[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজারের কাছাকাছি রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ২৭ হাজারের বেশি ট্রেন গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। এই বিপুল সংখ্যক ট্রেনের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি ট্রেন যাত্রীবাহী এবং বাকিগুলি পণ্যবাহী। বিপুল সংখ্যক এই ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করার পাশাপাশি প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এই রেল পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। যে কারণে এই রেল পরিষেবাকে গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়ে থাকে।
খরচ কম এবং স্বাচ্ছন্দ্যভাবে যাতায়াত করার পরিপ্রেক্ষিতে অল্প বেশি সব দূরত্বের ক্ষেত্রেই মানুষ ট্রেনের উপর নির্ভর করে যাতায়াত করতে চান। তবে অনেক ক্ষেত্রে ঘুর পথে যাতায়াতের কারণে সময় বেশি লাগায় তা থেকে বিরত থাকেন যাত্রীরা। এইরকম পরিস্থিতিতে এবার বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের জন্য সুখবর দিল ভারতীয় রেল।
বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের তাড়াতাড়ি হাওড়া আসার ক্ষেত্রে নতুন একটি ট্রেন চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ট্রেনটি খড়গপুর হয়ে ঘুরে নয় বরং বাঁকুড়া-মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি হাওড়ায় পৌঁছাবে। ইন্টারসিটি এই এক্সপ্রেসে বাঁকুড়া থেকে এবার সাড়ে তিন ঘন্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে হাওড়ায়। ঘুরপথে আগে যেখানে সময় লাগতো অন্ততপক্ষে সাড়ে চার ঘন্টা। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী এক ঘণ্টা বাঁচবে যাত্রীদের।
এই শর্টকাট রুটে ট্রেন চালানোর জন্য আগেই প্রাক্তন সাংসদ ও এক সময়ের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচার্য পূর্ব রেলের জিএম অরুণ অরোরার আবেদন জানিয়েছিলেন। পরিপ্রেক্ষিতে বাসুদেব আচার্য দাবি করেছেন, পূর্ব রেলের জিএম তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং সেখানে এই ট্রেন চালানোর জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা যাচ্ছে চলতি বছরেই নতুন এই ট্রেনটি চালু হয়ে যাবে এবং এই ট্রেনটি চালু হয়ে গেলে দক্ষিণ দামোদর তথা বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা এই পরিষেবার ফলে ব্যাপক উপকৃত হবেন। বিশেষত পাত্রসায়র, সোনামুখী ও ইন্দাসের মানুষজনকে কলকাতা আসতে বাঁকুড়া না হলে দূর্গাপুর এসে তারপর ট্রেন ধরতে হয়।
[ad_2]