ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বাংলার ভোটপ্রচারে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিষিদ্ধ করা হোক এই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

বাংলার ভোটপ্রচারে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিষিদ্ধ করা হোক এই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
বাংলার ভোটপ্রচারে জয় শ্রীরাম ধ্বনি নিষিদ্ধ করা হোক এই আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট

Bengaliportal: বাংলা নির্বাচনী প্রচারে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলার বিরোধিতায় দায়ের একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন এমএল শর্মা নামের এক আইনজীবী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ধর্মের নামে ভোট চাইতে বিজেপি নেতারা বাংলায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলেন। নির্বাচনী প্রচারে যাঁদের ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও আদালতে আর্জি জানান তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

গত ১ মার্চ আদালতে আবেদনটি জানান আইনজীবী শর্মা। তাতে বলা হয়, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ এবং ১২৫ ধারায় সাফ বলা রয়েছে যে ধর্মীয় স্লোগান এবং জাতপাত, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে যদি কোনও দল বা প্রার্থী, তাঁর এজেন্ট অথবা সহযোগীদের কেউ নির্বাচন প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন, তা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। বাংলার নির্বাচনে ধর্মীয় উস্কানি জোগাতে বিজেপি নেতারা লাগাতার তা করে চলেছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলে, আইনজীবী শর্মার ওই আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে বলা হয় তাঁকে। তা নিয়ে বিরোধিতা করেন ওই আইনজীবী। নির্বাচনী প্রচারে ধর্মীয় স্লোগানের বিরুদ্ধে কেন হাইকোর্টে যেতে হবে তাঁকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বুধবার আর একবার শুনানির আর্জি জানান। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি আদালত। শেষ পর্যন্ত তাঁ আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়।

শুধু তাই নয়, একই সময়ে নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও অসম, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরিতে যদি ১ থেকে ৩ দফার মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলা যায়, সে ক্ষেত্রে বাংলায় কেন ৮ দফায় ভোট করতে হচ্ছে, তা নিয়েও আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ওই আইনজীবী। তাঁর যুক্তি ছিল, বাংলায় সন্ত্রাসী হামলাও হয়নি। যুদ্ধ পরিস্থিতিও নেই। তা সত্ত্বেও ৮ দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। তাই নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত বদলের নির্দেশ দিতে বলেন আদালতকে। কিন্তু আবেদনকারীর যুক্তির সঙ্গে একমত নন বলে সেটিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

Leave a Reply