বেঙ্গলি পোর্টাল: “বাচ্চাদেরই যদি ঢোকা নিষেধ হয়, তবে আর চিড়িয়াখানা খুলে রাখা কেন? ফটক বন্ধ করে দিলেই হয়!” এই ঝঞ্ঝাট থেকে নিস্তার পেতে শেষ পর্যন্ত বাচ্চাদের নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে দর্শকদের ছাড়পত্রই দিয়েই দিল আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
কোভিড বিধি মেনে দশ বছরের নিচে কোনও বাচ্চার ঢোকার অনুমতি ছিল না চিড়িয়াখানায়। পুজোর মধ্যে ক’দিন বন্ধ রেখে আবার চিড়িয়াখানা খুলতেই সেই এক চিত্র। বরং এবার আরও বেশি। অনুরোধ থেকে এবার দাবি, কখনও চোখরাঙানি। অনেকক্ষেত্রে কিছুক্ষণ গজগজ করে শেষ পর্যন্ত ফিরে গিয়েছেন অভিভাবকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
❒ প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এক বাচ্চার মা, তাঁর সঙ্গে আরও লোকজন ছিলেন। সকলেই আত্মীয়-পরিজন। নিজেদের বাচ্চাদেরও সঙ্গে এনেছেন। বারবার বলা সত্ত্বেও কথা শোনেন না। নাছোড়। ভিতরে যেতে তাঁদের দিতেই হবে। তাঁদের ঝঞ্ঝাট সামলাতে গিয়ে বাকি দর্শকরাও আটকে পড়েছিলেন গেটের বাইরে। এভাবে ভিড় বেড়ে গেলে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠত। তার থেকে সকলকেই ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হল। তবে প্রত্যেককে চিড়িয়াখানার ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। চিড়িয়াখানা খোলা ইস্তক গেল রবিবারই সব থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল। প্রায় ২৭০০ দর্শকের সমাগম হয়েছিল। তাঁদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সব পদক্ষেপ মেনে চলতে হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢোকার মুখে সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং করে স্যানিটাইজার হাতে মেখে ঢুকতে হয়েছে দর্শকদের। এনক্লোজারের ধারে কাউকে পৌঁছতে দেওয়া হয়নি। কোথাও জটলা করতে দেওয়া হয়নি কোনও দর্শককে।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে বন্ধ হতে চলেছে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যশালী পৌষমেলা
অধিকর্তা আশিস সামন্ত জানাচ্ছেন, “মানুষ চিড়িয়াখানা নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহী। তাঁরা পশুপাখিদের দেখতে চান। জানতে চান অনেক কিছু। তাঁদের কথা রাখতেই আবার লাইভ হচ্ছে।” এই পর্বেই বেশ কিছু প্রাণী একাধিক সন্তানের জন্ম দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।