রিলিজ করে গিয়েছে আর.মাধবন (R.Madhvan) অভিনীত ফিল্ম ‘রকেট্রি’। বরাবরের মতো মাধবনের অভিনয় প্রশংসিত হলেও ফিল্ম বক্স অফিসে সাড়া ফেলেনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে এসেছে মাধবনের জীবনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও প্রেমের গল্প। এর সূত্র ধরেই আলোচনায় রয়েছে রঙ্গনাথন মাধবন ও সারিতা বিরজে (Sarita Birje)-এর ‘লাভ স্টোরি’।
ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করার পর শিক্ষকতা করতেন মাধবন। সেই সূত্রে তাঁকে বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে হত। সেখানে বক্তব্য পেশ করতেন মাধবন। এই ধরনের একটি সেমিনারে এয়ারহোস্টেস ট্রেনিং-এর সুবাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন সারিতা। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় মাধবনের সাথে। সেমিনার শেষ হওয়ার পর সারিতা নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মাধবনকে। রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মাধবন।
পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে মাধবন জানান, তাঁর চেহারা কালো ছিল। ফলে তিনি ভাবতেন, তাঁর কোনোদিন বিয়ে হবে না। কিন্তু সারিতা তাঁকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানালে মাধবনের মনে হয়, এর থেকে ভালো সুযোগ হতে পারে না।
এরপর প্রায় আট বছর সম্পর্কে থাকার পর 1999 সালে তামিল রীতি মেনে হয়েছিল সারিতা ও মাধবনের বিয়ে। এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। এরপরেই অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ মাধবনের। মণি রত্নম (Mani Ratnam) নির্মিত ফিল্ম ‘আলাইপায়ুথে’-র মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছিলেন মাধবন। তবে আউটডোর শুটিংয়ে সারিতাকে নিয়ে যেতেন তিনি। কারণ তিনি জানতেন, আউটডোর শুটিংয়ে গেলে প্রত্যেক নায়কের নারী সঙ্গীর আকাঙ্খা থাকে। এই কারণে মাধবন, সারিতার উপর নির্ভর করতেন। রোম্যান্টিক দৃশ্য নিয়ে মাধবনকে কোনোদিন প্রশ্ন করেননি সারিতা। তিনি জানতেন এটি শুধুই অভিনয়।
2005 সালে জন্ম হয় সারিতা ও মাধবনের একমাত্র পুত্রসন্তান বেদান্ত (Vedant)-এর। ন্যাশনাল লেভেলের সাঁতারু বেদান্ত চলতি বছর ড্যানিশ ওপেনে গোল্ড মেডেল জিতেছেন।