ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

সৌরভকে আমিই দলে ঢোকাই, রবি শাস্ত্রীর পাগলামিতে উত্তাল ক্রিকেট বিশ্ব

[ad_1]

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিমুহূর্তে কিছু না কিছু ভাইরাল হতে থাকে। সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় উঠে এসেছে যেখানে দেখা গেছে যে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী দাবি করেছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে টাটা স্টিল দলে নেওয়ার জন্য তিনিই নাকি সুপারিশ করেছিলেন। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি এবং রবি শাস্ত্রীর সম্পর্ক টা একেবারে যে আদায়-কাঁচকলায়, সেটা আজ আর কারোর জানতে বাকি নেই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইন্টারভিউতে তাঁরা একে অপরকে প্রকাশ্যেই কটাক্ষ করেছেন। ইতিপূর্বে অপর একটি ইন্টারভিউতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রবি শাস্ত্রীকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি।

বেশ কয়েক বছর আগে রবি শাস্ত্রী জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘আপ কী আদালত’ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেইসময় কথায় কথায় সঞ্চালক রজত শর্মা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গ তুলে আনেন। তখনই রবি শাস্ত্রী বলেছিলেন, “সৌরভ তো আমার থেকে জুনিয়র। তখন আমি পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে খেলতাম, আর সৌরভ পূর্বাঞ্চলের হয়ে।

আমার স্পষ্ট মনে আছে যে সেইসময় আমি টাটা গোষ্ঠীর হয়ে কাজ করতাম। টাটার অধিনায়ক ছিলাম আমি। সৌরভের খেলা, বিশেষ করে ওর ব্যাটিং, আমার এতটাই ভালো লেগেছিল যে আমি নিজে টাটা গোষ্ঠীর লোকজনের কাছে আবেদন করি যে সৌরভকে যেন টাটা স্টিল দলে নেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত ও টাটা স্টিলেই আছে।”

এরপর আরও একটি মারাত্মক প্রশ্ন করেছিলেন রজত শর্মা। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের যখন নির্বাচন করা হচ্ছিল সেইসময় আচমকা বৈঠক ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? জবাব দিতে গিয়ে প্রথমেই খানিকটা হেসে ফেলেছিলেন রবি শাস্ত্রী।

এরপর তিনি স্পষ্ট বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তরটা আপনিই বরং সৌরভকে জিজ্ঞাসা করুন। কারণ আমি তো ইন্টারভিউতে ছিলাম। কিন্তু সৌরভ অনুপস্থিত ছিলেন। এই প্রশ্নটা যদি সৌরভকেই সরাসরি করা হয়, তাহলে সবথেকে ভালো উত্তর পাবেন।”

আসলে শাস্ত্রী’জি একবার সৌরভের সময় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁর কথায়, ২০০৭ সালে সৌরভ নাকি সকালবেলা দেরি করেছিলেন বলে টিম বাস তাঁকে ছেড়ে বেরিয়ে যায়। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে সৌরভ গাঙ্গুলি জানান এমন ঘটনা নাকি কোনো দিন ঘটেইনি। এই ভিডিওটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

সঙ্গে তিনি একটু কটাক্ষের সুরেই বলেন, “রবি শাস্ত্রীর ইন্টারভিউ কখনও সকালবেলা নিতে যেও না। উনি কী বলেন, সেটা মনে থাকে না। ওঁর সঙ্গে এরপর দেখা হলে আমি গোটা বিষয়টা খোলসা করব। এইসব খবরগুলো যে উনি কোথা থেকে পান, সেটা উনিই জানেন। ওঁর ইন্টারভিউ কখনও ব্রেকফাস্ট শো’য়ে নিতে যেও না। পারলে সন্ধ্যাবেলা নিও।”

[ad_2]

Leave a Reply