ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

কাঁদছে আমূল কন্যা,চলে গেলেন আমূল কন্যার স্রষ্টা

চলে গেলেন আমুল কন্যার স্রষ্টা
চলে গেলেন আমুল কন্যার স্রষ্টা

বিশ্বের সবথেকে বড় দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা আমূল। আমূল বলতেই প্রথমেই যেই ছবিটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেটা একটি ছোট্ট মেয়ের ছবি যার মাথার চুলের রং নীল, গায়ে লাল পলকা ডটের ফ্রক, মাথায় রিবন। মেয়েটির মুখে মুচকি হাসি। সে কখনও একহাতে আমূলের মাখন নিয়ে আবার কখনও একহাতে আমূলের দুধের গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই মেয়েটি ভারতের সর্বাধিক পরিচিত বিজ্ঞাপনী ম্যাসকট- আমূল কন্যা

দেশের মানুষের কাছে পরিচিত আমুল কন্যা। গত ছয় দশক ধরে সামাজিক,অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক হোক বা ক্রীড়াজগতে ভারতের উত্‍কর্ষ- প্রতিটি বিষয়ের উপরেই সময়ানুযায়ী বিজ্ঞাপনে ভেসে উঠেছে আমুল-কন্যার মুখ। আর সেই ‘আটারলি বাটারলি’ আমুল কন্যার স্রষ্টা সিলভেস্টার দা কুনহা গতকাল মঙ্গলবার মুম্বইতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।

১৯৬৬ সালে দেশে সাদা বিপ্লবের জনক ভার্গিস কুরিয়েনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল আমুলের পথ চলা। আর প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে দুগ্ধজাত পণ্য উ‍ত্‍পাদক সংস্থাকে পরিচিত করার জন্য বিজ্ঞাপন জগতের অন্যতম কিংবদন্তী সিলভেস্টার দা কুনহাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভার্গিস কুরিয়েন। সেই দায়িত্ব পেয়েই মাথায় ঝুঁটি বাঁধা, লাল-সাদা ফ্রক পড়া এক দুষ্টমিষ্টি মেয়েকে আমুল কন্যা হিসেবে হাজির করেন সিলভেস্টার। গত ৫৭ বছর ধরে দেশের প্রতিটি ঘরে-ঘরে পৌঁছে গিয়েছে ওই আমুল কন্যা। এতটাই জনপ্রিয় আটারলি-বাটারলি গার্ল যে আমুলের পরিচালন সমিতিতে বার বার বদল ঘটলেও আমুল কন্যার কোনও বদল হয়নি।সিলভেস্টার দা কুনহার মৃত্যুর খবরে কার্যত মুহ্যমান আমুলের প্রাক্তন এবং বর্তমান আধিকারিকরা। সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর এস সোধির কথায়, ‘আমুল কন্যাকে সৃষ্টি করে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে আমুলকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন সিলভেস্টার। তাঁর মৃত্যু আমার কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি।’

Leave a Reply