Birth Place And Parents Of Nabinchandra Sen: নবীনচন্দ্র সেন এর জন্ম স্থান ও পিতামাতা
নবীনচন্দ্র সেন কবি নবীনচন্দ্রের জন্ম হয় ১৮৪৭ খ্রিঃ ১০ ই ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের নােয়াপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম গােপীমােহন সেন।
নবীনচন্দ্র সেন এর শিক্ষাজীবন: Nabinchandra Sen’s Educational Life
চট্টগ্রাম স্কুল থেকে ১৮৬৩ খ্রিঃ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর কলকাতায় আসেন। ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে। ১৮৬৫ খ্রিঃ এফ.এ এবং ১৮৬৮ খ্রিঃ জেনারেল সেমব্লীজ ইনসটিটিউশন থেকে বি.এ পাশ করেন।
আরো পড়ুন: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর জীবনী
ছাত্রাবস্থায় নবীনচন্দ্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাহচর্যে আসেন এবং তার অকুণ্ঠ সাহায্য লাভ করেন। ছাত্রাবস্থাতেই সাহিত্যজীবনের শুরু। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় এডুকেশন গেজেট পত্রিকায়। এই পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন।
নবীনচন্দ্র সেন এর কর্ম জীবন: Nabinchandra Sen’s Work Life
কলেজের পড়া শেষ করে নবীনচন্দ্র শিক্ষকতার বৃত্তি গ্রহণ করেন। কর্মজীবন শুরু হয় হেয়ার স্কুলে। কিন্তু বেশিদিন এই কাজে থাকতে হয় নি। প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ১৮৬৮ খ্রিঃ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ লাভ করেন। এই পদে কর্মরত অবস্থায় তাকে বাংলার বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়েছে। কর্মজীবনের শেষ দিকে তিনি ১৮৯৩-৯৪ খ্রিঃ রানাঘাটের মহকুমা শাসক হয়ে আসেন। সেই সময়ে তিনি নিজের উদ্যোগে তার অগ্রজ আর এক মহাকবি কৃত্তিবাসের ভিটের সন্ধান করে বঙ্গবাসীকে চিরকৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেন।
আরো পড়ুন: দ্বিজেন্দ্রলাল রায় এর জীবন পরিচয়
মহাকবির জন্মভিটা ফুলিয়া নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। নবীনচন্দ্র সেই ভিটে খুঁজে বার করেন। অবশ্য তাকে এই কাজে সাহায্য করেছিল রানাঘাট, শান্তিপুর ও -ফুলিয়ার বিদ্বৎসমাজ। পরবর্তী সময়ে এই স্থানেই মহাকবির স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়।
নবীনচন্দ্র সেন এর রচনা: Written by Nabinchandra Sen
স্বদেশপ্রেম ও আত্মচিন্তামূলক কবিতার সংকলন অবকাশরঞ্জিনী নবীনচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, প্রকাশিত হয় ১৮৭১ খ্রিঃ। নবীনচন্দ্রের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ পলাশীর যুদ্ধ প্রকাশিত হয় ১৮৭৫ খ্রিঃ। এই গ্রন্থ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। পলাশীর প্রান্তরে বাঙ্গালী তথা ভারতবাসীর পরাজয়ের মাধ্যমে ইংরাজ ভারতভূমিতে রাজ্যশাসনেবঅধিকার হস্তগত করেছিল এই কাহিনী কবি এমনভাবে ব্যক্ত করেছিলেন যে তা দেশবাসীকে স্বাদেশীকতায় উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিল। নবীনচন্দ্র দেশ প্রেমিক কবি হিসাবে খ্যাতি লাভ করলেন। এর ফল হল, নবীনচন্দ্রকে তার উধ্বতন রাজকর্মচারির বিরাগভাজন হতে হল। ইতিমধ্যে রৈবতক, কুরুক্ষেত্র ও প্রবাস প্রকাশিত হলে নবীনচন্দ্রের কবিখ্যাতি আরও বৃদ্ধি পায়। এই তিন কাব্যগ্রন্থে তিনি মহাভারতের ঘটনার মৌলিক ব্যাখ্যা করেন। ১৯০৯ খ্রিঃ কবি কর্মস্থল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সর্বমােট চোদ্দটি গ্রন্থ নবীনচন্দ্র রচনা করেন। তার মধ্যে ক্লিওপেট্টা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র ও অমিতাভ উল্লেখযােগ্য। আমার জীবন তার আত্মজীবনী। এই গ্রন্থে তৎকালীন সময়ের অনেক অজ্ঞাত কথা জানা যায়।
নবীনচন্দ্র সেন এর মৃত্যু: Nabinchandra Sen’s Death
১৯২৮ খ্রিঃ নবীনচন্দ্র পরলােক গমন করেন।