কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । রাজ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে গেছে। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুট মার্চের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।
সব জেলার জেলা শাসকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে গেছে। যখন শান্তিপূর্ণভাবে একটা ভোট প্রক্রিয়া গ্রহণ করার দিকে এগোচ্ছে কমিশন, ঠিক সেই পরিস্থিতিতে গত ১২ জুন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলাদা করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন । কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন থাকা সত্ত্বেও এই অতি সক্রিয়তা কেন, অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতেই NHRC- এর পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারি.জ করে দিল হাইকোর্ট!আজ শুক্রবার মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে দাবি করা হয় যে, একটি বিধিবদ্ধ সংস্থার উপর আরেকটি বিধিবদ্ধ সংস্থা এভাবে নজরদারি করতে পারে না। নিয়ম অনুসারে নির্বাচনে যেকোনও ধরনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা একমাত্র নির্বাচন কমিশনের রয়েছে, অন্য কারোর নয়। সেক্ষেত্রে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত রীতিমতো বেআইনি। সব শোনার পর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন।