[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙের ছাতা আশা করা যায় অধিকাংশ মানুষই দেখেছেন। এই ব্যাঙের ছাতা বা মাশরুমের দাম বাজারে বিপুল। পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুম চাষ অনেকে করে থাকেন বেশি লাভের জন্য। তবে সেই সকল ক্ষেত্রে ব্যাঙের ছাতার সাইজ বড়জোর ৫ ইঞ্চি বা তার কমবেশি হয়ে থাকে। তবে এর বাইরে মুর্শিদাবাদে দেখা গেল ৪ ফুটের বিশাল ব্যাঙের ছাতা।
কথায় আছে বৃষ্টির সময় ব্যাঙেরা ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়। যে কারণেই নাকি এর নামকরণ করা হয়েছে ব্যাঙের ছাতা। এমনিতেও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন পুকুর ঘাটে এই ধরনের ব্যাঙের ছাতার দেখা মিললেও ৪ ফুটের ব্যাঙের ছাতা ভাবাটাই কেমন আশ্চর্যজনক। গল্পে, কার্টুনে এসব ক্ষেত্রে এই ধরনের বিশাল ব্যাঙের ছাতার দেখা মিললেও বাস্তবে সচরাচর দেখা যায় না। যে কারণেই এত বড় ব্যাঙের ছাতা দেখে এখন স্থানীয় বাসিন্দারা ছবি তুলতে ব্যস্ত।
চার ফুটের এমন বিশাল ব্যাঙের ছাতাটির দেখা মিলেছে মুর্শিদাবাদ জেলার আজিমগঞ্জ ব্লকে। সেখানে মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাহালিপাড়ায় সম্প্রতি এই বড় ব্যাঙের ছাতার দেখা মিলেছে। ঝোপঝাড়ের মাঝে একটি বাড়ির পাশে এই বড় আকৃতির ব্যাঙের ছাতা গজিয়ে উঠেছে।
বড় মাপের ব্যাঙের ছাতা একসঙ্গে তিনটি গজিয়ে উঠেছে। প্রথমদিকে সাধারণ ব্যাঙের ছাতার মতো থাকলেও সেগুলি ধীরে ধীরে এত বড় আকার নিচ্ছে যে তার মধ্যে একটি উচ্চতা প্রায় চার ফুট। বাকি দুটি আকারে কিছুটা ছোট হলেও তাদের উচ্চতাও তিন ফুটের কম হবে না। অন্যদিকে যত দিন যাচ্ছে এই ব্যাঙের ছাতাগুলি বড় হচ্ছে।
এসব দেখে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা যেমন এমন বড় মাপের ব্যাঙের ছাতা দেখতে এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন, ঠিক তেমনি আবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এটিকে প্রকৃতির উপহার বলে ধুপধুনো দিয়ে পূজো শুরু করেছেন। অন্যদিকে যারা এই বড় ব্যাঙের ছাতা দেখতে আসছেন তারা জানিয়েছেন, এর আগে অনেকবার ব্যাঙের ছাতা দেখেছেন, তবে এত বড় ব্যাঙের ছাতা কখনো দেখেননি।
[ad_2]