বেঙ্গলি পোর্টাল: তালিকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও নাম জমা পড়েছে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং হাসপাতালে ডিউটি করা পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদেরও। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নামের তালিকা চলে আসবে। কেন্দ্রীয় সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি করতে বলেছে। কেন্দ্রের নির্দেশ প্রথম পর্বে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন। তবে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মী-সহ প্রথম সারির কোভিডযোদ্ধাদেরও প্রথম পর্বের ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় নাম রাখতে চায়।
❒ প্রতিদিনের তাজা খবর পেতে ফেসবুক পেজ ও টেলিগ্রামে যুক্ত হন:
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশন ও রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার কাছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে শনিবার ৩১ অক্টোবর রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নাম রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, “এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নাম জমা পড়েছে। আগামী সপ্তাহে বাকি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নাম পাঠানো হবে।” কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রথমসারির করোনাযোদ্ধাদের নামের তালিকা তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। আগামী সপ্তাহে তালিকা পাঠানোর চেষ্টা হবে।
কলকাতা পুলিশের যেসব কর্মী হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন তাঁদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসক বা নার্সের মতো হাসপাতালের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের নামও এই তালিকার মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসক ও নার্সদের নাম ভ্যাকসিন প্রাপকদের তালিকায় রাখা হলেও আপাতত তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে না।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডা সন্দীপ ঘোষ বলেন, “এমবিবিএস পাঠরত ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী সহ প্রায় চার হাজার নাম ভ্যাকসিনের জন্য আমরা পাঠিয়েছি।” একইরকমভাবে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখান থেকে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নাম স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্র জানিয়েছেন, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী সহ প্রায় সাত হাজার নাম পাঠানো হয়েছে। আরজিকর নাম পাঠিয়েছে প্রায় চার হাজার জনের। এম আর বাঙুর থেকে সাতশো ও বেলেঘাটা আইডি থেকেও সাতশো জনের নাম জমা পড়েছে।