ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মুলো খান – জানুন মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন: মুলো হলো পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশেষ পরিচিত সবজি। মুলোকে আমরা নানান ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি যেমন রান্না, শ্যালড ও সকালের হালকা টিফিনের জন্য মুড়ির সাথে ব্যবহার করে থাকি। মুলো হলো একটি রুচিকর ও সু-স্বাধু খাদ্য। মূলােতে রয়েছে অ্যামিলেস ডায়াসটোস, ভিটামিন-সি, ফোলিক অ্যাসিড ও অ্যান্থােসায়ানি, আয়রন ও প্রােটিন ইত্যাদি।

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মুলো খান – জানুন মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন – সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মুলো খান

(ক) ভাত, রুটি খাওয়ার সঙ্গে মুলো নুন দিয়ে খেলে রুচি বাড়ে।

(খ) কচি মুলো স্যালাড খেলে খিদে বেড়ে যায়।

(গ) মুলোর মধ্যে আছে জ্বর সারাবার গুণ।

(ঘ) পিলের রােগে পরম উপকারী।

(ঙ) শীতকালে কাঁচা মুলো খেলে কাজে উৎসাহ বাড়ে, খাবার সহজে হজম হয় এবং শরীরের পুষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: গাজরের উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

(চ) মুলো শাক বেশি মাত্রায় খেলে প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার হয়ে গিয়ে শরীরের গ্লানি বেরিয়ে যায়।

(ছ) অর্শ রােগীরা মুলোর পাতা (শাক) বা মুলো শাকের রস খেলে উপকার পাবেন।

(জ) মুলোর চেয়ে মুলোর শাকেরই গুণ বেশি। মুলোর শাক সহজে হজম হয় ও খাওয়া দাওয়ায় রুচি বাড়ায়।

(ঝ) মুলোর শাক কাঁচা খেলে পিত্ত বৃদ্ধি পায় কিন্তু ঘিয়ে বা তেলে সাঁতলে নিয়ে শাক রান্না করে খেলে শরীরের পক্ষে সব দিক থেকে উপকারী।

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মুলো খান - জানুন মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে মুলো খান – জানুন মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

রোগ সারাতে মুলোর ব্যবহার – Benefits And Nutritional Value Of Radish:

১। খিচুনি রোগে: শুকনাে মুলোর ঝােল বা সুপ রান্না করে এক ঘণ্টা অন্তর আধকাপ করে গরম গরম পান করালে খিচুনি সারে।

২। গ্যাসের সমস্যা: দুপুর বা রাতে গুরু-পাক ভােজনের পরে মুলোর রসে পাতিলেবুর রস। মিশিয়ে খেলে পেটের ব্যথা ও গ্যাস কমে যায়।

৩। জল জমা ও ফুলাে কমাতে: মুলো আর তিল একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর-ফোলা কমে আর যদি ত্বকের নিচে কোনাে কারণে জল জমে তাও সেরে যায়। মুলোর পাতার ৫/৬ চামচরস খাওয়ালেও ফুলাে তাড়াতাড়ি কমে যায়।

৪। অর্শের কষ্টে: শুকনাে মুলোর স্যুপ খেলে এবং শুকনাে মুলো একটা কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে তার সেঁক দিলেও অর্শের কষ্টে আরাম পাওয়া যায়।

৫। কিডনি বা গলব্লাডারে: মুলো পাতার রসে সােরা মিশিয়ে খাওয়ালে পাথরি সারে। ৮ চা চামচ মুলোর বীজ আধ লিটার জলে ফুটিয়ে নিয়ে জল কমে অর্ধেক হয়ে গেলে সেই জল পান করালেও পাথরি রােগ (কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর হওয়া) সারে।

৬। মূত্রাবরােধ: মুলো পাতার রসে একটু সোডিয়াম বাইকার্বনেট মিশিয়ে খাওয়ালে প্রস্রাব পরিষ্কার হয় এবং কোন কারণে প্রস্রাব জমে থাকার কষ্ট (মূত্রাবরােধ) দূর হয়।

৭। বর্জ্য পদার্থ: যকৃৎ ও পেটের জন্য অত্যন্ত উপকারী মুলো। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ও টক্সিন বার করতে মুলো সাহায্য করে।

৮। ওজন নিয়ন্ত্রণ: মুলোতে ওয়াটার কনটেন্ট বেশি হওয়ায় দ্রুত পেট ভর্তি হয়, পেটও ভর্তি থাকে বেশিক্ষণ। কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় ওজন বাড়ার সমস্যাও প্রতিরােধ করে তােলে।

৯। কোষ্ঠকাঠিন্যে: মুলোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। মুলো কোষ্ঠ কাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

১০। হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত: মুলোতে থাকা অ্যান্থােসায়ানিন নামক ফ্ল্যাভেনয়ে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে।

১১। ইউরিন ইনফেকশন: ইউরিনের সমস্যা কম করতে মুলো সহায়ক। ছােটখাটো ইউরিন ইনফেকশনও মুলো সারিয়ে তােলে।

১২। মুলোতে রয়েছে ভিটামিন-সি, ফোলিক অ্যাসিড ও অ্যান্থােসায়ানিন কোলন কিডনি, পাকস্থলী ও ওরাল ক্যানসার প্রতিরােধ করতে সহায়ক।

১৩। মুলাের রস অর্শের সমস্যায় উপকারী।

১৪। হাই ব্লাড প্রেসারে খুবই উপকারী মুলো।

১৫। মুলোতে রয়েছে ভিটামিন-এ, সি এবং কে যা ত্বকের সমস্যার জন্য উপকারী।

১৬। শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুলো সহায়ক।

১৮। মুলোতে রয়েছে মাত্রা মতো প্রচুর আয়রন ও প্রােটিন।

১৯। রােগ প্রতিরােধ: ক্ষমতা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস থাকার ফলে শরীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।

২০। মুলো বাটা চামড়ায় ন্যাচারাল ক্লিনজার হিসাবে কাজ করে।

২১। শরীর ঠাণ্ডা: মুলো খেলে শরীরে হিট কম লাগে। লাল রঙের মূলাে খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।

২২। চুল মজবুত: মুলো খেলে চুল পড়া ও খুসকি নিয়ন্ত্রণে থাকে। আয়রন থাকার ফলে চুল মজবুত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে।

২৩। শরীরে ফাংগাস: শরীর থেকে নানা ধরনের ফাংগাস যেমন ক্যান্ডিডা, অ্যালবিকানস কে নির্মূল করতে সাহায্য করে। মুলোতে রয়েছে অ্যামিলেস ডায়াসটোস এর মতাে এনজাইম যা শরীরে ফাংগাস হতে দেয় না।

[বি.দ্রঃ- সুস্থ্য থাকতে মুলো অবশ্য খাওয়া দরকার সপ্তাহে অন্তত তিন বার।]

Leave a Reply