ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে

ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে
ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে

ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে: রূপচর্চার প্রথম ও অন্যতম অঙ্গ হলো ত্বক। আর ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল, মসৃন রাখতে দরকার ঠিক মতো পরিচর্চার। আর সেই পরিচর্চার করার বিশেষ মাধ্যম হলো ফেসপ্যাক। ত্বকের ক্লিনিজিং, ফ্রেশনিং, ময়শ্চারাইজিং ও কন্ডিশনিং করার পর দরকার একটু ফেসপ্যাক।

আর এই ফেসপ্যাকের দ্বারা আমরা আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল, সফ্ট করতে পারি। এখন নানা রকম ভাবে ফেসপ্যাক তৈরী হচ্ছে। আর মার্কেটে ও এই ফেসপ্যাকের ভীষণ চাহিদা যার ফলে ফেসপ্যাকের মূল্যও আকাশ ছুঁয়েছে। তাই ভেষজ পক্রিয়ায় বাড়িতে বসে অল্প খরচে তৈরী করুন এই অত্যাধুনিক ফেসপ্যাক।

ত্বকের জেল্লা বা উজ্বলতা বাড়ান ঘরোয়া পদ্ধতিতে – Increase Skin Radiance Domestic System

ফেসপ্যাক কেন দরকার হয়?

সারাদিন মাঠে, রাস্তায়, গাড়িতে, নানা কাজে ব্যাস্ত থাকতে হয় আমাদের। রাস্তার ধুলো-মাটি ও সূর্যের তাপের ফলে আমাদের ত্বক আক্রন্ত হয়ে থাকে যার ফলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- ত্বকে কালো দাগ, চোখের কোনে কালো দাগ, ব্রণ, খসখসে ত্বক, তৈলাক্ত ত্বকের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্ত সমস্যা থেকে ত্বককে ভালো রাখতে দরকার হয় ফেসপ্যাক।

আরও পড়ুন: শরীর সুস্থ রাখতে গুরুতপূর্ণ শারীরিক টেস্ট ও তার প্রয়ােজনীয়তা

তৈলাক্ত ত্বক মানে হল এই জাতীয় ত্বকে অতিরিক্ত তেল বা ঘাম নিঃসরণ অনেক বেশি হয়। নাকের দুই পাশে চিবুকের কাছে সব সময় তেলতেলে ভাব থাকে। তেল থাকার দরুন এই ধরনের ত্বক চট করে ধুলো ময়লা শুষে নেয় এবং ব্রণ বা অ্যাকনের সমস্যা তৈলাক্ত ত্বকেই বেশি পরিমানে হয়। তাই এই জাতীয় ত্বকে এমন ফেসপ্যাক দরকার যা অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করবে।

শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের ফেসপ্যাক তৈরী করার পদ্ধতি গুলি:

১। পাউরুটির মাঝের অংশ দুধে মিশিয়ে তার সাথে খানিকটা পাকা কলা চটকে ১ চামচ করে মধু ও চন্দন গুঁড়াে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগানাের ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের পক্ষে উপযােগী ফেসপ্যাক।

২। দু টেবিল চামচ বেসনের সাথে চার টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। জল দিয়ে পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে পেস্টটি ফেসপ্যাকের মতো করে লাগিয়ে নিন। চোখের চারপাশ আর ঠোঁটের চারপাশটা বাদ দেবেন। ২০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম জলে ধুয়ে ফেলবেন। বাড়তি তেলাভাব কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে বেসনের ফেসপ্যাক দারুণ কাজ করে।

৩। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে ২ চামচ কমলালেবুর খােসা বা হলুদ বাটা, ২ চামচ বেসন ও ২ চামচ টক দই মিশিয়ে মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৪। ১/৪ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে, ১ টেবিল চামচ টকদই ও ১ টেবিল চামচ টমেটোর পিউরি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন, এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্বলতা বাড়িয়ে দেবে। তবে হলুদ গুঁড়ো দিয়ে তৈরী পেস্ট ১৫ মিনিটের বেশি রাখ বেননা এতে মুখ কালো হয়ে যেতে পারে।

৫। প্রবেলম ত্বকের জন্য ২ চামচ ব্র্যান (ভুমি) ১ চামচ ও টসন ও ১ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার বা ময়দা গােলা জল দিয়ে পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগান ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে গােলাপ জল লাগান। ভেষজ পদ্ধতিতে তৈরী ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বককে রােদ হাওয়া এবং ধুলাে ময়লার হাত থেকে রক্ষা করুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ফেসপ্যাক লাগান।

৬। একটি পাত্রে চন্দন গুঁড়ো, কমলালেবুর রস, নিম পাতা পেস্ট ও মুলতানি মাটি নিন। এর মধ্যে অল্প একটু পাতিলেবুর রস ও মধু মেশান। তারপর গোলাপ জল দিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার এই প্যাক লাগাতে পারেন। এতে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয়।

৭। খােসা শুদ্ধ শশা বাটা, ১টা ডিমের কুসুম, ১ চামচ মিল্ক পাউডার একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে, গলায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখার পর কুসুম কুসুম গরম জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এটির ব্যবহারে ত্বক সারাদিন চকচকে ও মসৃণ থাকবে।

৮। দু টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে, এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নেবেন। চোখ আর ঠোঁটের চারপাশ বাদ দিয়ে বাকি মুখে লাগিয়ে 15 মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলবেন। লেবুর রস মুখের কালচে দাগ ছোপ কমিয়ে দেয়, ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া খতম করে ব্রণ ফুসকুড়িও হতে দেয় না। এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও মুলায়ম, সফ্ট হয়ে থাকে।

৯। স্বাভাবিক শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে ২ চামচ বেসনের সাথে গােলাপজল, কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগানাের ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা প্রখর গ্রীষ্মেও আপনার ত্বককে দারুণ সতেজ রাখবে।

১০। বেশী ঘাম হলে মুলতানি মাটি ও গােলাপজল মিশিয়ে স্নানের আগে সারা গায়ে মেখে অল্প শুকিয়ে রগড়ে তুলে স্নান করে নিন। এতে ঘাম কম হবে।

১১। গাজরে প্রচুর ভিটামিন এ পাওয়া যায়। তাই ১টি গাজর মিক্সসারে ফেলে সেটিকে পেস্ট করুন। তারপর ১ টেবিল চামচ দই, বেসন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সঙ্গে গাজরের পেস্ট মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১ ঘণ্টা পরে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

১২। গােটা দশেক তেজপাতা সারারাত জলে ভিজিয়ে পরেরদিন সকালে এই জলে মুলতানি মাটি ও কয়েকটা বড়ো এলাচ বাটা মিশিয়ে সারা গায়ে মেখে অল্প শুকিয়ে স্নান করে নিন। এতে ঘাম ও কম হবে।

Leave a Reply