ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বিশেষ: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন ৭টি উপায়ে, এগিয়ে যান উন্নতির লক্ষে

বিশেষ: নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন ৭টি উপায়ে, এগিয়ে যান উন্নতির লক্ষে
Rate this post

[ad_1]

নিজের উপর আস্থা রাখুন – এই উপদেশ আমরা প্রায়ই শুনি। জীবনে আপনি যা-ই অর্জন করতে চান না কেন, নিজের উপর আস্থা রাখাটা খুবই জরুরী। অনেক প্রবল আত্মবিশ্বাসী মানুষও সব সময়ে নিজের ওপর আস্থা রাখতে পারেন না। বিভিন্ন ঘটনা ও পরিস্থিতির কারণে নিজেকে নিয়ে, নিজের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ জাগে।

এটাই আসলে নিজের উপর আস্থা কমিয়ে দেয়।

অন্যের বিরূপ মন্তব্য, সাময়িক ব্যর্থতা, কিছু শিখতে গিয়ে কঠিন মনে হওয়া, কাজে ভালোমত পারফর্ম করতে না পারা – ইত্যাদি কারণে নিজের উপর থেকে আস্থা কমে যায়। কিন্তু যেসব কারণে আমরা নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি সেগুলোর বেশিরভাগই খুব ছোট কারণ, এবং এগুলোর স্থায়ীত্বও খুব কম। কিন্তু এই ক্ষণস্থায়ী গুরুত্বহীন কারণগুলো আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে আস্থাহীন করে ফেলে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করলে একজন মানুষ যে কোনও কিছু অর্জন করতে পারে।

আজ আপনার সাথে সব সময়ে নিজের উপর আস্থা কিভাবে রাখবেন, সেই বিষয়ে ৭টি টিপস শেয়ার করব। এগুলো আপনাকে সাময়িক আস্থা হারানোর অবস্থা থেকে বের হতে সাহায্য করবে। টিপসগুলো মেনে চলুন এবং নিজের উপর আস্থা রাখুন সব সময়ে।

নিজের উপর আস্থা রাখুন ৭টি উপায়ে

০১. অন্যদের সাথে নিজের অর্জনের তুলনা করা বাদ দিন

প্রতিটি মানুষ তার নিজের জায়গায় ইউনিক বা অনন্য। আপনার এমন কিছু গুণ আছে, যা পৃথিবীর আর কোনও মানুষের নেই। কাজেই, অন্যদের সাথে সব সময়ে নিজের তুলনা করতে যাওয়া বোকামী। আপনার এক বন্ধু হয়তো ভালো গান গায় – এবং এই কারণে কিছু মানুষ তাকে অনেক পছন্দ করে। এই গুণটি সবার থাকে না। আপনারও হয়তো নেই, কিন্তু এই কারণে যদি আপনি নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন – তাহলে সেটাও বোকার মত কাজ হবে। আপনার বন্ধুর গানের কারণে তাকে যারা পছন্দ করে, আপনি যদি চান তারা আপনাকেও পছন্দ করুক – তাহলে সংগীত শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করার বদলে চিন্তা করুন – আপনার মধ্যে এমন কি গুণ আছে যার যত্ন নিলে আপনি তাদের কাছে পছন্দনীয় হতে পারবেন।

অন্যের অর্জনের ওপর ফোকাস করার বদলে, নিজের কোন গুণটিকে আপনি আরও বিকশিত করতে পারেন, সেই দিকে নজর দিন। আপনি হয়তো জানেনও না যে আপনার মাঝে এমন গুণ আছে – যার কারণে আপনার সেই বন্ধু আপনার মত হতে চায়।

০২.অন্যরা আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে – তা নিয়ে ভাববেন না
বর্তমানে যে কয়জন উদ্যোক্তা ও মোটিভেটর সবচেয়ে বেশি মানুষকে প্রভাবিত করছেন, গ্যারি ভেইনারচাক (গ্যারি-ভি নামে বিখ্যাত) তাঁদের অন্যতম। একটি কনফারেন্সে তিনি একবার বলেছিলেন,

“সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কোনও লেখা বা ছবি দেখে কেউ যদি বাজে মন্তব্য করে – তাহলে সেই মন্তব্য বা কমেন্টের গুরুত্ব দেয়া অনেক বড় বোকামী। কারণ, ভেবে দেখুন সেই মানুষটির জীবন কতটা অর্থহীন যে, সে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ‘নিন্মমানের’ কনটেন্ট দেখে সেটা নিয়ে চিন্তা করেছে, যাতে তার কয়েক মিনিট সময় লেগেছে – এবং তারপর আরও সময় নষ্ট করে সে একটা নেতিবাচক কমেন্ট করেছে। এর থেকেই বোঝা যায় সেই মানুষটির জীবন কতটা অর্থহীন। তার যদি কাজের কাজ থাকতো, এবং তার সময়ের যদি সত্যিকার দাম থাকতো, তবে সে তার চোখে একটি নিন্মমানের কনটেন্ট এর জন্য এতগুলো মিনিট ব্যয় করতো না। কাজেই এটা নিয়ে মন খারাপ করা মানে আপনি বোকামী করছেন।”

কিন্তু আমরা বর্তমানে এটাই সবচেয়ে বেশি পরিমানে করছি, যা আমাদের আত্মবিশ্বাস ও নিজের ওপর আস্থা নষ্ট করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরেও আমরা এই কাজ করছি। পাশের বাসার আজগর সাহেব – যিনি পেশায় একজন সরকারী কেরানী, তার কাছে ছোট হব না বলে আমরা নিজের পছন্দের কাজ বাদ দিয়ে অন্য কাজ করছি।

গ্যারি-ভি বলেন, “আমরা আজকাল ইঁদুর দৌড়ে মেতেছি। বেশিরভাগ আমরা এমন মানুষের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি, যাদের আমরা সত্যিকার অর্থে ঘৃণা করি।”

বাবা-মা এর কাছে নিজেকে ভালো করা এক কথা, তাঁদের গর্বিত করতে পারলে আমরা নিজেরাও গর্বিত হই। কিন্তু পাশের বাড়ির লোকটি, বা অন্য কোনও লোক যখন আপনাকে নিয়ে তার আশার কথা বলবে – তার গুরুত্ব না দেয়াই ভালো। এসব মানুষ আসলে আপনার জীবনকে কোনও গুরুত্বই দেয় না। নিজেদের জীবনের যন্ত্রণার ঝাল তারা আপনার ওপর ঝাড়ে আপনার নিজের প্রতি নিজের আস্থা নষ্ট করে। সত্যি বলতে আপনি কি করলেন না করলেন, তাতে তাদের কিছুই আসে যায় না। শুধু আপনাকে একটু খারাপ বোধ করিয়ে তারা একটা অসুস্থ আনন্দ বোধ করে। কাজেই পাশের বাসার আসগর সাহেব, অথবা মোমিনা বেগম আপনার চাকরি, রেজাল্ট, চেহারা নিয়ে কি বলল – অথবা ফেসবুকের “রকার বয় হৃদয়” বা “নীল পরী সুমি” আপনার লেখা বা ছবিতে কি কমেন্ট করল – এসবের কোনও গুরুত্ব দেবেন না। এসবের গুরুত্ব যত কম দেবেন, নিজের ওপর আস্থা কমার সম্ভাবনা ততই কমে যাবে।

০৩. ভুল ও ব্যর্থতাকে লক্ষ্য অর্জনের পথে শিক্ষা হিসেবে দেখুন
সাধারণ মানুষ ভুল করলে বা সাময়িক ভাবে ব্যর্থ হলে অনেক সময়েই হতাশ হয়। কিন্তু সফল মানুষরা – যাঁরা বড় বড় লক্ষ্য অর্জন করেন – তাঁরা প্রতিটি ভুল ও ব্যর্থতাকে নতুন কিছু শেখার ও নিজের শক্তি বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখেন।

কোনও ব্যর্থতায় পড়লে বা ভুল করলে – আপনি যখন সেই ভুল বা ব্যর্থতার কারণ খুঁজে বের করে, তা ঠিক করবেন – তখন আপনাকে নতুন কিছু শিখতে হবে। এই শিক্ষা আপনাকে মানুষ হিসেবে আরও দক্ষ ও উন্নত করবে।

ভুল ও ব্যর্থতা বড় লক্ষ্য অর্জনের পথে অন্যতম উপাদান। এগুলো কাটিয়ে উঠতে উঠতেই আপনি আসলে সেই বড় লক্ষ্য অর্জনের যোগ্য হবেন। – ভুল ও ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও শক্তিশালী করার মনোভাব বা ‘মাইন্ডসেট’ আপনার নিজের উপর আস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

কোনও কিছু চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে খারাপ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়। আপনার পজিটিভ চিন্তা করার ক্ষমতা নিজের উপর আস্থা ধরে রাখার সবচেয়ে বড় একটি উপায়।

০৪. নিজের উদ্দেশ্যে লিখুন
বিদেশে এই ব্যাপারটা খুবই জনপ্রিয় হলেও, আমাদের দেশে অনেকেই ব্যাপারটা হাস্যকর মনে করবেন। তবে অন্যরা আপনাকে নিয়ে কি ভাবল, তার গুরুত্ব না দিয়ে – আপনি যদি প্রতিদিন বা অন্তত সপ্তাহে এক দিন নিজের উদ্দেশ্যে এক পৃষ্ঠা লেখেন – তবে তা আপনার নিজের উপর আস্থা ধরে রাখতে বেশ সাহায্য করবে।

নির্জনে বসে গভীর মনোযোগে নিজের ব্যাপারে ভালো কিছু চিন্তা করুন। যত ছোট বিষয়ই হোক – তা নিয়ে লিখুন। নিজের ছোট্ট একটা গুণ নিয়ে বা যোগ্যতা নিয়ে যখন লিখতে যাবেন, তখন সেই ছোট বিষয়টি নিয়ে আপনাকে অনেকটা চিন্তা করতে হবে। এর খুঁটিনাটি অনেক বিষয় আপনার চোখে পড়বে – যা আগে পড়েনি। লেখালেখির সময়ে মস্তিষ্কে “সাইকো-নিউরো-মোটর এ্যাক্টিভিটি” নামে একটি বিশেষ প্রক্রিয়া চালু হয়। এর ফলে কোনও বিষয়ের একদম ছোটখাটো দিক গুলোও জুম-ইন হয়। এমন এমন বিষয় আপনার মনকে ভালো করে দেবে, যেগুলো নিয়ে আগে আপনি চিন্তাও করেননি।

নিজের গুণ ও দক্ষতা ছাড়াও, আগে করা কোনও ভালো কাজ নিয়েও নিজের উদ্দেশ্যে লিখতে পারেন। প্রথমে একটু অস্বস্তি লাগলেও একটা সময়ে দেখবেন অনেক ভালো বোধ করছেন, এবং নিজের উপর আস্থা রাখার অনেক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন – যা আগে আপনার মাথায় আসেনি।

জীবন বদলানো কিছু সকালের অভ্যাস নিয়ে লেখা বেস্ট সেলিং মিরাকেল মর্নিং বইয়েও নিজের উদ্দেশ্যে লেখাকে অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

নিজের উদ্দেশ্যে যা লিখতে পারেন, নিচে তার একটি ছোট স্যাম্পল দেয়া হল:

“শুভ সকাল xx, তুমি কতটা ভাগ্যবান তা কি আজ সকালে বুঝতে পেরেছো? প্রতিদিন সকালে উঠেই তুমি দুটো উপহারের মোড়ক খোলো। তোমার দু’টো চোখ। এমন সুন্দর পৃথিবীকে আরও একটা দিন দেখার সৌভাগ্য নিয়ে জন্মানো মানুষদের তুমি একজন। আজকের দিনের যতগুলো মূহুর্ত তুমি চোখ খোলা রাখবে – প্রতিটি মূহুর্তই এক একটি সুযোগ তোমার ও তোমার আশপাশের মানুষের জীবনটাকে আরও সুন্দর করার। তোমার দু’টো হাত আছে – এটা অনেক বড় সৌভাগ্যের কথা। এই হাত দিয়ে তুমি এমন কিছু করতে পারো, যা তোমার জন্য নতুন সৌভাগ্যের দরজা খুলে দেবে। হয়তো এই হাত দু’টো দিয়েই তুমি আজ কারও জীবন বাঁচাবে – যে সারা জীবন তোমার জন্য দোয়া করবে। তোমার মনে আছে কয়েক বছর আগে এক অন্ধ বৃদ্ধকে হাত ধরে রাস্তা পার করে দিয়েছিলে? রাস্তার হাজার হাজার মানুষের মধ্যে শুধু তুমিই সেদিন তাকে সাহায্য করেছিলে। সেই অন্ধ লোকটা তোমাকে দেখতে না পেলেও তোমার কথা মনে রেখেছে। এমন কত মানুষের আশির্বাদ তোমার ওপরে – তুমি হয়তো জানোও না। …”

আপনার লেখা যে এমনটাই হতে হবে – তার কোনও দরকার নেই। সকালে না লিখে রাতেও লিখতে পারেন, দিনের ছোট্ট একটি ভালো দিক নিয়ে।

শুধু এমন কিছু লিখুন – যা আপনার নিজের প্রতি নিজের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। কিছুদিন এটা প্রাকটিস করলে দেখবেন নিজের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গীই বদলে গেছে।

০৫. প্রতিদিন পজিটিভ কিছু শুনুন/দেখুন, বা পড়ুন
আপনি এই লেখাটি পড়ছেন, মানে আপনার একটি কম্পিউটার/স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ আছে। এগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি নিজেকে সব সময়ে পজিটিভ রাখতে পারেন। পজিটিভ বই, আর্টিকেল, ভিডিও, অডিও – এগুলোর সংস্পর্শে থাকলে আপনি সব সময়ে মোটিভেটেড থাকতে পারবেন। এছাড়া সফল মানুষদের জীবনী পড়লেও অনেক কিছু জানার পাশাপাশি অনুপ্রেরণা পাবেন। অনুপ্রেরণা আসলে মনের খাবারের মত। মনকে অনুপ্রাণিত রাখতে হলে আপনাকে প্রতিদিন নিজেকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। অনুপ্রেরণামূলক বই, ওয়েবসাইট প্রতিদিন চেক করুন, অডিও শুনুন। তাহলে দেখবেন কোনও পরিস্থিতিতেই নিজের উপর আস্থা হারাচ্ছেন না।

সবচেয়ে কম বয়সে বিলিওনেয়ার হওয়া ভারতীয় বিজয় শেখর শর্মা দারুন মেধাবী হওয়ার কারণে কম বয়সে কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। কিন্তু হিন্দী মিডিয়াম থেকে ইংলিশ মিডিয়াম কলেজে গিয়ে পড়াশুনা ধরতে পারতেন না। শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে খুবই লজ্জা দিত। এক পর্যায়ে তিনি ক্লাসে যাওয়া বাদ দিয়ে লাইব্রেরীতে বসে ইংরেজী চর্চা করতেন এবং সফল মানুষদের জীবনী পড়তেন। এক সময়ে তিনি নিজের ওপর আস্থা ফিরে পান। এবং সেই কলেজের ইতিহাসে তাঁর মত সাফল্য আর কোনও ছাত্র পাননি।

০৬. সব সময়ে নতুন কিছু শেখার, ও নিজেকে আপডেট রাখুন
আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা আপনাকে নিজের উপর যতটা আস্থা দেবে – তা আর কোনওকিছুই দেবে না। আপনি যে ক্ষেত্রে কাজ বা পড়াশুনা করছেন – সেই বিষয়ে যত বেশি সম্ভব জানার চেষ্টা করুন। পাঠ্যক্রমের বাইরেও বই পড়ুন, এবং সেইসাথে ইন্টারনেট থেকেও শেখার চেষ্টা করুন। এর বাইরে সিনিয়রদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন। আপনার জ্ঞান ও দক্ষতা যত বাড়বে নিজের প্রতি আস্থাও তত বাড়বে।

নিজের বিষয়ের বাইরেও অন্যান্য জিনিস শেখার চেষ্টা করুন। সময় থাকলে নতুন কোনও কোর্সে ভর্তি হয়ে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতাকে বাড়িয়ে নিন।

শারীরিক শক্তি বা ফিটনেট কম হলে জিমে ভর্তি হোন, অথবা মার্শাল আর্ট শিখুন। অংক কম বুঝলে বাড়তি টিউশন নিন। এভাবে যেখানেই কমতি মনে হয়, সেটাই শেখার চেষ্টা করুন।

চাইলে মানুষ শিখতে পারে না – এমন কিছু নেই। আর এই ধারাবাহিক শিখতে থাকাই আপনার নিজের প্রতি আস্থাকে প্রতিদিন বাড়াতে থাকবে। প্রতিদিন ছোট ছোট করে নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে থাকলে দেখবেন নিজের প্রতি আস্থা কমার কোনও সুযোগই পাচ্ছে না।

০৭. হতাশ ও নেগেটিভ লোকদের এড়িয়ে চলুন
এটা প্রায় সব সেলফ ডেভেলপমেন্ট ও সাফল্য বিষয়ক টপিকের কমন টিপস। কমন টিপস হওয়া কারণও আছে। এটা প্রমাণিত সত্য যে, আপনি যে ধরনের মানুষের সাথে বেশি চলবেন – তাদের আচরণের প্রভাব আপনার ওপর পড়বে। যেসব মানুষ সবকিছুর ভেতরেই একটা না একটা সমস্যা খুঁজে পায়, এবং বেশিরভাগ সময়েই হতাশ থাকে – তাদের সাথে থাকা আপনার জন্য ক্ষতিকর।

যত পারেন এই ধরনের মানুষদের এড়িয়ে চলুন। যারা সফল হতে চায়, এবং সব পরিস্থিতিতেই আশাবাদী থাকে – এমন মানুষদের সাথে চলুন। এরা আপনার খারাপ পরিস্থিতিতে আপনাকে উ‌ত্‍সাহ দেবে আশা নিয়ে কথা বলবে। অন্যদিকে হতাশ মানুষরা আপনাকে আরও হতাশ করে দেবে। এদের সাথে সময় কাটাতে কাটাতে আপনি নিজেও নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। কাজেই, নিজের উপর সব সময়ে আস্থা ধরে রাখতে চাইলে হতাশ ও নেতিবাচক মানুষদের কাছে যতটা সম্ভব কম যান। আশাবাদী ও পজিটিভ মানুষদের দিয়ে নিজের সার্কেল গড়ে তুলুন।

পরিশিষ্ট:
জীবন কখনও সোজা পথে চলে না। এখানে চড়াই-উ‌ত্‍রাই থাকবেই। কিন্তু পরিস্থিতি যেমনই হোক আপনাকে সব সময়ে পজিটিভ থাকতে হবে, নিজের উপর আস্থা রাখতে হবে শতভাগ। তাই, জীবনে যত খারাপ আর ভালো পরিস্থিতি আসুক, নিজের উপর আস্থা রাখুন সব সময়ে। তাহলেই আপনি কখনও পরাজিত হবেন না।

নিজের উপর আস্থা রাখার বিষয়ে এই লেখাটির টিপস গুলো যদি আপনাকে সামান্যও সাহায্য করে – তাহলেই আমাদের চেষ্টা সফল হবে।

[ad_2]

Leave a Reply