[ad_1]
বিশ্বে আজও এমন অনেক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যার কোনও সন্ধান দিতে পারেনি ইতিহাস। তবে কিছু কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের গবেষণার ফলে প্রচুর অজানা তথ্য উঠে এসেছে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘রুন্মু প্রিজন’। ১৯৩০ সালে আবিষ্কৃত হওয়া এই জেলে প্রায় দুই দশক পর্যন্ত জেলে বন্দিদের আটকে রাখার জন্য আলাদা কোন কুঠুরি ছিল না।
সেই সময় সোভিয়েত রাশিয়া ছিল অবিভক্ত, তখন বন্দিদের রাখা হতো হাজতে। এলাকাটি প্রথমে পাথর তৈরির খনি ছিল। তাই বন্দিদের জোর করে এই খনিতে কাজ করানো হত। মাটির তলার জল সরবরাহ করা হতো পার্শ্ববর্তী শহর গ্রামাঞ্চলগুলিতে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ জল ধীরে ধীরে এই এলাকায় জমা হতে থাকায় বর্তমানে এই জেলটির অধিকাংশ জলের তলায় নিমজ্জিত।
এই জেলটি ইউরোপের উত্তরাংশে এস্তিনিয়ার অন্তর্গত। প্রায় ১৫০০টি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত এস্তিনিয়ার দ্রষ্টব্য স্থান গুলির মধ্যে অন্যতম এই রুন্মু প্রিজন। এখানকার ভূগর্ভস্থ জল চারিদিকে হ্রদের আকার ধারণ করেছে যার গভীরতা প্রায় ১০ মিটারের মতো। জলের উপরে আংশিকভাবে ডুবে থাকা এই জেলে প্রায় ৪০০ জন বন্দি ছিলেন এবং তারা মাটির তলায় জল পাম্পের কাজ করতেন।
কিন্তু ১৯৯৯ সালের পর এই জায়গাটির পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত জল পাম্প করে বের করার জন্যও কেউ ছিল না। এরপর দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা জল এই জেলখানার চারিপাশে একটি হ্রদের সৃষ্টি করেছে। তবে এই জলের তাপমাত্রা এতটাই শীতল ছিল যে এখানে ভ্রমণ করা মানুষদের মুখ থেকেই জানা যায়।
এই হ্রদের জলের উপরে দেখতে এক রকম বা জলের নিচে ডুবে থাকা অংশও কি একইরকম দেখতে এই নিয়ে নানান প্রশ্ন জাগে অনেকের মনে। এই কৌতুহল নিয়ে ফিনল্যান্ডের দুই ব্যক্তি জলের নিচে নেমে পড়েছিলেন। তাদের মতে জেলখানার যতটুকু জলের উপর রয়েছে তার সঙ্গে ডুবে থাকার কোনও অংশেরই মিল নেই। তাদের মতে জেলখানাটি কম দামি ধূসর ইট দিয়ে বানানো হয়েছে আর কোনও কোনও জায়গায় দেয়ালবাতি লাগানো ছিল।
এ ছাড়া জেলখানায় অসংখ্য কুঠুরি বানানো হয়েছিল যেগুলি বর্তমানে জলের তলায় নিমজ্জিত থাকার কারণে শৈবাল ও ছত্রাকের বাসায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য এই জায়গাটি স্কুবা ডাইভিং, জেট সার্ফিংসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারের প্রতিযোগিতা হয়। এর জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেন এখানে। একসময় রাশিয়ার লেবার ক্যাম্প হিসেবে কুখ্যাত ছিল ‘রুন্মু প্রিজন’ যা এখন ভ্রমণপিপাসুদের গন্তব্যস্থল।
[ad_2]