[ad_1]
নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা, হাওড়া সহ রাজ্যের সব জায়গায় বাতিল হতে চলেছে পুরাতন গাড়ি। এই সকল গাড়ি বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে এবং বেঁধে দেওয়া হয়েছে গাড়ির বয়স। সম্প্রতি গ্রিন ট্রাইবুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে কি কি বলা হয়েছে?
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত ২০১৪ সালে পরিবেশের কথা মাথায় রেখে এই মূল মামলাটি করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগেও গ্রিন ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছিল এই ধরনের পুরাতন গাড়ি বন্ধ করে দেওয়ার। তবে সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেনি বলে জানানো হয় গ্রীন ট্রাইবুনালের পর্যবেক্ষণে।
নতুন করে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত জায়গায় ১৫ বছরের পুরাতন গাড়ি নিষিদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি হাওড়া কলকাতার রাস্তায় নিষিদ্ধ করতে হবে BS4 ইঞ্জিনের সব গাড়ি। একইভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গণপরিবহনের ক্ষেত্রে সিএনজি এবং ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করার। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই নির্দেশিকা কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন প্রথম নয়। দিল্লিতেও একই ধরনের একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে দিল্লিতে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের ভূষণ রোধের যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে তাতে এক কোটির বেশি গাড়ির উপর প্রভাব পড়বে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এর ফলে ৯৫ লক্ষ ডিজেল ইঞ্জিন গাড়ি নিষিদ্ধ হতে পারে। বায়ু দূষণের মাত্রা 450 aqi ছাড়ালেই এই সকল গাড়ি নিষিদ্ধ হবে।
বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে যেমন দেশে নাম প্রথম সারিতে রয়েছে সেই রকমই বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে কলকাতাও পিছিয়ে নেই। এমন পরিস্থিতিতে এই বায়ু দূষণ আয়ত্বের মধ্যে আনা প্রয়োজন। যে কারণে গ্রীন ট্রাইবুনাল পরিবেশ রক্ষার্থে করা মামলার উপর ভিত্তি করে এই নির্দেশ দিয়েছে।
[ad_2]