ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

গরমে ঘামাচি দূর করার সহজ ও বিশেষ উপায় গুলি

গরমে ঘামাচি দূর করার সহজ ও বিশেষ উপায় গুলি
গরমে ঘামাচি দূর করার সহজ ও বিশেষ উপায় গুলি

গরমে ঘামাচি দূর করার সহজ ও বিশেষ উপায় গুলি: গরমকালে বেশীর ভাগ মানুষেরই ঘামাচি হয়। ঘামাচি ত্বকের মসৃণতা নষ্ট করে, যার ফলে ত্বক হয়ে ওঠে খসখসে। ঘামাচি এড়িয়ে চলার জন্য দিনে দুবার করে সুগন্ধী সাবান দিয়ে স্নানের জলে ছয় সাত ফোটা ও ডিকোলন ফেলে স্নান করুন।

ঘাম হলে সঙ্গে সঙ্গে নরম তােয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন অন্তর্বাস পালটান এবং ধুয়ে ফেলুন। সারাদিনে প্রচুর জল, টাটকা ফল, লেবুর সরবৎ ও ঠাণ্ডা জিনিস খান। তেল, ঘি, মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান।

ঘামাচি কি ও কেন হয়?

গরমকালে বেশীর ভাগ মানুষেরই ঘামাচি হয়। ঘামাচি হলো এক ধরনের চর্মরোগ। এর নাম শুনেই আশাকরি বুঝতে পারছেন এর নামকরণ হয়েছে ঘাম শব্দটি থেকে। গরমের সময় আমাদের ত্বকে এটি লাল বর্ণ ধারণ করে ফুসকুড়ির ন্যায় যা প্রকাশ পায় সেটিই হলো ঘামাচি। আমরা সাধারণত ফুসকুড়ি চুলকালেই তখন ঘামাচির আক্রমণ মনে করে থাকি। ঘামাচি হলে আমাদের ত্বক জ্বালা করতেও পারে এবং সারা শরীরে ভরে যেতে পারে। যার ফলে শরীরের চামড়া খসখসে ও বিবর্ণ দেখায়।

ঘামাচির লক্ষণ ও উপসর্গগুলি কি কি ?

ঘামাচি হলো এক ধরনের চর্মরোগ। গরমকালে বেশীর ভাগ মানুষেরই ঘামাচি হয়ে থাকে। ঘামাচির প্রধান লক্ষণ গুলি ও উপসর্গগুলি শরীরে পরিষ্কারভাবে প্রকাশ পাওয়াতে সহজেই তা চেনা যায়। এর ফলে সহজে ঘামাচি কে চেনা যায় ও বোঝা যায়। ঘামাচি হলে ঘাবড়াবেন না ঘামাচি চুলকোনোর ফলে অতিরিক্ত জ্বলা করতে পারে তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতির দ্বারা এর হাত থেকে মুক্তি লাভ করা যেতে পারে।

ঘামাচির উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে বিশেষত:

১) চামড়ার উপর লাল ছোপ ফুটে ওঠা ও মিসমিস করতে থাকে।

২) খুব ছোটো ছোটো ফোস্কার মতো ওঠা। ত্বকে প্রচণ্ড চুলকুনি হয় ও লাল হয়ে যায় এবং ২-৩ দিনের ভিতরে সারা শরীরে ভরে যায়।

৩) গায়ের জামা কাপড় চামড়ার সঙ্গে ঘষা লাগলে বা জামা পরার সময় ঘষা লাগলে খুব অস্বস্তিবোধ হয় এবং অতিরিক্ত জ্বলা হয়।

আরও পড়ুন: ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে

৪) ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠা এবং খসখসে হওয়া। শরীরের যে কোনো অঙ্গে বিশেষ করে পিঠে যদি কেউ হালকা চাপড় বা চড় মারে তখন মনে হয় শরীর থেকে প্রাণটাই বেরিয়ে গেলো।

এই ধরণের উপসর্গগুলি সাধারণত ঘাড়-গলা, কাঁধ-বুক এবং পিঠে-হাতে, মুখে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে ঘামাচি কনুইয়ের ভাঁজে-পাও বগলের ভাঁজে এবং কুঁচকিতেও দেখা যায়। এই সমস্ত জায়গাতে ঘাম জমার কারণে ঘামাচি হয়ে থাকে। তবে এগুলি অনেকটা জায়গা নিয়ে হয় ও বড়ো বড়ো দাগড়া আকারে হয়ে থাকে।

গরমে ঘামাচি দূর করার সহজ ও বিশেষ উপায় গুলি – How To Remove Heat Rash:

১) ঘরে পাতা টকদই ভুসি সমেত আটার সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে সারা শরীরে মেখে শুকিয়ে গেলে ঘষে ঘষে তুলে ঠাণ্ডা জলে স্নান করে নিন।

২) নিমপাতা, তুলসীপাতা, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা ও কাঁচা হলুদের রস সম পরিমাণে মিশিয়ে বােতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন। সাতদিন রাখতে পারেন। বাইরে থেকে এসে তুলােয় করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে কুড়ি মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

৩) তেজপাতা গুঁড়িয়ে ছেকে মিহি পাউডার করে নিয়ে গােলাপ জলের সাথে মিশিয়ে নিয়ে লাগালে ঘামাচি সারবে এবং তার সাথে ত্বকও মসৃণ হবে।

৪) একমুঠো দুর্বা ভাল করে ধুয়ে তার সাথে তুলসী পাতার ও দু-টুকরাে কাচা হলুদ একসঙ্গে বেটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

৫) লাউবাটা ও দই এক সাথে মিশিয়ে বডি প্যাক হিসাবে ব্যবহার করুন, শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে স্নান করে নিন।

৬) চন্দন বাটা গােলাপ জলের সাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।

৭) নিম গাছ ও নিঃশ্চিন্দ গাছের পাতা সমপ রিমানে নিয়ে যে কোনো জল ভর্তি পাত্রে একত্রে মিশিয়ে ভালোকরে সিদ্ধ করে নিন। তারপর হালকা ঠান্ডা করে তাতে পরিষ্কার কোনো কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে নিন।

৮) নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ এবং সরিষার তেল একত্রে মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। তারপর সারা শরীরে পেস্টটা লাগিয়ে নিন ২০-৩০ মিনিট পর স্নান করে নিন।

৯) তুলসী পাতা ও কাঁচা হলুদ, নিমপাতা, সরষের একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিয়ে স্নানের আগে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। তার ৩০ মিনিট পরে স্নান করে ধুয়ে দিন।

Leave a Reply