ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী শুন্য বহু গ্রামপঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদ।

পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী শুন্য বহু গ্ৰামপঞ্চায়েত -জেলাপরিষদ।
পূর্ব বর্ধমানে বিরোধী শুন্য বহু গ্ৰামপঞ্চায়েত -জেলাপরিষদ।

দীপন চ্যাটার্জী, পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘ কয়েক মাসের অপেক্ষার পর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের দিন।শাসক থেকে বিরোধী সকলে কোমড় বেঁধে গ্ৰামদখলের লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন।গত 15ই জুন শেষ হয়েছে নমিনেশন জমা দেবার তারিখ। শাসকদলের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট ঘোষণার আগে এক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি প্রত্যেকটি ব্লকে নিজে গিয়ে জনসংযোগ করেছেন এবং জনগণের রায় গ্ৰহন করেছেন কাকে তারা প্রার্থী হিসেবে চাইছেন। সেইমতোই তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে উল্টোছবি, বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের সুপারিশ করা প্রার্থীকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় জনসংযোগ কর্মসূচীতে গিয়ে মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বিরোধীদের নমিনেশন করতে কোনো অসুবিধা হলে তাদের দল সাহায্য করবে। কিন্তু পূর্ব বর্ধমান জেলায় দেখা গেলো এক অন্যরকম চিত্র, মঙ্গলকোটে পাঁচটি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ। কেতুগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতি ও দুটি পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে সন্ত্রাসের বাতাবরণে তারা মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি। তৃণমূলের দাবি, প্রার্থী না থাকায় ওরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেনি। ৬৭১টি আসনে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬ আসনে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী নেই।

মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম এর পরে ভোট না হওয়ার তালিকা রয়েছে বর্ধমানের বেশ কয়েকটি জায়গায়। মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম, গতিষ্ঠা, লাখুরিয়া, মঙ্গলকোট ও জিলু ১নম্বর পঞ্চায়েতে তৃণমূল ছাড়া অন্য দলের কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। মঙ্গলকোট ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতে ২৪৪ টি আসনের মধ্যে ১৫৮টি আসনে তৃণমূল একাই মনোনয়ন দিয়েছে বাকি বিরোধীদলগুলো মনোনয়ন দিতে পারেনি।পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫টি আসনের মধ্যে ২৪ টি আসনে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও প্রার্থী নেই।

মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর দাবি, বিরোধীদের প্রার্থী না থাকায়, কেউ প্রার্থী দিতে না পারায় এই আসনগুলোতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক এলাকার সিপিএম নেতা শাহজাহান চৌধুরী অভিযোগ, ২০১৮ এর মতো সন্ত্রাস না হলেও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে সেই কারণেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৪৮টা সিট দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, কেতুগ্রামে 141 টি আসনে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই।তৃণমূলের সভাপতি তরুণ মুখার্জির দাবি, প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিরোধীরা।

Leave a Reply