পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই দিকে দিকে অশান্তির ছবি। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন থেকে শুরু হয়েছে যা এখনও চলছে। প্রতিক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার ঘটলো উল্টোপূরাণ ,এবার শাসকদলের নেতাকে পিটিয়ে খুন করা অভিযোগ উঠলো কালিয়াচকের কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছিলেন।
এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদিন দুপুর ১টা ৩০ নাগাদ বাড়ি ফেরার সময় আক্রান্ত হন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুস্তাফা শেখ । সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। জানা গেছে, একদল লোক বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁকে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানেই ডাক্তাররা সেখ মুস্তাফাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনার পর রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য দাবি করেছেন, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।
মৃত মোস্তাফা শেখের পুত্রবধূ আখতারি জানান, এদিন দুপুর নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর শ্বশুড়। তখন ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করছিল,বাঁশ লাটি দিয়ে আমার শ্বশুরকে রাস্তায় ফেলে প্রচণ্ড মারে। কোনওরকমে ঘরের সামনে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান উনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।’এই ঘটনায় মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘এই দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে দলের ভিতর অশান্তি সৃষ্টি করছিল। পরে এরা কংগ্রেসে যোগ দেয়। দল ছেড়ে গিয়ে এখন তৃণমূলের লোকেদের হামলার নিশানা করছে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা’।
