ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

মৃত ছেলের আত্মা ঘরে ফেরালেন মা

মৃত ছেলের আত্মা ঘরে ফেরালেন মা
মৃত ছেলের আত্মা ঘরে ফেরালেন মা
Rate this post

একজন মায়ের কাছে তার সন্তান সবকিছুর থেকে বেশি মূল্যবান।আর এই সন্তান হারানোর শোক মা বাবাকে অনেক সময় পাগল করে তোলে।এই রকমই নিজের সন্তানকে হারিয়েছিলেন এক দম্পতি। সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না। তাই তাঁরা শরণাপন্ন হলেন তান্ত্রিকের। ঘরে ফিরিয়ে আনলেন ছেলের আত্মা।

শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনই কাণ্ড ঘটেছে বাস্তবে। পৃথিবীতে যখন প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে চলেছে প্রতি নিয়ত। ঠিক তখনই এমন কুসংস্কারাচ্ছন্ন ঘটনা ঘটে চলেছে একের পর এক।

তামিলনাড়ুর বানিয়ামবাদি মহকুমার সোরাকায়ালানত্তম গ্রামে মৃত পুত্রের আত্মাকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা ক্রিয়াকর্ম করেছেন এক দম্পতি। ঘটনায় হতবাক প্রতিবেশীরা। তাঁদের অনেকে আবার জানিয়েছেন, এই ঘটনার অতিপ্রাকৃত প্রভাব নিয়ে আতঙ্কিত তাঁরা।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোরাকায়ালানত্তম গ্রামের বাসিন্দা কেশবন ও বসন্তীর দুই ছেলে। বড় ছেলে এলিল আরসান এবং ছোটটি উদয় বসন্ত। গত এপ্রিল মাসে বছর কুড়ির উদয় বসন্ত গ্রামের কাছে সার্ভিস রোডের উপর এক দুর্ঘটনায় মারা যান।ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ কবর দিয়ে দেওয়া হয়। ছোট ছেলেকে হারিয়ে বাসন্তী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কেশবনের অবস্থাও ভাল নয়। এই পরিস্থিতিতে কে বা কারা তাঁদের পরামর্শ দেন, ছেলের মৃত শরীর দূরে কবরে থাকলেও তাঁর আত্মাকে নিজেদের কাছে এনে রাখতে পারেন বাসন্তী-কেশবন। নির্দিষ্ট উপায়ে তাঁর আত্মাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।সেই কাজ করে দিতে পারেন তান্ত্রিকরা। পরামর্শ মতো গত মঙ্গলবার, পরিবারের সকলে মিলে তান্ত্রিকের সাহায্যে কুশদ্রা পুজো করেন শ্মশানে। রীতিমতো ঢাক ও ঢোল বাজিয়ে পুজো করা হয় ওই এলাকায়, যেখানে উদয়কে সমাহিত করা হয়েছিল। এরপর শ্মশান থেকে বাড়ি পর্যন্ত গোটা রাস্তায় সর্ষে ও ফুল ছিটিয়ে দেন তাঁরা। বাতাসে হাত নেড়ে আত্মাকে স্বাগত জানাতে জানাতে বাড়ি ফিরে আসেন।বাড়িতে যেখানে উদয়ের ছবি বসানো ছিল সেখানেও ফুল, মালা দিয়ে পুজো-পাঠ করা হয়। প্রার্থনা করা হয় ছেলের আত্মা যেন এই বাড়িতেই থাকে।

Leave a Reply