[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে একের পর এক তলব এড়ানোর পর অবশেষে বৃহস্পতিবার সিবিআই আধিকারিকরা ঘিরে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি। অনুব্রত মণ্ডলের দুই দরজায় দিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা বাড়িতে প্রবেশ করার পাশাপাশি পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সাত সকালে এইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আধিকারিকদের পৌঁছানোর পর শুরু হয়েছে চরম জল্পনা।
গত সপ্তাহে সিবিআই এবং ed যৌথভাবে বীরভূমে পৌঁছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম খান এবং অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টুলু মন্ডলের বাড়িতে হানা দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই হানা দেওয়ার পরই অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার কাণ্ডে তলব করে সিবিআই। সোমবার অনুব্রত মন্ডলের সেই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেন নি এবং এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরেন।
এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে ভর্তি নেওয়া না হলেও মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছাতে দেখা যায় বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একটি মেডিকেল টিমকে। সেই মেডিকেল টিমের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে দিয়ে ১৪ দিনের জন্য বেড রেস্ট লাগানোর আবেদন জানান অনুব্রত মণ্ডল বলেও অভিযোগ জানান ওই চিকিৎসক। এরপর ফের বুধবার তাকে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব পাঠায় সিবিআই। কিন্তু তাতেও সাড়া দেননি অনুব্রত মণ্ডল।
এরপরই বুধবার মধ্যরাতে সিবিআই-এর বিশাল টিম এসে পৌঁছায় বোলপুরের রতন কুঠি গেস্ট হাউসে। কলকাতা এবং দুর্গাপুর থেকে আসা সিবিআই-এর বিশাল টিমের পাশাপাশি সেখানে হাজির হন প্রায় এক কোম্পানি সমান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এরপরই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছে যান তারা।
অনুব্রত মন্ডলের বাড়ির দুটি গেট দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। বাইরে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী হিসাবে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর এখন সবাই তাকিয়ে পরবর্তী পরিস্থিতির দিকে। অনুব্রত মন্ডলকে কি তাহলে আজই গ্রেফতার করা হবে!
[ad_2]