শরীর সুস্থ রাখতে গুরুতপূর্ণ শারীরিক টেস্ট ও তার প্রয়ােজনীয়তা: দীর্ঘদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার উপায়। কথায় বলে শরীর ব্যাধি মন্দির। সুস্থ শরীর যে কোন সময়ে অসুস্থ হতে পারে। সে জন্য রুটিন টেস্ট করালে সুস্থ থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। তবে কিছু ক্ষেত্রে টেস্ট করানাের বাতিকের জন্য ক্যানসার হতে পারে। এবারে, কোন পরীক্ষা কতটা নিরাপদ, তা দেখে নেওয়া যাক। তবে এটা সঠিক যে সময় থাকতে এই সমস্ত টেস্ট গুলি করিয়ে নিলে আগে থেকে সতর্ক থাকা যাবে ও রোগ বা শরীর অসুস্থ হওয়ার আগে তার চিকিৎসা করা যাবে।
শরীর সুস্থ রাখতে গুরুতপূর্ণ শারীরিক টেস্ট ও তার প্রয়ােজনীয়তা
ব্লাড সুগার
বর্তমানে কম বয়সী মানুষদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার। প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাই ২০ বছর বয়সের পর থেকে সুগার টেস্ট করানাে। উচিত। খালি পেটে অর্থাৎ ফাস্টিং অবস্থায় নর্মাল গ্লুকোজ ৭০-১০০ mg/dl. এবং খাওয়ার ২ ঘন্টা পর গ্লুকোজের মাত্রা ১৪০ mg/dl. এর কম থাকা বাঞ্ছনীয়।
ব্লাড পেসার
উচ্চ রক্তচাপের জন্য হার্ট-অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ২০ বছর বয়সের পর প্রতি ৬ মাস অন্তর একবার প্রেসার চেক করানাে উচিত। এক্ষেত্রে নর্মাল প্রেসার ১২০/৮০-এর বেশি এবং ১৪০/৯০ -এর কম থাকা বাঞ্ছনীয়। প্রেসারের রােগী ও ষাটোর্ধদের প্রতি সপ্তাহে প্রেসার চেক করানাে উচিত।
ইসিজি
লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের কারণে কম বয়সীদের মধ্যে বুকে ব্যথা, হার্টের অসুখ, হার্ট-অ্যাটাকের প্রবণতা বাড়ছে। তাই দেরি হয়ে যাওয়ার আগে থেকেই সতর্ক থাকা ভাল। পরিবারে হার্টের অসুখের ইতিহাস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ২০ বছর বয়সের পর ইসিজি করানাে যায়।
কোলেস্টেরল টেস্ট
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরলেরমাত্রা বেড়ে যাওয়া। টোটাল কোলেস্টেরল লেভেল ২০০ mg/dl. এবং ব্যাড কোলেস্টেরল LDL লেভেল ১০০/dl, ৩৭০ গুড কোলেস্টেরল, HDL লেভেল 50 mg/dl.
আরও পড়ুন: সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে খান ফাইবারযুক্ত খাবার দেখে নিন তালিকা
ব্লাড কালচার টেস্ট
নিয়মিত ভাইরাল জ্বর, ইনফেকশন হলে ব্লাড কালচার টেস্ট করাতে হবে। এক্ষেত্রে সেপটিসিমিয়া কিংবা অন্য কোন জটিল। অসুখ থাকলে তা শনাক্তকরণ করা যায়।
চোখ পরীক্ষা
চোখে পাওয়ার হল কিনা, ডায়াবেটিস রেটিনােপ্যাথি, গ্লকোমা শনাক্তকরণের জন্য রুটিন মেনে চোখ পরীক্ষা করা একান্ত জরুরি।
ইউরিন টেস্ট
ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞদের মতে মানব শরীরে বড়-ছোট একাধিক রোগকে সঠিক ভাবে চিহ্নিত করা যায়। অর্থাৎ ইউরিন টেস্ট বলে দিতে পারে মানব শরীরে কোন রোগ বাসা বেঁধে রয়েছে। মানুষের শরীরে কোনো রোগ বা বড়ো কোনো সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা ইউরিন টেস্ট এর মাধ্যমে জানা যায়।