি। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক ও সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটারের প্রয়োজন আর ২০৭ রান। তাহলেই বিরাট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানশিকারি হয়ে যাবেন।

কোহলি এখনও পর্যন্ত সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৫২২ ইনিংসে করেছেন ২৪,০২২ রান। তাঁর গড় ৫৩.৮১। এর মধ্যে বিরাট ১০২টি টেস্টে করেছেন ৮০৭৪ রান।

২৬২টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে আছে ১২৩৪৪ রান। ১০৪টি টি-২০ ম্যাচে বিরাট করেছেন ৩৫৮৪ রান। কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ৭১টি শতরান। কোহলির আগে রয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর ও দ্রাবিড়।

প্রাক্তন ব্যাটিং নক্ষত্র দ্রাবিড় সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২৪, ২০৮ রান। দ্রাবিড়ের গড় ৪৫.৪১। ‘দ্য় ওয়াল’ তাঁর বর্ণময় কেরিয়ারে করেছেন ৪৮টি সেঞ্চুরি ও ১৪৬টি হাফ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে সচিন আজও ধরা ছোঁওয়ার বাইরে।

কিংবদন্তি সচিন শুধুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতীয়দের মধ্যে সর্বাধিক রানশিকারি নন, বাইশ গজে তাঁর চেয়ে বেশি রান আর কারোরই নেই। সচিন মোট ৬৬৪ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৩৪ হাজার ৩৫৭ রান। তাঁর গড় ৪৮.৫২। সচিনই একমাত্র ক্রিকেটার যাঁর সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি আছে।

প্রায় দু’মাসের বিরতি নিয়ে কোহলি ক্রিকেটে ফিরেছিলেন সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপের হাত ধরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ের মতো দুর্বল দলগুলির বিরুদ্ধে খেলেননি তিনি।

প্রত্যাবর্তনের জন্য এশিয়া কাপকেই বেছে নিয়েছিলেন কোহলি। এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি এবার ফিরছেন চেনা ছন্দে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে নড়বড়ে ৩৫ রান করেছিলেন বিরাট।

তিনটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, তিনি ধীরে ধীরে ফিরছেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কোহলি বার্তা দিয়ে রাখেন যে, ব্যাটের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

৪৪ বলে ঝকঝকে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফের হাফ-সেঞ্চুরি (৪৪ বলে ৬০) করেন তিনি।

এরপর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে ভারতের নিয়মরক্ষার ম্যাচে কোহলি করেন ৬১ বলে ঝকঝকে ১২২ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২টি চার ও ৬টি ছয় মারেন তিনি।২০১৯ সালের পর ২০২২। অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরি আসে কোহলির ব্যাট থেকে। ১০২০ দিন পর তিন অঙ্কের রানের দেখা পান তিনি।

[ad_2]

Leave a Reply