ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে খান অর্গানিক খাবার – দেখে নিন অর্গানিক খাবার তালিকা

সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে খান অর্গানিক খাবার
সুস্থ ও রোগ মুক্ত থাকতে খান অর্গানিক খাবার

অর্গানিক খাদ্য কি?

রাসায়নিক কীটনাশক মারছে কীটপতঙ্গ, ঠিক তেমনই মারছে মানুষকেও। ফলন বাড়াতে ব্যবহৃত রাসায়নিক এর প্রভাবে দুর্বল হচ্ছে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা। এমন কি বাজারের থলি বেয়ে আসছে মারণ রােগ ক্যানসার। রাসায়নিকের বিকল্প হচ্ছে এই অর্গানিক চাষ।

অর্গানিক ফার্মিং বা চাষ কি – What is Organic Farming

কৃত্রিম সার, পেস্টিসাইড, হার্বিাইড, হার্বিসাইডের মতাে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার কমিয়ে বা একেবারে না ব্যবহার করে সম্পূর্ণ জৈব উপাদান ব্যবহার করে চাষ করাকেই জৈব চাষ বা অর্গানিক ফার্মিং বলে। মাটি ভাল রাখার জন্য চাষের ফসল পরিবর্তন করে, জৈবসার ও উদ্ভিদ থেকে তৈরি পেস্টিসাইড, হার্বিসাইড দিয়ে চাষ করা হয়। এই চাষের মাধ্যমেই তৈরি হয় অর্গানিক ফুড। এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাদ্য অর্থাৎ অর্গানিক ফুড় কৃত্রিম রাসায়নিক সার থাকে না। সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে তৈরি হয়। শরীরকে অনেক বেশি পুষ্টি জোগায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে, যা আমাদের সুস্থ রাখে, ক্যানসার মােকাবিলায় সাহায্য করে।

কোথায় পাওয়া যাবে অর্গানিক ফুড – Organic Food:

অর্গানিক ফুড পাওয়া যাবে ডিপার্ট মেন্টাল স্টোরে অর্গানিক সবজি, চাল, ডাল, আটা, তেল, মশলা, চিনি, সস, চা, কফি, পাস্তা পাওয়া যায়। কয়েকটি সংস্থা হােম ডেলিভারি করে। বাড়িতে একটু জমি থাকলে কিচেন গার্ডেন বানিয়ে নিতে হবে। মফসলে অর্গানিক সবজি নাও মিলতে পারে। জন সচেনতা বাড়িয়ে পাড়ার কয়েকজন মিলে উদ্যোগ নিয়ে গ্রামের চাষিদের এই পদ্ধতিতে চাষ করতে উৎসাহ দিতে হবে। নিজেরা কেনার আগ্রহ দেখালে চাষিরা এই অর্গানিক ফার্মিং পদ্ধতিতে চাষ করবে। বিদেশে ইতিমধ্যেই অধিকাংশের রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছে অর্গানিক ফুড।

অর্গানিক ফুড চিনবেন কি ভাবে?

কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল প্রােগ্রাম ফর অরগানিক প্রােডাকশন (NPOP) এর স্বীকৃত কোনও সংস্থার দ্বারা খুঁটিয়ে দেখে পরীক্ষা করার পর শংসাপত্র সার্টিফিকেট পেয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে। সার্টিফিকেট থাকলে প্যাকেটে ইন্ডিয়া অর্গানিক (India Oraganic) বা USDA Organic লােগাে থাকবে। অথবা যে সংস্থা সার্টিফিকেট দিয়েছে, তার নামের স্টিকার লাগানাে থাকবে।

অর্গানিক ফুড না পেলে উপায়:

১। বাজার থেকে শাক-সবজি আনার পর ২৫-৩০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ভাল করে ঘষে ধুয়ে নিতে হবে।

২। ১০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম পারমাঙ্গানেট জলে মিশিয়ে তাতে সবজি পাঁচ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে। তার পর ভাল করে ধুয়ে, শুকিয়ে নিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: কলা পাতায় খাওয়ার গুনাগুন

৩। জলে একটু লবণ ও ভিনিগার মিশিয়ে তাতে শাক-সবজি ভিজিয়ে রেখে ৫-১০ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে।

৪। যে ফল-সবজির খােসা ছাড়ানাে যায় তার খােসা ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে খেতে হবে।

৫। বাড়ির কাছে খােলা জায়গায় বা ছাদে অর্গানিক ফুড তৈরির চেষ্টা করতে হবে।

বিষ মেশানাে খাবার চেনার উপায়:

বিষ মেশানাে অর্গানিক ফুড চেনা, এ কাজ সহজ নয়। সাধারণ ভাবে সবজি একটু ট্যারা-বাকা বা রং খুব একটা চকচকে না হলে, আকারে ছােট অথবা একটু পােকা লাগা হলে, তাতে ক্ষতিকর কীটনাশক দেওয়া নেই বলে ধরা হয়। সবজি শুকলেও বােঝা যায় যে তাতে রাসায়নিকের গন্ধ আছে কিনা। সব সময় মরশুমি সবজি ও ফল খাওয়া ভাল।

সবচেয়ে বেশি কীটনাশক থাকে:

১। ফল: আপেল, আম, টম্যটো, কিশমিশ, শশা, কলা।

২। সবজি: বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি, করােলা, ঢ্যাঁড়স, পটল, গাজর, পালং শাক। ডি.ডি.টি, মেশানাে খাদ্য দ্রব্য খেলে ক্যানসার হয়, কার্বাইড দিয়ে পাকানাে ফলে চোখের ক্ষতি হয়।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় বর্তমানে মাতৃ দুগ্ধেও কীটনাশকের অস্তিত্ব মিলেছে।

Leave a Reply