[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের মতো দেশে কোনায় কোনায় প্রতিভাবানদের ছড়াছড়ি লক্ষ্য করা যায়। তবে এর মাঝেও এমন কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে এখনো পর্যন্ত শিক্ষার আলো সেইভাবে পৌঁছাতে পারেনি। শিক্ষার আলো পৌঁছাতে না পারা এই সকল গ্রাম ছাড়াও এমন কোন গ্রামের সন্ধান নেই বললেই চলে যেখানে ঘরে ঘরে চাকরি।
তবে এই বিরল প্রতিভা তৈরি করেছে আমাদের পাশের রাজ্য বিহারের একটি গ্রাম। বিহারের এই গ্রামটি অনেক ছোট গ্রাম হলেও এই গ্রামের ঘরে ঘরে IIT ইঞ্জিনিয়ার। ঘরে ঘরে এইভাবে IIT ইঞ্জিনিয়ার থাকার কারণে গ্রামটি এখন পরিচিতি লাভ করেছে ভিলেজ অফ IITians নামে। একসময় এই গ্রামটি বিখ্যাত ছিল তাঁত শিল্পের জন্য। তবে এখন আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করার জন্য বিখ্যাত।
যে গ্রামটির কথা বলা হচ্ছে সেই গ্রামটি হল বিহারের গয়া জেলার পাটোয়া টলি গ্রাম। এই গ্রামের ছেলেরা গত ২৬ বছর ধরে এই আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। গ্রামের কয়েক ডজন ছেলে নির্বাচিত হন আইআইটি এবং এনআইটি-এর জন্য। এক সময় এই গ্রাম বিহারের ম্যানচেস্টার নামে পরিচিত ছিল মূলত তাঁত থেকে চাদর, গামছা ইত্যাদি তৈরির জন্য। এখন এই গ্রামের বাড়িতে বাড়িতেই আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার।
গ্রামের ছেলেমেয়েদের এইভাবে সাফল্য অর্জনের পিছনে একটি লাইব্রেরীর অবদান রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই লাইব্রেরী গ্রামের মানুষেরাই নিজেদের আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকেন। ১৯৯৬ সাল থেকে সেখানকার ছেলেমেয়েরা আইআইটি-তে ভর্তি হওয়া শুরু করেন। এরপর থেকেই এখানকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে আলাদা জেদ এবং প্রতিভা দেখা যায়। প্রায় প্রত্যেকেই আইআইটি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন।
৯০ এর দশকে এই গ্রামের আর্থিক অবস্থা একদম ভেঙে পড়েছিল। সেই সময়ই এলাকার তন্তুবায় শ্রেণীর মানুষেরা তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার উপর জোর দিতে শুরু করেন এবং তাদের একাগ্রতার সঙ্গে পড়াশোনা করতে বলেন। এছাড়াও এখানকার আইআইটি ইঞ্জিনিয়াররা সংগঠিতভাবে একটি সংগঠন তৈরি করেছেন এবং গ্রামের ছেলে মেয়েদের আইআইটিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য পড়াশোনার ক্ষেত্রে সমস্ত রকম সাহায্য করেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামের দশ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই এখন ইঞ্জিনিয়ার।
[ad_2]