ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

বোর্ড পরীক্ষার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় শিক্ষামহল থেকে বোর্ড পরীক্ষার্থীরা

করোনা পরিস্থিতিতে বাতিলের পথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা
করোনা পরিস্থিতিতে বাতিলের পথে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা

Bengaliportal: করোনা পরিস্থিতিতে দশম শ্রেণির আইসিএসই এবং দ্বাদশ শ্রেণির আইএসসি পরীক্ষার বেশ কিছু নিয়ম পাল্টেছে আগেই। বৃহস্পতিবার ‘কাউন্সিল ফর দি ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশন’ -এর সচিব জেরি অ্যারাথুন জানান, নতুন নিয়মে লিখিত ও প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নিতে গিয়ে কোনও অসুবিধা হলে তা কাউন্সিলকে সরাসরি জানাতে হবে। স্কুলের শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরেই বিভিন্ন বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু এর মধ্যেই করোনার প্রকোপ ফের বাড়তে শুরু করায় পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা আশঙ্কায় রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্কুলগুলিকে নিয়মিত ভাবে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:

গত কয়েক মাস ধরে সাধারণ মানুষের একটি বড় অংশের মধ্যে বিধি মানায় অনীহা দেখা যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে মাস্ক না পরার প্রবণতা চোখে পড়ছে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে এই উদাসীনতায় রীতিমতো চিন্তিত চলতি বছরের রাজ্য বোর্ড, আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। তাঁদের আর্জি, লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর কথা ভেবে অন্তত করোনা নিয়ে সতর্ক হোন সাধারণ মানুষ। মাস্ক পরার মতো করোনা-বিধি মেনে চলা হোক।

রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোবে ২ মে। ৪ মে থেকে শুরু হয়ে যাবে আইসিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষাও শুরু ৪ মে থেকে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে জুন মাসে। প্রতিটি পরীক্ষাই হবে অফলাইনে, অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, এমনিতেই পরীক্ষা পিছিয়ে মে, জুন মাসে হচ্ছে। তাঁদের প্রশ্ন, এর পরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে ফের পরীক্ষার সূচি পাল্টে যাবে না তো?

গত বছরে করোনার জন্য উচ্চ মাধ্যমিকে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। গত বছরের কয়েক জন পরীক্ষার্থীর মতে, মাঝপথে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা মোটেই ভাল নয়। প্রসেনজিৎ মজুমদার নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘ছোট ছোট পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে মানুষ কি একটু সচেতন হবেন না? রাজনৈতিক সভায় মানুষ কেন মাস্ক পরে থাকছেন না? সভায় এত জমায়েতই বা কেন? ভোট যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমন বোর্ডের পরীক্ষাও যে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বোঝা দরকার। ফের সংক্রমণ বাড়লে পরীক্ষা যদি পিছিয়ে যায়, তা হলে পরীক্ষার্থীদের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে।’’

Leave a Reply