ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বিশেষ: শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলবে যে প্লেন, যাত্রা হবে আরও দ্রুত, জেনেনিন বিস্তারিত

বিশেষ: শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলবে যে প্লেন, যাত্রা হবে আরও দ্রুত, জেনেনিন বিস্তারিত
Rate this post

[ad_1]

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির যাত্রী প্লেন চলাচল শুরু হবে খুব শিগগির। বুম সুপারসনিক আনছে শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত বেগে চলা এই প্লেন। ফলে লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়া যাবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায়। যেখানে আগে এই ৫,৫৫৯ কিমি দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লাগত সাত থেকে সাড়ে আট ঘণ্টা।

সুপারসনিক বিমান নিয়ে কাজ চলছে বিগত ২০ বছর ধরে।

কলোরাডো-ভিত্তিক স্টার্ট আপ প্রতিষ্ঠান বুম সুপারসনিক ফের সুপারসনিক বিমানকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তারা এমন একটি বিমানের নকশা তৈরি করেছে, যা মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ব্রিটেন থেকে সোজা আমেরিকায় পৌঁছে দেবে যাত্রীদের।

২০২৬ সাল থেকে এই বিমানটি উড়ানের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ২০২৯ সালে প্রথম যাত্রী বহন শুরু করবে তারা। বেশ কয়েক বছর ধরে বিমানটির প্রযুক্তিগত রেন্ডারিং গত সপ্তাহে ফার্নবরো এয়ার শোতে একটি সংবাদ সম্মেলনের সময় প্রকাশিত হয়েছিল। এটি ছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিমানের একটি বাণিজ্যিক ইভেন্ট। নতুন করে তৈরি এই বিমানের ডিজাইনে একটি অতিরিক্ত ইঞ্জিনই নেই। তবে এতে একটি কনট্যুরড ফিউজলেজ এবং গুল উইংসও আছে।

সংস্থাটি এই বিমানটির নাম রেখেছে ‘ওভারচার’। বিশ্বের দ্রুততম বিমান ‘৭৪৭’, ‘কনকর্ড’-কেও গতিবেগের নিরিখে ছাপিয়ে গিয়েছে এই বিমানটি। বুম সুপারসনিক সংস্থার কর্মীরা মজার ছলে বলেছেন, ‘কনকর্ড ও ৭৪৭ বিমান দু’টির সন্তান হলে তা ওভারচার হত।’ অনেকে আবার মজা করে এই বিমানকে বলছেন ‘সন অব কনকর্ড’।

ওভারচার ৪ হাজার নটিক্যাল মাইল দূরত্বে, স্থল ও জলের উপর দিয়ে চলতে পারবে। এর স্বাভাবিক গতিবেগ স্থলভাগের উপর ঘণ্টায় ২০৯২ কিলোমিটার হলেও জলভাগের উপর এই বিমানটি ঘণ্টায় ১২৩৯ কিলোমিটার বেগে যেতে পারে। ৬০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত এই বিমানটি ৬০ থেকে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে উড়তে সক্ষম।

মোট ৫১ বার নকশা পরিবর্তন করার পর এই বিমানটির ২৬ মিলিয়ন ঘণ্টা সিমুলেশন টেস্ট এবং পাঁচটি উইন্ড টানেল টেস্ট করা হয়েছে। মোট চারটি ইঞ্জিনসহ এই বিমানে শব্দদূষণ রোধের জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। সংস্থার দাবি, গতিবেগ ও নিরাপত্তার দিক দিয়ে বিচার করলে এই বিমানটি বিশ্বের দ্রুততম বিমান হতে চলেছে।

বুম ‘বিশেষ মিশন ভ্যারিয়েন্ট’ বিকাশের জন্য নর্থরপ গ্রুম্যান সংস্থার সঙ্গে একটি অংশীদারি চুক্তি ঘোষণা করেছে। বুম সুপারসনিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ব্লেক স্কল জানিয়েছেন, ‘বিমান পরিবহণ জগত্‍ গত কয়েক দশকে এত বিশাল উল্লম্ফন দেখেনি। আমাদের দূরত্ব সম্পর্কিত ধারণাগুলো ওভারচার বদলে দেবে।’

ফার্নবোরো আন্তর্জাতিক এয়ার শো-তে ওভারচার বিমানের নকশা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। বুম সুপারসনিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিমানটি অর্থনৈতিক দিক থেকে এবং পরিবেশগত ভাবে উপযুক্ত সুপারসনিক আকাশযান।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ১৫টি সুপারসনিক বিমান অর্ডার দিয়েছিল। এছাড়াও জাপান এয়ারলাইন্স ২০১৭ সালে বুম সুপারসনিকে ১০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। চুক্তির আওতায় তারা প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০টি বিমান কেনার আশা করছে।

সুপারসনিক বিমান নিয়ে কাজ করা এই স্টার্টআপ সম্প্রতি ওভারচারের একটি সামরিক বিমান বিকাশের জন্য মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি কোম্পানি নর্থরপ গ্রুম্যানের সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তির ঘোষণা করেছে। ওভারচারের জন্য বুম এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৬৬০টির বেশি বিভিন্ন রুটের খোঁজ পেয়েছে।

[ad_2]

Leave a Reply