ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ক্যাপসিকাম খান – জানুন ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন: ক্যাপসিকাম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। ক্যাপসিকাম হলো সুস্বাদু ও পুষ্টি যুক্ত সবজি। আমাদের শরীরকে নানা ভাবে প্রটেক্ট করে থাকে। ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমানে থাকে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন-সি, প্রােটিন, সােডিয়াম, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ডায়েট তন্তু, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-ডি, আয়রন ইত্যাদি।

ক্যাপসিকাম এর বিজ্ঞানসম্মত নাম: Capsicum sp

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ক্যাপসিকাম খান – জানুন ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ক্যাপসিকাম আমাদের সব সময় খাবারের মধ্যে রাখা দরকার। ক্যাপসিকাম শুধু পুষ্টি কর খাদ্য নয় ক্যাপসিকামের মানব শরীরকে রোগ মুক্ত রাখার ভূমিকা অপরিসীম। ক্যাপসিকাম কিছুটা লংকার মতো টেস্ট হালকা ঝাল টাইপের। একে কাঁচাও খাওয়া যায় মসলা মুড়ির সাথে, স্যালাডের সাথে, এবং নানা তরি তরকারির সাথে রান্না করে। ক্যাপসিকাম যে সমস্ত রোগ গুলিকে প্রতিরোধ করে তা হল ব্লাড প্রেশার, স্নায়ুজনিত, ডায়েরিয়া প্রতিরােধ, পাকস্থলী সংক্রান্ত, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি, ত্বকের সমস্যা, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, আর্থারাইটি, ইত্যাদি।

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন:

১. ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে: ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে ও হৃদরােগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাপসিকাম নিয়মিত খেতে হবে।

২. রােগ প্রতিরােধকারী: এতে রয়েছে অ্যালকালয়েড। এই অ্যালকালয়েডে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি প্রপার্টি, অ্যানালজেসিক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রােগ প্রতিরােধকারী শক্তি বৃদ্ধি করে।

৩. স্নায়ুজনিত ব্যথায়: ক্যাপসিকামে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল উপাদান, যা ফোলা ভাব কমাতে বা কোনও স্নায়ুজনিত ব্যথায় উপকার দেয়।

৪. ডায়েরিয়া প্রতিরােধ: গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল ডিজঅর্ডার ও ডায়েরিয়া প্রতিরােধ করে ক্যাপসিকাম। তাই প্রতিনিয়ত ক্যাপসিকাম খাওয়া দরকার।

৫. পাকস্থলী সংক্রান্ত: ক্যাপসিকামে থাকা ট্যানিন পাকস্থলী সংক্রান্ত রােগের জন্য উপকারী।

আরও পড়ুন: মাশরুম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

৬. সােরাইসিস জাতীয়: ক্যাপসিকাম খাওয়ার ফলে, সােরাইসিস জাতীয় রােগ থেকে সুরক্ষিত রাখে ক্যাপসিকাম।

৭. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: এতে থাকা ক্যারােটেনয়েড দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়ক। সকালে হালকা টিফিনে কাঁচা ক্যাপসিকাম ব্যবহার করুন।

৮. ত্বকের সমস্যা: ক্যাপসিকামে রয়েছে অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বয়স্ক মানুষের ত্বকের সমস্যা যেমন কমায়, তেমনি বার্ধক্যের গতি রুদ্ধ করে।

৯. অ্যানিমিয়া রােধ: ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন-সি, যা রােগ প্রতিরােধ করে এবং সেল ড্যামেজ রােধ করে। এই ভিটামিন সি আয়রন শােষণ করতে সাহায্য করে, অ্যানিমিয়া রােধ করে।

১০. সিম্পটমগুলাে কমে: প্রি-মেনােপােজাল সিম্পটম অনেক সময়ই মেয়েদের জন্য খুব কষ্টকর, অস্বস্তিকর হয়। ক্যাপসিকাম দীর্ঘদিন খেলে এই সিম্পটমগুলাে কমে যায়।

১১. ওজন নিয়ন্ত্রণে: এতে খুব কম ক্যালােরি থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ওজন কমাতে ক্যাপসিকামের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ক্যাপসিকাম খান - জানুন ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ক্যাপসিকাম খান – জানুন ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

১২. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: সবুজ ক্যাপকিসাম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। লাল ক্যাপসিকাম অর্থাৎ, যাকে আমরা বেল পেপার বলি, তাতে রয়েছে লাইকোপিন যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।

১৩. আর্থারাইটিস: ক্যাপসিকামে থাকা কেইএন উপাদান আর্থারাইটিস বা রিউম্যাটিজিমের ব্যথা কমায়।

১৪. রক্তে শর্করার মাত্রা: ক্যাপসিকামে থাকা কেইএন, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

১৫. ক্যাপসিকাম শরীরকে ফ্রি-র্যাডিক্যালস মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

১৬. কোলাজেনকে শক্ত: শরীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ানাের পাশাপাশি কোলাজেনকে শক্তপােক্ত রাখে। কোলাজেন ত্বককে টানটান সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।

১৭. ক্যান্সার প্রতিরােধে: ক্যাপসিকামে থাকা লাইকোপিন ক্যান্সার প্রতিরােধে সহায়ক।

১৮. চুলের জন্য: ক্যাপসিকাম চুলের জন্য খুব উপকারী। মাথার স্ক্যালপে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এর ফলে হেয়ার ফলিকলস শক্ত হয়।

১৯. দাঁত ব্যথা, ম্যালেরিয়া, জ্বর ও অ্যালকোহলের নেশা মুক্ত রাখতে ক্যাপসিকাম খেতে বলা হয়।

২০. মাথাব্যথা কমে: মাথার যে দিকে যন্ত্রণা হয়, সেদিকের নাকের রন্ধ্র দিয়ে ক্যাপসিকামের নির্যাস নিলে দ্রুত মাথাব্যথা কমে যায়।

ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন – Benefits And Nutritional Value Of Capsicum:

প্রতি ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামের উপাদান-

  • কার্বোহাইড্রেট – ৯ গ্রাম
  • ভিটামিন সি – ৪০৪ শতাংশ
  • প্রােটিন – ২ গ্রাম
  • সােডিয়াম – ৭ মিলিগ্রাম
  • ফ্যাট – ০.২ গ্রাম
  • পটাশিয়াম – ৩৪০ মিলিগ্রাম
  • ডায়েট তন্তু – ১.৫ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম – ১ শতাংশ
  • ভিটামিন এ – ২৩ শতাংশ
  • ম্যাগনেসিয়াম – ৬ শতাংশ
  • ভিটামিন ডি – ০ শতাংশ
  • আয়রন – ৬ শতাংশ

সতর্কতা বার্তা:

১. ত্বক চর্চার জন্য অনেকেই সরাসরি ক্যাপসিকাম বা ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি ক্রিম ব্যবহার করেন। কিন্তু যাদের ত্বক স্পর্শকাতর, তারা সাবধানে ব্যবহার করবেন। চোখের পাশে, নাক ও গলায় লাগাবেন না। চুলকানি ও জ্বালা করতে পারে।

২. গর্ভাবস্থায় ক্যাপসিকাম খেলে গর্ভস্থ শিশুর কষ্ট হতে পারে।

৩. দু’বছরের কম বয়সীদের ক্যাপসিকাম খাওয়ানাে বা ত্বকে লাগানাে উচিত নয়।

Leave a Reply