ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

চারবার সিজার! সফল অপারেশনে সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নদিয়ার বধূ

চারবার সিজার! সফল অপারেশনে সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নদিয়ার বধূ
চারবার সিজার! সফল অপারেশনে সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন নদিয়ার বধূ

একই গৃহবধূর চারবার সিজার! স্টেট জেনারেলের মতো সরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যে এই প্রথম সফল অপারেশন করে মিললো সাফল্য।পুত্র সন্তান জন্মের পর বর্তমানে দুজনের অবস্থায় স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।

নদীয়ার পলাশীপাড়ার বাসিন্দা অসীমা দাস। এর আগে তিনি তিনবার সন্তান ধারণ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি কন্যা সন্তান মারা যায়। বর্তমানে তার দুটি কন্যা সন্তান ছিল। পুত্র সন্তান পাওয়ার আশায় আবারও ওই গৃহবধূ গর্ভবতী হন। কিন্তু এর আগে তিনবার সিজার হওয়ার কারণে প্রচন্ড প্রাণের ঝুঁকি ছিল। অবশেষে শান্তিপুর হাসপাতালে বর্তমানে প্রসূতি চিকিত্‍সক পবিত্র ব্যাপারীর সহযোগিতায় শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল একটি মেডিকেল টিম গঠন হয় চিকিত্‍সক পবিত্র ব্যাপারীর তত্ত্বাবধানে। গৃহবধূর অসীমা দাসের মা কাজল দাস বলেন, চারবার সিজার হওয়ার পর বর্তমানে পুত্র সন্তান হয়েছে। এখন মা এবং ছেলে দুজনেই ভালো রয়েছে। আমরা খুশি। চিকিত্‍সকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

শান্তিপুর হাসপাতালের প্রসূতি চিকিত্‍সক পবিত্র ব্যাপারী বলেন, পলাশী পাড়ার গৃহবধূ অসীমা দাস গত পরশুদিন শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। সচরাচর চার নম্বর সিজার পাওয়া যায় না বললেই চলে। আমরা বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার চিকিত্‍সা জীবনে এই প্রথম চার নম্বর সিজার করেছি। তিন নম্বর সিজারও আমরা খুব কম পেয়ে থাকি। সেই জায়গায় চার নম্বর সিজার অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাণের ঝুঁকি থাকে। সেই কারণে বিভিন্ন সময় এই ধরনের রোগীকে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করিয়ে চিকিত্‍সা করানো হয়। সেই কথা মাথা রেখেই একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়। যাতে রক্তের অভাব না পড়ে সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। চিকিত্‍সক পবিত্র ব্যাপারীর সংযোজন, এই রকম ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তান নেওয়ার চিন্তাভাবনা না করাই ভালো।

Leave a Reply