ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

দাদার মত ভাইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে নেটিজেনদের এক হাত দিলেন কিং কোহলি

[ad_1]

প্রবল চাপের মুখে দুরন্ত অর্ধ শতরান করেছেন। তবুও হার বাঁচানো গেল না। এরমধ্যে আবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে হারের জন্য গোটা দেশের কাছে ‘ভিলেন’ বনে গিয়েছেন অর্শদীপ সিং।

১৯তম ওভারে আসিফ আলির লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন তরুণ পেসার। এই ‘অপরাধ’-এর জন্য এক শ্রেণির নেটিজেনরা তাঁকে অপমান করছেন। অর্শদীপের সঙ্গে নাকি খালিস্তানিদের যোগাযোগ আছে! এমন কটাক্ষ করে তাঁকে বিদ্ধ করা হচ্ছে। তবে যাবতীয় ট্রোলিং-কে পাত্তা দিতে রাজি নন বিরাট কোহলি। প্রকৃত ‘দাদা’-র মতো ‘ভাই’-এর পাশে দাঁড়ালেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বিরাট বলেন, ‘চাপের মুখে যে কোনও ক্রিকেটার এমন ভুল করে। এ রকম একটা বড় ম্যাচ, এত কঠিন পরিস্থিতি। চাপের মুখে এমন ভুল হতেই পারে। আমার মনে আছে, এক বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলাম। সেই প্রথম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা।

শাহিদ আফ্রিদির বলে একটা খারাপ শট মেরেছিলাম। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত জেগেছিলাম। শুধু ছাদের দিকে তাকিয়েছিলাম। ঘুমই আসছিল না। ভেবেছিলাম আর কোনও দিন সুযোগ পাব না। আমার কেরিয়ার শেষ।’

এরপর তিনি আরও যোগ করেন, ‘এখন আমাদের দলের পরিবেশ অনেক ভাল। কাল যখন সবাই একসঙ্গে হব, হাসাহাসি করব, সেটা দেখে অর্শদীপ নিশ্চয়ই অনেকটা চাপমুক্ত হবে। আমি টিম ম্যানেজমেন্টকে কৃতিত্ব দেব।

ওরা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে কেউই ব্যর্থতায় ডুবে যায় না। নতুন উদ্যমে ফিরে আসে। এ রকম পরিবেশে যে কোনও ক্রিকেটার চাইবে, আবার সুযোগ আসুক। তখন অর্শদীপ নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে।’

ভারতের বিরুদ্ধে বদলার ম্যাচ জেতার জন্য ফাটকা খেলেছিলেন বাবর আজম। চারে মহম্মদ নওয়াজকে ক্রিজে পাঠিয়ে দেন। বাকিটা ইতিহাস। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কও মনে করেন, নওয়াজের মারকাটারি মেজাজে ২০ বলে ৪২ রানের ইনিংস ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিরাটের প্রতিক্রিয়া, ‘মহম্মদ নওয়াজের ইনিংসটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল। ওকে আগে পাঠিয়ে একটা ফাটকা খেলেছিল পাকিস্তান, যাতে পরের দিকে পরিস্থিতি কঠিন হলে ওদের হাতে উইকেট থাকে। সবাই বাবর কিংবা রিজওয়ানের থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা করে। নওয়াজ যদি ১৫-২০ রানের ইনিংস খেলে তাহলে বিপক্ষ চাপে পড়বেই। এই ম্যাচে সেটাই হল।’

দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মার দাপটে মাত্র ৫.১ ওভারে ৫৪ রান তুলে ফেলেছিল ভারত। কিন্তু দুই ওপেনারের উইকেট ছুড়ে আসা, এবং মিডল অর্ডারের ব্যাটারদের ব্যর্থতার জন্য ৭ উইকেটে আটকে যায় টিম ইন্ডিয়া। বিরাট মনে করেন ২০০-র বেশি হলে পাক দল চাপে থাকত।

তিনি যোগ করেন, ‘আমাদের হাতে যদি আরও দুটো উইকেট থাকত তা হলে রানটা আরও বেশি হত। মাঝের ওভারগুলিতে আমরা অনেকগুলো উইকেট হারাই। তখন উইকেট থাকলে আরও ২০-২৫ রান বেশি হতে পারত আমাদের।’

তবে বিরাট এমন মন্তব্য করলেও রোহিত কিন্তু তাঁর সতীর্থের সঙ্গে একমত নন। বরং ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে রোহিত দাবি করেন ১৮১ রান যেকোনও উইকেটে জেতার মতো রান। বোলাররা ঠিক জায়গায় বল রাখতে পারলে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘দুইয়ে দুই’ করা যেত।

চলতি এশিয়া কাপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর স্কোরলাইন এখন ১-১। ভারতকে হারিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে। বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত।

সেখানে এই ম্যাচ হেরে টিম ইন্ডিয়ার কাছে বাকি দুই ম্যাচ ‘ডু অর ডাই’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে হারাতে পারলে তবেই ফাইনাল খেলার টিকিট পাবে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড।

সেটা হলে ফের আর এক রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ফাইনালে দেখা যাবে ‘মাদার অফ অল ব্যাটেল’। তাই দুটি ম্যাচ জিতলে ভাল, না হলে ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত রোহিতদের অপেক্ষা করতে হবে।



[ad_2]

Leave a Reply