ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

আলফ্রেদ নোবেল জীবনী – Alfred Nobel Biography in Bengali

Alfred Nobel Biography in Bengali
Alfred Nobel Biography in Bengali

আলফ্রেদ নোবেল জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Alfred Nobel Biography in Bengali. আপনারা যারা আলফ্রেদ নোবেল সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আলফ্রেদ নোবেল এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

আলফ্রেদ নোবেল কে ছিলেন? Who is Alfred Nobel?

আলফ্রেড বের্নহার্ড নোবেল (২১ অক্টোবর, ১৮৩৩ – ১০ ডিসেম্বর, ১৮৯৬) একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা। তিনি ডায়নামাইট আবিষ্কার করেন। তিনি ব্যবসায়েও বিশেষ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলেন। বিখ্যাত ইস্পাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোফোর্স এর মালিক ছিলেন অনেকদিন, প্রতিষ্ঠানটিকে এক সময় অন্যতম বৃহৎ অস্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন। তার নামে ৩৫০টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট ছিল যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে ডায়নামাইট। মৃত্যুর আগে উইল করে তিনি তার সুবিশাল অর্থ সম্পত্তি নোবেল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য রেখে যান। উইলে আরও বলে যান, নোবেল ইনস্টিটিউটের কাজ হবে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার এর অর্থ প্রদান করা।

আলফ্রেদ নোবেল জীবনী – Alfred Nobel Biography in Bengali

নামআলফ্রেদ নোবেল
জন্ম21 অক্টোবর 1833
পিতাইমানুয়েল নোবেল
মাতাআন্দ্রিয়েট নোবেল
জন্মস্থানস্টকহোম, সুইডেন
জাতীয়তাসুইডিশ
পেশারসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক, ব্যবসায়ী, সমাজসেবী
মৃত্যু10 ডিসেম্বর 1896 (বয়স 63)

bengaliportal

 

আলফ্রেদ নোবেল এর জন্ম: Alfred Nobel’s Birthday

আলফ্রেদ নোবেল ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।

আলফ্রেদ নোবেল এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Alfred Nobel’s Parents And Birth Place

সুইডিস রসায়ন বিজ্ঞানী ও ডিনামাইট আবিষ্কর্তা আলফ্রেড নোবেল আজ বিশ্ববন্দিত তার প্রবর্তিত নোবেল পুরস্কারের জন্য। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, লেখক এবং শান্তির স্থপতিগণ নোবেল প্রবর্তিত এই পুরস্কারটি দ্বারাই চিহ্নিত ও পরিচিত হন। ডিনামাইট আবিষ্কারের সুবাদে একসময় নোবেলকে লর্ড ডিনামাইট বলে ডাকা হত। তাঁর জন্ম হয়েছিল সুইডেনের স্টকহল্‌মে ১৮৩৩ খ্রিঃ ২১ শে অক্টোবর। তার পিতা ইমানুয়েল নোবেল ছিলেন আর্কিটেক্ট ও গবেষক।

আরও পড়ুন: লর্ড জর্জ গর্ডন বায়রন জীবনী

আরও পড়ুন: অস্কার ওয়াইল্ড জীবনী

আরও পড়ুন: সত্যেন্দ্রনাথ বসু জীবনী

আরও পড়ুন: প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশ জীবনী

আরও পড়ুন: মেঘনাদ সাহা ‘র জীবনী

তার ছিল টপেৰ্ডো ও মাইন নির্মাণের ব্যবসা। তার মা ক্যারোলিনা ছিলেন বিদুষী বুদ্ধিমতী মহিলা। আলফ্রেড ছিলেন মায়ের অনুরাগী। ব্যবসায়ের প্রয়োজনে ইমানুয়েল ১৮৩৭ খ্রিঃ তার পরিবারকে সুইডেনে রেখে ফিনল্যান্ডে চলে আসেন। সেখান থেকে পরে রাশিয়ার লেনিনগ্রাদে এসে গোলাবারুদের বিস্ফোরক তৈরির ব্যবসা শুরু করেন।

আলফ্রেদ নোবেল এর প্রথম জীবন: Alfred Nobel’s Early Life

ন বছর বয়সে আলফ্রেড পরিবারের সঙ্গে লেনিনগ্রাদে বসবাস শুরু করেন। ইমানুয়েল ছেলেকে বিজ্ঞান শিক্ষা দেবার জন্য স্কুলে না পাঠিয়ে গৃহশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন। পিতার আগ্রহে ও গৃহশিক্ষকের চেষ্টায় আলফ্রেড অল্পবয়সেই রসায়ন বিদ্যায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। আলফ্রেড কোনদিন স্কুল কিংবা কলেজে পড়াশোনা করেন নি। তাঁর যাবতীয় শিক্ষা লাভ হয়েছিল গৃহে গৃহ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে।

সেই কারণে অল্পবয়স থেকেই তার জীবন ছিল নির্দিষ্ট ছকে বাঁধা এবং সুশৃঙ্খল। তিনি কখনো ধূমপান করতেন না। মদও খেতেন না। ফ্রেঞ্চ, জার্মান, রাশিয়ান ও ইংরাজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। পড়াশোন প্রতি ছিল তার গভীর আকর্ষণ। ব্রিটিশ দার্শনিক হার্বাট স্পেনসার, ভলতেয়ার ও শেকসপীয়রের একনিষ্ঠ পাঠক ছিলেন। সমাজবিজ্ঞানেও তাঁর আগ্রহ ছিল। তিনি বেশ কয়েকটি নাটক, গল্প ও উপন্যাস লিখেছিলেন। পরে অবশ্য রসায়নের গবেষণাতেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন।

আলফ্রেদ নোবেল এর কর্ম জীবন: Alfred Nobel’s Work Life

আলফ্রেডের পিতার কোম্পানির নাম ছিল Foundries and Machine Shops of Nobel and Sons। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের পরে তিনি পিতার কোম্পানিতে যোগ দেন। জানা যায়, ১৯৫৩ খ্রিঃ ক্রিমিয়ার যুদ্ধে তাঁদের কোম্পানি থেকে যুদ্ধের বহু মালমশলা সরবরাহ করা হয়েছিল। একসময় কোম্পানির আর্থিক অবস্থা পড়ে এলে আলফ্রেড ও তাঁর পিতা ইমানুয়েল সুইডেনে ফিরে আসেন। এখানে আলফ্রেড শুরু করেন নানা গবেষণা।

সেইসময় খনি ও সৈন্যবিভাগে একপ্রকার কালো বিস্ফোরক পদার্থ ব্যবহার করা হত। এই পদার্থের নাম ছিল নাইট্রো – গ্লিসারিন। উদ্বায়ী এই পদার্থটি বিপজ্জনক বিস্ফোরক। একে নিরাপদে ব্যবহার করবার কোন উপায় এখনো পর্যন্ত জানা ছিল না। আলফ্রেড গবেষণা শুরু করলেন। অল্পসময়ের মধ্যেই তিনি নাইট্রো – গ্লিসারিনের সঙ্গে একটি চক জাতীয় পদার্থ Kieselgur মিশিয়ে আবিষ্কার করলেন সুষ্ঠুভাবে ও নিরাপদে বিস্ফোরণ ঘটাবার কৌশল। তিনি এই পেটেন্টটির নাম দিলেন ডিনামাইট।

এর পর থেকেই ডিনামাইটের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে লাগল। তিনি নানা ধরনের ডিনামাইট বাজারে ছাড়তে লাগলেন। ফলে হুচ্ছ করে ব্যবসা বেড়ে চলল। আসতে লাগল টাকা। ব্যবসা দেখতে দেখতে ফুলে ফেঁপে উঠল। ১৮৯৬ খ্রিঃ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার এ জাতীয় ৯৩ টি কারখানায় ৬৬ হাজার ৫০০ টন বিস্ফোরক পদার্থ উৎপাদিত হত। ডিনামাইটের ব্যবসা থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।

মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত উন্নত মানের। তার কারখানার শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য অনেক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। আলফ্রেড নোবেল বিশ্বাস করতেন যে শান্তি ও সংহতিই এই বিশ্বের অস্তিত্ব রক্ষার একমাত্র চাবিকাঠি। তিনি জানতেন আর্ন্তর্জাতিক ভাব বিনিময় ও ভ্রাতৃত্ববোধই আনতে পারে আন্তর্জাতিক সংহতি, প্রতিষ্ঠিত হতে পারে স্থিতিশীলতা।

বিশ্বে শান্তি স্থাপনের এবং সৃজনশীল কর্মোদ্যোগকে উৎসাহিত করবার উৎসাহে তিনি একটি পুরস্কার প্রবর্তনের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন। ১৮৯৫ খ্রিঃ প্যারীতে বসবাসকালে তিনি একটি উইল রচনা করেন। সেই উইল অনুসারে প্রতিবছর পদার্থ বিদ্যা ও রসায়ন বিদ্যায় সবচেয়ে মূল্যবান আবিষ্কারের জন্য এবং বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মের জন্য, মানবকল্যাণ ও বিশ্বশান্তির ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার দাতার নাম অনুসারেই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়। ১৮৯০ খ্রিঃ গঠিত হয় নোবেল ফাউন্ডেশান

এই ফাউন্ডেশান স্বাধীন ও বেসরকারীভাবে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ও অর্থ সংরক্ষণের বিষয়টি দেখেন। মৃত্যুর একবছর আগে ১৮৯৫ খ্রিঃ ২৭ শে নভেম্বর আলফ্রেড উইলটি করেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন কিভাবে তাঁর বিপুল সম্পত্তি ব্যবহার করা হবে। তিনি লিখেছেন: একটি তহবিল গঠন করে যথাযোগ্য নিরাপত্তার মধ্যে আমার অর্থ সংরক্ষিত হবে। আমার অর্জিত অর্থ থেকে যে পরিমাণ সুদ পাওয়া যাবে তা থেকে প্রতিবছর কয়েকটি পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কার নির্দিষ্ট থাকবে মানবজাতির উন্নয়নে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণও উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য। সুদের টাকা পাঁচ ভাগ করে একভাগ পদার্থবিদ্যায় আবিষ্কার, একভাগ রসায়নবিদ্যায় আবিষ্কার আর একভাগ শারীরবিদ্যা ও চিকিৎসাশাস্ত্রে নতুন অবদান, একভাগ সাহিত্যক্ষেত্রে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য ও একভাগ আন্তর্জাতিক শান্তিস্থাপন ও নিরস্ত্রীকরণের জন্য প্রধান ভূমিকা পালনকারীকে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: জোহানেস কেপলার জীবনী

আরও পড়ুন: উইলিয়াম হার্ভে জীবনী

আরও পড়ুন: র‍্যনে দেকার্ত জীবনী

আরও পড়ুন: জোহানেস গুটেনবার্গ জীবনী

আরও পড়ুন: ইভানজেলিস্তা টরিসেলি জীবনী

রয়াল সুইডিশ আকাদেমি অব সায়েনসেস পদার্থবিদ্যা ও রসায়নবিদ্যার পুরস্কারটি দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবে। চিকিৎসাশাস্ত্রের পুরস্কারটিস্টকহোমের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের বিবেচনাধীন থাকবে। সাহিত্যের পুরস্কারটির দায়িত্বে থাকবে সুইডিশ আকাদেমি। আর নরওয়ে সংসদ (Starting) মনোনয়ন করবেন শান্তি পুরস্কারের প্রার্থী। এই পুরস্কার কখনই কোন প্রার্থী কোন দেশের এই প্রশ্নের ওপর নির্ভর করবে না।

আলফ্রেড নোবেল তাঁর উইলে আরও উল্লেখ করেন, এই পুরস্কার কখনই যুক্তভাবে তিনজনের বেশি কাউকে দেওয়া যাবে না। এই উইল অনুসারে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে তার আগে অক্টোবর মাসেই আকাদেমি পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে থাকেন। ১৯৩৯ খ্রিঃ থেকে আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতি রক্ষাকল্পে অর্থবিজ্ঞানেও এই পুরস্কার সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি বিষয়ে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ কোটি ২৬ লক্ষ ডলার। এমন মোটা অঙ্কের পুরস্কার পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ১৯০১ খ্রিঃ থেকে এই পুরস্কার প্রদান আরম্ভ হয়। নোবেলের জীবদ্দশায় নোবেল পুরস্কার কাউকে প্রদান করা হয়নি।

আলফ্রেদ নোবেল এর মৃত্যু: Alfred Nobel’s Death

১৮৯৬ খ্রিঃ ১০ ই ডিসেম্বর অ্যানজাইলা পেক্টোরিস ও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: জন ডাল্টন জীবনী

আরও পড়ুন: কার্ল ফ্রিড‌রিশ গাউস জীবনী

আরও পড়ুন: আমেদেও অ্যাভোগাড্রো জীবনী

আরও পড়ুন: হামফ্রে ডেভি জীবনী

আরও পড়ুন: কাউন্ট রামফোর্ড জীবনী

Leave a Reply