ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

রোগ ‘CBI-ED’, যাদের কাছে ‘সেফ হোম’ এসএসকেএম, রইল তালিকা

রোগ ‘CBI-ED’, যাদের কাছে ‘সেফ হোম’ এসএসকেএম, রইল তালিকা

[ad_1]

রোগ 'CBI-ED', যাদের কাছে 'সেফ হোম' এসএসকেএম, রইল তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা কেন্দ্র হলো এসএসকেএম। বহু পুরাতন হলেও সম্প্রতি এই হাসপাতালের চেহেরা বদলে গিয়েছে। জরাজীর্ণ পুরাতন দেওয়াল মেরামত করানোর পাশাপাশি তার উপর চড়েছে নীল সাদা প্রলেপ। আধুনিক চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থাপনা রয়েছে এই হাসপাতালে বলেই দাবি করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। যদিও হাসপাতালে বেড না পাওয়া অথবা আউটডোরে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর ঝঞ্ঝাট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।

এর পাশাপাশি বারংবার এই হাসপাতালের নাম রাজ্যের বাসিন্দাদের সামনে উঠে এসেছে বিভিন্ন নেতা-নেত্রীদের কেন্দ্র করে। কারণ যখনই দেখা যায় কোন নেতা-নেত্রীকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের তরফ থেকে তলব করা হয়, তখনই তাদের এই হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের তাবড় তাবড় নেতারা।

১) রাজ্যে তৃণমূল সরকারের জামানায় এই হাসপাতালে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্র। সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর কুনাল ঘোষ, মদন মিত্র, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়ালে জিজ্ঞাসা বাদের পর মদন মিত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু জেল হেফাজতে থাকাকালীন তিনি বারংবার প্যানিক অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তারপর ২০১৪ সালে তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অনেকটা সময় তিনি এই হাসপাতালেই কাটিয়েছেন।

২) খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে দুটি শয্যা নিয়ে দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার দিন সাতেকের মধ্যে বুকে ব্যথা শুরু হয়।

৩) সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের পর নারদ কান্ডে একসঙ্গে গ্রেফতার হন ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতার হওয়ার পর ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেলে থাকলেও বাকি তিনজন কিন্তু চলে আসেন এসএসকেএম হাসপাতালে।

৪) ভোট পরবর্তী হিংসা, গরু পাচার কান্ড সহ একাধিক মামলায় বারবার তলব পেয়েছেন দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তিনি এই তলব পাওয়ার পর প্রথমদিকে একাধিকবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দিতে যাননি। আর পরে তিনি হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন এবং দীর্ঘ এক মাসের কাছাকাছি সময় সেখানেই ভর্তি থাকেন। এখানে ভর্তি থাকার সময় তার একাধিক রোগ ধরা পড়ে বলে চিকিৎসকদের রিপোর্ট থেকে জানা যায়।

৫) এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এই তালিকায় এবার নাম লেখালেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তাকে পরে ভুবনেশ্বর Aiims-এ নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জানানো হয় রোগ গুরুতর নয়।

[ad_2]

Leave a Reply