[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেওয়া টেলিকম সংস্থাটির নাম হল Jio। এই টেলিকম সংস্থা আসার আগে পর্যন্ত মাসে এক জিবি ডেটার জন্য গ্রাহকদের খরচ করতে হতো ২৫০ টাকা বা তার বেশি। মূলত 4G পরিষেবার ক্ষেত্রে এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে জিও।
4G পরিষেবার পর এবার 5G পরিষেবার পালা। ইতিমধ্যেই এই নতুন পরিসেবা নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে সরকার থেকে টেলিকম সংস্থাগুলি। আবার এরই মধ্যে বাজারে পা রাখতে চলেছে নতুন টেলিকম সংস্থা হিসাবে আদানির সংস্থা বলেই জানা যাচ্ছে। জিওকে টেক্কা দিতে আদানির সংস্থা চমক দেবে বলেই মনে করা হচ্ছিল। তবে এখন জানা যাচ্ছে 5G Spectrum-এর ক্ষেত্রে প্রথমেই যেভাবে জিও বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে তাতে আদানিকে ধাক্কা খেতে হবে।
আগামী ২৬ জুলাই এই 5G Spectrum-এর নিলাম হবে। 72 GHz স্পেকট্রাম বিক্রি করা হবে, যার ন্যূনতম মূল্য রাখা হয়েছে ৪.৩ লাখ কোটি টাকা। এই স্পেকট্রাম নেওয়ার ক্ষেত্রে ডিপোজিট মানির নিরিখে গৌতম আদানির সংস্থাকে টেক্কা দিল জিও। কেন্দ্রের টেলিকম মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই এই স্পেকট্রাম কেনার জন্য চারটি সংস্থা ডিপোজিট মানি জমা করেছে।
ডিপোজিট মানি জমা করার ক্ষেত্রে সবার উপরে রয়েছে জিও। ইতিমধ্যেই তাদের তরফ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট মানি হিসাবে জমা করা হয়েছে। এই অর্থের নিরিখেই নির্ভর করবে কোন সংস্থা কতগুলি এয়ার ওয়েভ নিজেদের হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে দর হাঁকতে পারবে।
অন্যদিকে ডিপোজিট মানি জমা করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এয়ারটেল। তারা ৫৫০০ কোটি টাকা ডিপোজিট মানি হিসাবে জমা করেছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভোডাফোন আইডিয়া, তাদের তরফ থেকে ২২০০ কোটি টাকা ডিপোজিট মানি হিসাবে জমা করা হয়েছে। তবে আদানি সংস্থাকে এই স্পেকট্রাম নিয়ে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিকে টেক্কা দেবে এমনটা মনে করা হলেও তাদের তরফ থেকে ডিপোজিট মানি হিসেবে মাত্র ১০০ কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। এই ন্যূনতম টাকা জমা করার ক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে তারা টেলিকম ব্যবসায় নামবে না। বরং তাদের লক্ষ্য রয়েছে বিমানবন্দর, ডেটা সেন্টারের মত ক্ষেত্র।
[ad_2]