ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

২ বছরের জেল! দুর্নীতির বেড়াজালে নেইমার, স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে পারে বিশ্বকাপের !

[ad_1]

মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর বার্সেলোনায়। আদালতের প্রথম দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে হবে নেইমারকে। এ মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ চলতে পারে। আর তাই বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে খেলার চিন্তা বাদ দিয়ে তাঁকে দৌড়াতে হবে আদালতে।

সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য কাতার যাওয়ার আগে চরম বিপাকে নেইমার এবং ব্রাজিল। কারণ তারকা ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছে ব্রাজিলেরই এক লগ্নিকারী সংস্থা ডিআইএস।

২০১৩ সালে স্যান্টোস থেকে বার্সেলোনা যাওয়ার সময় যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা স্বচ্ছ নয়! এমনকি ট্রান্সফার ফি নিয়েও নাকি কারচুপি হয়েছে, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করছে লগ্নিকারী সংস্থার।

সোমাবার এই ইস্যুতে স্পেনের আদালতে হাজিরা দেবেন পিএসজি তারকা। দোষ প্রমাণিত হলে অন্তত ২ বছরের জেল এবং ১০০০ কোটি টাকার জরিমানা হতে পারে ফুটবল তারকার।

ডিআইএস-এর দাবি, নেইমারের ইমেজ স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিকানা তাদের। ২০০৯ সালে ১৭ বছরের নেইমার যখন স্যান্টোসের উঠতি তারকা, তখন ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে নেইমারের স্বত্ব কিনে নেয় তারা।

কিন্তু প্যারিস সাঁ জাঁ-র বর্তমান তারকা নেইমার এখন সেটা অস্বীকার করায় মামলা ঠুকে দেন তারা। এই মামলায় নেইমারসহ দোষীদের ৫ বছরের জেল আর ১৪৪ কোটি টাকা জরিমানা দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।

কর জালিয়াতির মামলায় নেইমারই একমাত্র আসামি নন। এই ব্রাজিলিয়ানের চুক্তির সঙ্গে যুক্ত থাকা নেইমারের বাবা-মা, বার্সেলোনার প্রাক্তন দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমিউ এবং বার্সেলোনা ও স্যান্টোসের তৎকালীন কোচকেও দায়ী করা হয়েছে।

ডিআইএস-এর আইনজীবী পাওলো নাসের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নেইমারকে সর্বোচ্চ দাম হাঁকা ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হয়নি। ওকে এর চেয়েও বেশি দামে কিনতে আগ্রহী ক্লাবও ছিল।’

যদিও তাদের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের আইনজীবী। ব্রাজিলিয়ান তারকা ও তাঁর পরিবারের হয়ে এই মামলায় লড়ছেন আইনজীবী বেকার ম্যাকেঞ্জি।

তাঁর দাবি, ‘সর্বোচ্চ দাম দিতে চাওয়া ক্লাবের কাছেই বিক্রি করতে হবে, এই নিয়ম ফুটবলের দলবদলে খাটে না। কারণ, এখানে ফুটবলারের ইচ্ছা-অনিচ্ছাও জড়িত। কারণ ফুটবলার কোনও পণ্য নয়। সে একজন ব্যক্তি, নিজ ইচ্ছায় স্বাধীন।’

এই মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর বার্সেলোনায়। আদালতের প্রথম দিনের কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে হবে নেইমারকে। এ মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ চলতে পারে। আর তাই বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে খেলার চিন্তা বাদ দিয়ে তাঁকে দৌড়াতে হবে আদালতে।

[ad_2]

Leave a Reply