ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

গুরু পূর্ণিমা কিসের জন্য পালিত হয় বা এইদিনের বিশেষ কি তাৎপর্য রয়েছে?

গুরু পূর্ণিমা কিসের জন্য পালিত হয় বা এইদিনের বিশেষ কি তাৎপর্য রয়েছে?

[ad_1]

গুরু পূর্ণিমা আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে যা একটি বৈদিক প্রথা। এই দিনের শিষ্য তার গুরুকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন জানায়। তাই সেই থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষভাবে এই দিনটিকে গুরু পূর্ণিমা উদযাপন করার প্রচলন হয়ে আসছে। গুরু মানে যিনি অন্ধকার দূর করেন এবং আলোর পথ দেখান।

একটি সংস্কৃত শ্লোকের মাধ্যমে গুরুকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়, যার বাংলার অর্থ হল — ‘জীবনে গুরুই হলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু মহেশ্বর।’ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, বেদব্যাসকে বিশ্বের গুরু হিসেবে দেখা হতো। কথিত আছে তার পাঁচ জন শিষ্যকে নিয়ে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক অটুট রাখতে গুরু পূর্ণিমার প্রচলন করেছিলেন ব্যাসদেব।

গুরু পূর্ণিমা কিসের জন্য পালিত হয় বা এইদিনের বিশেষ কি তাৎপর্য রয়েছে?

এই বিশেষ উৎসবের গুরুত্ব রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মেও। উত্তরপ্রদেশের সারনাথে গৌতম বুদ্ধের প্রথম পাঁচ জন শিষ্যকে বৌদ্ধ ধর্মের উপদেশ দেওয়ার পরম্পরাকে সঙ্গে নিয়েই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়। শাস্ত্র মতে, আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা অর্থাৎ রথ যাত্রার পরের পূর্ণিমাটি গুরু পূর্ণিমা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।

ষোলকলায় পূর্ণ একটি আস্ত চাঁদযুক্ত তিথি হলো এই পূর্ণিমা, যা সম্পূর্ণতার প্রতীক। সম্পূর্ণতা না থাকলে, আরাধ্য পাওয়া যায় না। সম্পূর্ণতার মূর্ত প্রতীক পূর্ণিমা। আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিটি শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাসদেবের আবির্ভাবের তিথি। অর্থাৎ এটিকে ব্যাসপূর্ণিমাও বলা হয়। জীবনের যিনি গুরু, তাকেই আজ স্মরণের দিন, সাধনের দিন।

[ad_2]

Leave a Reply