ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিপত্তি দাসপুরে।

রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিপত্তি দাসপুরে
রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিপত্তি দাসপুরে

রথযাত্রা বা রথদ্বিতীয়া একটি আষাঢ় মাসে আয়োজিত অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। ভারতের ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড , পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গে ও বাংলাদেশে এই উৎসব বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এছাড়া ইসকনের ব্যাপক প্রচারের জন্য এখন এটি বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর কৃষ্ণের বৃন্দাবন প্রত্যাবর্তনের স্মরণে এই উৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। আর এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করেই ঘটলো দূর্ঘটনা।শতাব্দী প্রাচীন রথ সাজিয়েগুছিয়ে রাস্তার ধারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেই রথেই ধাক্কা দিল চলন্ত ট্রাক। যার জেরে রথের চাকা তো ভাঙলই, ভেঙে গেল রথের আরও কিছু অংশ। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের হরিরামপুর গ্রামের এই ঘটনার প্রতিবাদে দফায় দফায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাঁদের মূল দাবি, বিকেলের মধ্যে রথ মেরামত করে দিতে হবে ওই ট্রাক মালিককে। শেষমেশ পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টা তিনেক পর অবরোধ উঠল। তবে রথ ফের আগের চেহারায় না ফিরলে ফের অবরোধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা।

দাসপুরের হরিরামপুর গ্রামের রথটি অনেক প্রাচীন। প্রতি বছরের মতো এবারও রথযাত্রার আগে তা পরিষ্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সাজানোর কাজ শেষ হয়ে যায় সোমবারই। সেই কারণে দাসপুর-মেদিনীপুর রাস্তায় রাজ্য সড়কের উপর রাখা হয়েছিল। কিন্তু রাত ২.৩০ নাগাদ পাঁশকুড়াগামী একটি ট্রাক ধাক্কা মারে রথটিতে। রথের চাকা-সহ বেশ কিছু অংশ ভেঙে যায়। তা বুঝতে পেরে রাত থেকেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন হরিরামপুরের বাসিন্দারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেও অবরোধ তুলতে পারেনি।

এরপর মঙ্গলবার সকাল হতেই নতুন করে রাস্তা অবরোধে শামিল হয় রথ কমিটি। দাসপুর-মেদিনীপুর রাজ্য সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যে ট্রাকটি রথকে ধাক্কা দিয়েছে, তার চালক ও মালিককেই রথ মেরামত করে দিতে হবে। অন্যথায় তাঁরা অবরোধ তুলবেন না। পুলিশ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে মেদিনীপুরগামী ওই ট্রাকটিকে চালক-সহ আটক করেছে। মালিককে তলব করা হয়েছে থানায়। তাঁকেই রথ মেরামতির দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

গ্রামের রথ কমিটির সম্পাদক রাজকুমার বেরার কথায়, ‘এটা গ্রামের আবেগের বিষয়। রথের অনেক অংশ ভেঙেচুরে গিয়েছে। মেরামম না হলে বিকেলে রথ টানা যাবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব রথ মেরামতি হোক। নইলে আবার রাস্তা অবরোধ হবে।’ ঘাটালের এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী, ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। তবে তাঁরা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। যদিও রথটি যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে এত অল্প সময়ে তা মেরামতি সম্ভব নয় বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই আরও বড়সড় অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।

Leave a Reply