[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে নিজের কণ্ঠস্বরের যাদুতে আজ তিনি পৌঁছে গিয়েছেন মুম্বাই থেকে বিশ্ব। মুর্শিদাবাদের এই ছেলেটি এত বড় সেলিব্রেটি হয়ে উঠলেও তার মধ্যে সেলিব্রেটিসুলভ আচরণ সেই ভাবে দেখা যায় না। বরং তিনি সবসময় মাটির কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন। যে কারণে তাকে তার অনুরাগীরা মাটির ছেলে বলেই সম্মোধিত করেন।
বছরের বিভিন্ন সময় কাজের কারণে তাকে মুম্বাই অথবা অন্য কোথাও থাকতে হলেও সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে আসেন মুর্শিদাবাদে। বলাই বাহুল্য এলাকার টানে অধিকাংশ সময় তাকে এখানেই থাকতে দেখা যায়। এই অরিজিত সিং এবার পা রাখলেন জনসেবায়। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে মেয়েদের জন্য তিনি এমন একটি উদ্যোগ নিতে চলেছেন যা শুনলে আপনিও গর্বিত হয়ে উঠবেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে অরিজিৎ সিং হঠাৎ হাজির হন বন্ধু শংকর মন্ডলের নার্সিং কলেজে। একেবারে সাদামাটা পোশাকে সেখানে তাকে হাজির হতে দেখা যায়। আচমকা তাকে হাজির হতে দেখে স্বাভাবিকভাবেই নার্সিং কলেজের ওই ছাত্রীরা আপ্লুত হয়ে যান। তবে এইভাবে হঠাৎ তার সেখানে উপস্থিত হওয়ার কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সামনে আসে।
অরিজিৎ সিং তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এলাকায় একটি ইংরেজি কোচিং সেন্টার খুলতে চান। সেই কোচিং সেন্টার থেকে বিনামূল্যে এলাকার পড়ুয়াদের ইংরেজি কোচিং দেওয়া হবে। এই কোচিং সেন্টার খোলার জন্য আটটি ঘরের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ওই নার্সিং কলেজে ঘরের ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা তিনি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন।
শংকর মন্ডল জানিয়েছেন, থানা থেকে কিছুটা দূরে নার্সিং কলেজে সকাল ছয়টা থেকে সকাল আটটা এবং বিকাল পাঁচটা থেকে রাত্রি আটটা পর্যন্ত কোচিং সেন্টার চালানোর জন্য অরিজিৎ সিং অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই সময় নার্সিংয়ের কোন ক্লাস হয় না, যে কারণে এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। মনিটর দেওয়া অরিজিৎ সিং এর ওই বড় হলঘর পছন্দ হয়েছে।
[ad_2]