ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বাঁহাতি পেসার ছাড়াই রোহিত কোহলিদের বুকে কাঁপন ধরাবে পাকিস্তান !

বাঁহাতি পেসার ছাড়াই রোহিত কোহলিদের বুকে কাঁপন ধরাবে পাকিস্তান !

[ad_1]

হোক তা ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের সঙ্গে সেভাবে পেরে ওঠে না পাকিস্তান। আইসিসি ইভেন্টে আরও নাজেহাল অবস্থা। এমনিতে গত কয়েক বছর দুই দেশের পারস্পরিক মোকাবিলাতেও ভারতের প্রাধান্য এখন অনেক বেশি।

ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, গত ৫-৬ বছরে বছরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের সাফল্য হাতেগোনা। ভারতের সাফল্য একচেটিয়া। এর মধ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুটি স্মরণীয় জয় আছে পাকিস্তানের। একটি ২০১৭ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে, অন্যটি গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

২০১৭ সালেরর ১৮ জুন ইংল্যান্ডের লন্ডনের ওভালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে ১৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। দারুণ সেঞ্চুরি (১০৬ বলে ১১৪) করে পাকিস্তানের জয়ের রুপকার ও ম্যাচসেরা হয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার ফাখর জামান।

একইভাবে গত বছর ২১ অক্টোবর দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয়দের ১০ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে জোড়া হাফসেঞ্চুরি উপহার দিয়ে দল জিতিয়ে বিজয়ীর বেশে সাজঘরে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম (৫২ বলে ৬৮) ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫৫ বলে ৭৯)।

কিন্তু দুই ম্যাচের চালচিত্র পরিস্কার জানান দিচ্ছে, দুইবারই পাকিস্তান জিতেছে তাদের নাম্বার ওয়ান স্ট্রাইক বোলার মোহাম্মদ আমির ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বিধ্বংসী প্রথম স্পেলের কারণে। বলার অপেক্ষা রাখে না, আমির ও শাহিন- দুজনই বাঁহাতি পেসার। তাদের বারুদে প্রথম স্পেলে লন্ডভন্ড হয়েছে ভারতের টপঅর্ডার।

অর্থাৎ ব্যাটারদের অতি কার্যকর পারফরম্যান্সের পরও ভারত বধে পাকিস্তানের ‘ট্রাম্পকার্ড’ ছিলেন দুই বাঁহাতি পেসার আমির ও শাহিন। পাঁচ বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফাখর জামানের সেঞ্চুরির পাশাপাশি আজহার আলি (৫৯) ও মোহাম্মদ হাফিজের (৫৭) জোড়া ফিফটিতে পাকিস্তান পেয়েছিল ৩৩৮ রানের বড় পুঁজি।

কিন্তু বোলিংয়ে কাজের কাজ করে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। তার বাঁহাতের আড়াআড়ি বা কৌণিক সুইংয়ের পাশাপাশি ভেতরে আসা ডেলিভারি সামলাতে গিয়ে চরমভাবে পর্যুদস্ত হন ভারতের তিন বাঘা ব্যাটার রোহিত শর্মা (০), শিখর ধাওয়ান (২১) ও বিরাট কোহলি (৫)। আমিরের বোলিং তোড়ে ৬ রানে ২ ও ৩৩ রানে তিন ব্যাটিংস্তম্ভকে হারিয়ে সেই যে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ভারত আর সামনে এগোতে পারেনি।

একইভাবে গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই বাঁহাতি ফাস্টবোলিং দিয়েই ভারতীয়দের কাবু করেছে পাকিস্তানিরা। আরেক বাঁহাতি শাহিন আফ্রিদির প্রচন্ড গতি ও ধাঁরালো সুইংয়ের মুখে আরও একবার শুরুতে মুখ থুবড়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারায় ভারত।

প্রথম স্পেলে দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল (৩) ও রোহিত শর্মাকে (০) প্রথম দুই ওভারে আউট করে পাকিস্তানকে এগিয়ে দেন শাহিন। পরে এসে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও (৫৭) আউট করেন, ১৫১ রানেই থেমে যায় ভারত।

সময়ের প্রবাহে আমির এখন দলেই নেই। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমিরাতের দুবাই স্টেডিয়ামে ভারতের ব্যাটিং মেরুদন্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া শাহিন আফ্রিদি চোটের কারণে মাঠের বাইরে। তাই জাগে প্রশ্ন, আবার সেই দুবাই স্টেডিয়ামে আজ ভারত বধে অধিনায়ক বাবর আজমের ‘তুরুপের তাস’ হবেন কে?

ইতিহাস-পরিসংখ্যান সাক্ষী দিচ্ছে, সেই ওয়াসিম আকরামের আমল থেকে থেকে শুরু, তারপর আমির ও শাহিন- বরাবরই ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের জয়জয়কার। বারবার এই বাঁহাতি পেসাররা গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। তাদের প্রথম স্পেলেই নিশ্চিত হয়েছে ম্যাচ।

অথচ এবার এশিয়া কাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে সেই অতি কার্যকর ও ধাঁরালো বোলিং অস্ত্রই নেই পাকিস্তানের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাকিস্তান ফ্রন্টলাইন বোলিংয়ে নেই কোন বাঁহাতি পেসার।

অফস্টাম্পের বাইরে বাড়তি গতি, একটু বেশি উচ্চতায় লাফিয়ে ওঠা কৌণিক ডেলিভারির সঙ্গে দ্রুতগতিতে ভেতরে আসা বিপজ্জনক ডেলিভারি ছোড়ার মতো বাঁহাতি পেসার নেই পাকিস্তানের।

ডানহাতি হাসান আলি, হারিস রউফ, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন ও শাহনাজ দাহানিরা কি বাঁহাতি শাহিন আফ্রিদির অভাব পূরণ করতে পারবেন? তাদের ডানহাতি বোলিং কি ভারতীয় টপঅর্ডারের ওপর ততটা প্রভাব ফেলতে পারবে? আজ রাতেই তা জানা হয়ে যাবে।

[ad_2]

Leave a Reply