ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ঢেঁড়শ খান – জানুন ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন: ঢেঁড়শ হলো বাঙালির সু-পরিচিত ও পুষ্টিকর খাদ্য এবং এটি আমাদের সকলের পছন্দের একটি সবুজ সবজি। সাধারণত ঢেঁড়শ গরমকালে ও বর্ষাকালে পাওয়া যায়। ঢেঁড়শ খেলে খাওয়ার রুচি বাড়ে, মল পরিষ্কার হয়, শরীর ঠান্ডা হয়, পিত্ত ও শ্লেষ্ম নাশ হয়, শরীরের পাথর বেরিয়ে যায়, প্রস্রাব পরিষ্কার হয় (মূত্রকর)। কিন্তু বেশি ঢেঁড়শ খেলে বাতের প্রকোপ হয় (বাতকর)। বহুমূত্র অর্থাৎ ডায়বেটিসের পক্ষে উপকারী। প্রস্রাবের অসুখ উমশম করে।

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ঢেঁড়শ খান – জানুন ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

ঢেঁড়শ রুচিবর্ধক, বীর্যবর্ধক এবং পৌষ্টিকতার গুণে ভরা। তবে যাদের কাশি হয়েছে ও যাঁরা কফ ও বায়ুরােগে ভুগছেন তাদের পক্ষে ঢেঁড়শ খাওয়া ভাল নয়। বৈজ্ঞানিক মতে ও ঢেঁড়শে প্রােটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, সােডিয়াম, লােহা, তামা এবং ভিটামিন এ ও সি আছে।

ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন:

১। স্কিন গ্লো করে: ঢেঁড়শের তরকারি পুষ্টিদায়ক এবং শরীরের পক্ষে ভাল। তবে কচি নরম ঢেঁড়শ খেলেই উপকার বেশি হয়। কচি ঢেঁড়শ খেলে স্কিন গ্লো করে।

২। প্রস্রাবের অসুখে: ঢেঁড়শের টাটকা নরম বীজ পিষে চিনি মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের অসুখে উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: শিম এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

৩। আমাশা রােগে: ঢেঁড়শ গাছের মূল বা শিকড় পিষে চিনি মিশিয়ে খেলে আমাশা রােগে উপকার হয়।

৪। শরীরে পুষ্টি: রােজ সকালে কয়েকটি টাটকা নরম ঢেঁড়শ খেলে শরীরে পুষ্টি লাভ হয় ও এনার্জি বাড়ায়।

৫৷ উপকার: ঢেঁড়শ রুচিবর্ধক, বীর্যবর্ধক এবং পৌষ্টিকতার গুণে ভরা। তবে যাদের কাশি হয়েছে ও যাঁরা কফ ও বায়ুরােগে ভুগছেন তাদের পক্ষে ঢেঁড়শ খাওয়া ভাল নয়। বৈজ্ঞানিক মতে ও ঢেঁড়শে প্রােটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, সােডিয়াম, লােহা, তামা এবং ভিটামিন এ ও সি আছে।

৬। ওজন কমাতে: ১০০ গ্রাম ঢেঁড়শ মাত্র ৩০ কিলাে ক্যালরি তাপশক্তি থাকে। এতে থাকা ফাইবার পেট ভরাতেও সাহায্য করে। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ঢেঁড়সের জুড়ি নেই।

৭। সুগার: রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢেঁড়স খাওয়া প্রয়ােজন। এতে থাকা ইউগেনল সুগার অ্যাবজর্পসনে বাধা দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৮। কোষ্ঠকাঠিন্য: ঢেঁড়শে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।

৯। গর্ভাবস্থায়: ঢেঁড়শে রয়েছে ফোলিক অ্যাসিড, যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গর্ভাবস্থায় নিউরাল ডিউব ডিফেক্ট রােধ করে ফোলেট।

১০। কোলেস্টেরল: ঢেঁড়শে রয়েছে একরকম ফাইবার পেকটিন, যা দেহে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

১১। রক্তাল্পতা: ঢেঁড়শে রয়েছে আয়রন ও ভিটামিন-কে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরােধ করে।

১২। অ্যাথরেসিক্লোরাসিস: এটি অ্যাথরেসিক্লোরাসিস প্রতিরােধ করতে সাহায্য করে।

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ঢেঁড়শ খান - জানুন ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে ঢেঁড়শ খান – জানুন ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

১৩। এতে থাকা পেকটিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানাের পাশাপাশি বাইল-এর ক্ষরণও রেগুলেট করে।

১৪। রােগ প্রতিরােধ: বৈজ্ঞানিক মতে ও ঢেঁড়শে প্রােটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, গন্ধক, সােডিয়াম, লােহা, তামা এবং ভিটামিন এ ও সি আছে।দেহের রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায় ঢেঁড়শ।

১৫। স্ক্যালপে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ঢেঁড়স চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। এবং চুলের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি ঘটায়।

১৬। কোল ক্যানসার: ঢেঁড়শে থাকা ফাইবার কোল ক্যানসার প্রতিরােধ করে।

১৭। বার্ধক্য রােধ: দেহের ফ্রি র্যাডিক্যাল্স-এর সঙ্গে লড়াই করে ঢেঁড়স ত্বকের বার্ধক্য রােধ করে।

আরও পড়ুন: বেগুন এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন

৮। চোখের দৃষ্টিশক্তি: এতে থাকা ভিটামিন-এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সহায়ক।

১৯। ইনফেকশন প্রতিরােধ: এতে থাকা ভিটামিন-সি ছােটখাট ইনফেকশন প্রতিরােধ করে।

২০। ত্বকে জেল্লা: ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়ক ঢেঁড়শ, যার ফলে ত্বকে জেল্লা আসে।

২১। অস্টিওপােরােসিস: ঢেঁড়শ বােন ডেনসিটি বাড়ায়, অস্টিওপােরােসিস-এর সমস্যাও রােধকরে।

২২। ওবেসিটি প্রতিরােধ করতে ঢেঁড়শ সাহায্য করে।

ঢেঁড়শ এর উপকারিতা ও পুষ্টি গুন – Benefits And Nutritional Value Of Ladys Fingers:

ঢেঁড়শে প্রতি ১০০ গ্রামে পুষ্টি গুনের মাত্রা-

  • এনার্জি – ৩০ কিলাে কালােরি
  • কার্বোহাইড্রেট – ৭.০৩ গ্রাম
  • প্রােটিন – ২ গ্রাম
  • ডায়েট তন্তু – ৩.২ গ্রাম
  • ফ্যাট – ০.১ গ্রাম
  • কোলেস্টেরল – নেই
  • থায়ামিন – ০.২০০ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন এ – ১২.৫ শতাংশ
  • ভিটামিন সি – ৩৬ শতাংশ
  • ভিটামিন ই – ২.৫ শতাংশ
  • ভিটামিন কে – ৪৪ শতাংশ
  • সােডিয়াম – ৮ মিলিগ্রাম
  • পটাসিয়াম – ৩০৩ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম – ৮১ মিলিগ্রাম
  • আয়রন – ০.৮০ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম – ৫৭ মিলিগ্রাম

Leave a Reply