ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

এই মন্দিরটিতে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকদের স্বাগত জানানো হয়; মহাভারতের সাথে সম্পর্ক রয়েছে

এই মন্দিরটিতে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকদের স্বাগত জানানো হয়; মহাভারতের সাথে সম্পর্ক রয়েছে

[ad_1]

ভারতবর্ষ হল দেবদেবীর দেশ, যা সারা বিশ্বে প্রাচীন মন্দিরের জন্য প্রসিদ্ধ। ভারতে বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দির রয়েছে যা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণে পরিচিত। এছাড়াও ভারতের এমন অনেক রহস্যময় মন্দির রয়েছে যার সমাধান আজও বিজ্ঞানীরা খুঁজে পায়নি। এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি শিব মন্দিরের কথা বলা হয়েছে যা মহাভারতের সাথে সম্পর্ক রয়েছে। 

প্রেমিক প্রেমিকারা বিশেষ করে শিবকে তাদের শক্তির অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখে। ভগবান শিব তার ভালবাসা পাওয়ার জন্য বহু শতাব্দী ধরে অপেক্ষা করেছিলেন এবং তাই মাতা পার্বতীও যুগ যুগ ধরে তপস্যা করেন। হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত একটি ভগবান শিব মন্দির রয়েছে, যেখানে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকাদের সাহায্য করা হয় এবং তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। এই মন্দিরের লোকেরা বিশ্বাস করে যে, প্রেম যে রূপেই হোক না কেন তাকে গ্রহণ করা উচিত। 

এই মন্দিরটিতে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকদের স্বাগত জানানো হয়; মহাভারতের সাথে সম্পর্ক রয়েছে

শিবের প্রাচীন মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশের কুল্লুতে অবস্থিত, যার নাম শাংচুল মহাদেব মন্দির। হাজার হাজার মানুষ এই মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসেন। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কুল্লুর একটি উপত্যকায় অবস্থিত এই মন্দিরটি ১২৮ বিঘা জুড়ে বিস্তৃত। মন্দিরের পাশাপাশি এখানকার সৌন্দর্য মানুষকে মনমুগ্ধ করে তোলে। প্রেমিক দম্পতিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য এই মন্দিরটি বিখ্যাত।

যে প্রেমিক প্রেমিকেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করতে ইচ্ছুক হন তারা এই মন্দিরে যান। এই মন্দিরে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় এবং গ্রামবাসীও তাদের স্বাগত জানায়। এটা বিশ্বাস করা হয় ওই নব দম্পতি ভগবান শিব দ্বারা সুরক্ষিত এবং তাদের কোনও বিপদ নেই। যেকোনো জাতি, ধর্ম সম্প্রদায়ের প্রেমিকরা এখানে আসতে পারেন সবার জন্য একই রকমের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। এমনকি পুলিশও বাধা দেয় না।

এই মন্দিরটিতে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিকদের স্বাগত জানানো হয়; মহাভারতের সাথে সম্পর্ক রয়েছে

তবে এই গ্রামের কিছু নিয়ম রয়েছে যা সকলেই মেনে চলেন। এখানে সিগারেট এবং মদ্যপান নিষিদ্ধ। কেউ উচ্চস্বরে কথা বলতে বা মারামারি করতে পারেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ে না হয় বা তাদের সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কেউ তাদের এখান থেকে সরাতে পারে না। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং মন্দিরের পুরোহিতরাই। 

কথিত আছে, একবার কৌরবদের ভয়ে পান্ডবরা শাংচুল মহাদেবের মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কৌরবরা এখানে পৌঁছালে ভগবান শিব আবির্ভূত হয়ে বলেন যে, মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া লোকেদের কোন কিছুই ক্ষতি করা যাবে না। মহাদেবের ভয়ে কৌরবরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

[ad_2]

Leave a Reply