বাঙালির কাছে মুড়ি মানে একটা আলাদা রকম অনুভূতি। সকাল, সন্ধ্যার জলখাবার মুড়ি । চা, তেলেভাজা, তরকারি, চানাচুর, যে কোনও কিছুর সঙ্গেই দারুণ জমে এই মুড়ি।
জানুন এই মুড়ির কিছু উপকারিতা:
কম ক্যালোরি ও গ্লুটেন-মুক্ত
মুড়িতে ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম। যে কারণে মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে না। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে অনায়াসে রাখতে পারেন মুড়ি। এ ছাড়াও, মুড়ি হল গ্লুটেন-মুক্ত খাদ্য। গ্লুটেন সেনসিটিভিটি বা সিলিয়াক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত খাবার মুড়ি।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
করেমুড়ি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে আপনার রক্তচাপও। এতে সোডিয়ামের মাত্রা কম। ফলে মুড়ি খাওয়ার পরে পেট ভরলেও রক্তচাপ বাড়ে না। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তারা রোজকার ডায়েটে মুড়ি রাখতেই পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে :
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মুড়ি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে শরীর সুরক্ষিত থাকে।কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধমুড়িতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। এই কার্ব কিন্তু দ্রুত আমাদের শরীরে শক্তি জোগাতে পারে। তাই দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পেতে মুড়ি খান।
হাড়ের শক্তি বাড়ায় :
মুড়িতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন থাকে। এই সব পুষ্টি শরীরে কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এটি হাড় শক্ত করে।
হজমে উন্নতি :
ঘটায়গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা, অম্বলের সমস্যা কমাতে পারে মুড়ি। মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য আসে। তাই অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে মুড়ি জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন।
এ ছাড়াও, ডায়রিয়া, পেপটিক আলসারের মতো বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ব্যাধির ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী মুড়ি।