সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে পটল খান – জানুন পটলের উপকারিতা ও পুষ্টি গুন: আমাদের পশ্চিমবঙ্গে সবজির মধ্যে পটল অন্যতম ও বেশ জনপ্রিয় একটি সবজি। পটল একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাধু খাদ্য। পটলে রয়েছে নানান ভিটামিন যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী যেমন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
পটল সবজি হিসেবেই আমরা খেয়ে থাকি কিন্তু এই পটল ও এর বিচিতে রয়েছে অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা। যা আমরা অনেকেই জানিনা। পটল হজমশক্তি বাড়ায়, কাশি, জ্বর, রক্তস্বল্পতা কমায়। কৃমি সাড়ায় এবং শরীর ঠান্ডা রাখে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করে থাকে।
পটলের ইংরেজী নাম: Pointed Gourd
পটলের বিজ্ঞানসম্মত নাম:Trichosanthes dioica Roxb
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে পটল খান – জানুন পটলের উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
আমরা সকলেই পটলের সঙ্গে পরিচিত। পটলের অগণিত স্বাস্থ্য উপকারিতার রোগ প্রতিরোধের কথা আমরা অনেকেই জানিনা। এই সবজিটি একটি পুষ্টিকর খাদ্য ও ভিটামিনে ভরপুর । এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২ ও ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আয়ুর্বেদে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয় পটলকে। খাদ্য তালিকায় নিয়মিত পটল এর উপস্থিতি আপনাকে রাখতে পারে অনেক অসুখ-বিসুখ থেকে অনেক দূরে।
পটলের উপকারিতা ও পুষ্টি গুন – Benefits And Nutritional Value Of Pointed Gourd:
সাধারণ পটল সহজে হজম হয় এবং অন্য খাবার হজমে সাহায্য করে। পটল হার্টের পক্ষে ভাল, লঘুপাক, খিদে বাড়ায়, শরীর স্নিগ্ধ করে। কাশি, রক্তবিকার, শ্লেষ্ম বাত ও পিত্ত, জুর ও কৃমি সারিয়ে তােলে।
পটলের অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ গুণ:-
১। এলাচ দারচিনি ও লবঙ্গের গুঁড়াে মিশিয়ে খাওয়ানাে যেতে পারে।
২। শরীর জ্বালা: তেতাে পটলের ক্বাথ তৈরি করে মধু মিশিয়ে খেলে পিত্তজুর সারে, তৃষ্ণা নিবারণ হয় আর শরীর জ্বালা কমে।
৩। পিত্তজরে: তেতাে পটলের শিকড় সেদ্ধ করে সেই জল চিনি মিশিয়ে খাওয়ালেও পিত্তজরে উপকার হয়।
৪। কৃমি নাশ: ১০ গ্রাম ওজনের তেতাে পলতা, ১০ গ্রাম ধনে এক রাত এক কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালবেলা এই জল ছেকে নিয়ে মধু মিশিয়ে দিয়ে তিনবার খান সমস্ত কৃমি নাশ হবে।
৫। ফোঁড়া: পটল খেলে ত্বকের রােগেও লাভ হয়। তেতাে পটল ও তেতাে নিম পাতার ক্কাথ দিয়ে ফোঁড়া ধুয়ে নিলে তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
৬। টাকের পক্ষে: তেতাে পটলের পলতা পাতার রস টাকের পক্ষে উপকারী।এবং নতুন চুল উঠতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: মুলোর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
৭। জলের চাহিদা: গ্রীষ্মকালের এক প্রয়ােজনীয় অন্যতম সবজি হল পটল। পটলে রয়েছে প্রচুর জল, যা গরমে দেহে জলের চাহিদা মেটায়।
৮। ওজন নিয়ন্ত্রণে: পটলে ক্যালরির মাত্রা কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৯। কোষ্ঠকাঠিন্যে: কচি পটলের দানা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় উপকারী। এই দানা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টেরল কমায়।
১০। চোখের জন্য: পটলে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি। এতে থাকা ভিটামিন-এ চোখের জন্য উপকারী।
১১। হজমে: পটলে রয়েছে ফাইবার, যা পেট ভরিয়ে দেয়। ফলে খিদে কম পায়, এতে থাকা ফাইবার হজমে সহায়ক। এটি পেটের ছােটখাটো সমস্যাও রােধ করে।
১২। অকালবার্ধক্য: পটলে থাকা ভিটামিন-এ ও সি অকালবার্ধক্য, রিংকস ও ফাইন লাইন্স প্রতিরােধ করে।
১৩। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল: আয়ুর্বেদ মতে, পটল রক্ত পরিশুদ্ধ করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়।
১৪। ছােটদের কৃত্রিম সমস্যার সমাধান ও প্রতিরােধ করে পটল।
১৫। লিভারের সমস্যায় উপকারী পটল।
১৬। পটলে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাসিয়াম ও কপার রয়েছে।
১৮। পটলের পাতা পিত্তনাশ করে।
১৯। পটলের ডাটা কফ নাশ করে।
২০। পটলের ফল ত্রিদোষ (বায়ু, পিত্ত, কফ) নাশ করে।
২১। পটলের মূল তীব্র বিরেচক।