ADS বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন: [email protected]

আবদুস সালাম জীবনী – Abdus Salam Biography in Bengali

Abdus Salam Biography in Bengali
Abdus Salam Biography in Bengali

আবদুস সালাম জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Abdus Salam Biography in Bengali. আপনারা যারা আবদুস সালাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আবদুস সালাম এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।

আবদুস সালাম কে ছিলেন? Who is Abdus Salam?

আবদুস সালাম একজন পাকিস্তানি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি ১৯৭৯ সালে স্টিভেন ওয়াইনবার্গ এবং শেল্ডন লি গ্ল্যাশোর সাথে যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। দুর্বল তড়িৎ তত্ত্ব আবিষ্কারের জন্য তারা এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এই তত্ত্বের মাধ্যমে তড়িৎ চৌম্বক বল এবং দুর্বল নিউক্লীয় বলকে একীভূত করা সম্ভব হয়েছিল।

আবদুস সালাম জীবনী – Abdus Salam Biography in Bengali

নামআবদুস সালাম
জন্ম29 জানুয়ারী 1926
পিতামুহাম্মদ হুসেন
মাতাহাজিরা হোসেন
জন্মস্থানসান্তোকদাস, সাহিয়াল জেলা, পাঞ্জাব
জাতীয়তাপাকিস্তানি
পেশাপদার্থবিজ্ঞানী
মৃত্যু21 নভেম্বর 1996 (বয়স 70)

bengaliportal

 

আবদুস সালামের জন্ম: Abdus Salam’s Birthday

আবদুস সালাম ১৯২৬ সালের ২৯ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন যে তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অমরত্ব লাভ করেছেন তার নাম স আপেক্ষিক তত্ত্ব বা থিওরি অব রিলেটিভিটি। এই তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার পর আরো দীর্ঘ তিরিশ বছর তিনি বিজ্ঞান – সাধনায় ব্যাপৃত ছিলেন অপর একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার অনুশীলন ও গবেষণা নিয়ে। কিন্তু উদ্দেশ্যে সিদ্ধির পথে অনেক দূর অগ্রসর হয়েও শেষ পর্যন্ত তাকে ব্যর্থই হতে হয়েছিল।

তত্ত্বটি তার কাছে অধরাই থেকে যায়। যে তত্ত্বটি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার জীবনের অবশিষ্ট অংশ ব্যয় করেছিলেন মহাবিজ্ঞানী তা হল ইউনিফয়েড ফিল্ড থিওরি বা একীকৃত ক্ষেত্র তত্ত্ব। আইনস্টাইনের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আইনস্টাইনের পথ অনুসরণ করে বহু বিজ্ঞানী গবেষণায় লিপ্ত হয়েছেন। তাঁদের সেই কঠোর অনুশীলন ও গবেষণা শেষ পর্যন্ত ফলবতী হয়েছে ১৯৬০ খ্রিঃ।

আইনস্টাইন যে তত্ত্বকে ধরি ধরি করেও ধরতে পারেননি, সেই একীকৃত ক্ষেত্র তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার পথে সুনিশ্চিত পদক্ষেপ রাখতে সমর্থ হলেন এই ভারত উপমহাদেশের এক বিজ্ঞানী আবদুস সালাম। এই কাজে তাঁব সহযোগী গবেষক ছিলেন অধ্যাপক স্টিভেন ভিলবার্গ। এই দুই বিজ্ঞানী একক ভাবে গবেষণা করে প্রমাণ করলেন নিরপেক্ষ প্রবাহ বা নিউট্রাল কারেন্টের কথা। নিরপেক্ষ প্রবাহের অস্তিত্বই সুনিশ্চিত করে দিল একীকৃত ক্ষেত্রতত্ত্ব প্রতিষ্ঠার পথ।

বিজ্ঞানী ভিলবার্গ ও সালাম তাদের গবেষণার মাধ্যমে যে তত্ত্ব প্রকাশ করলেন, তা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলেন অপর এক বিজ্ঞানী। তার নাম অধ্যাপক শেলডেন ভন গ্ল্যাশো। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এই তিন প্রতিভার গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে রয়াল সুইডিশ আকাদেমি তাঁদের যুগ্মভাবে ১৯৭১ খ্রিঃ পদার্থবিদ্যার নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। এই পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানী সালামের প্রতিভা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের দ্বারা স্বীকৃতি লাভ করল। বিশ্ববিজ্ঞানের অন্যতম সফল প্রতিভা রূপে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করলেন।

আরও পড়ুন: জন ফ্রাঙ্কলিন এন্ডারস জীবনী

আরও পড়ুন: আর্থার কম্পটন জীবনী

আরও পড়ুন: রাইট ভ্রাতৃদ্বয় অরভিল রাইট এবং উইলবার রাইট জীবনী

আরও পড়ুন: সিগমুন্ড ফ্রয়েড জীবনী

আরও পড়ুন: শরৎ চন্দ্র পণ্ডিত দাদাঠাকুর জীবনী

আবদুস সালামের পিতামাতা ও জন্মস্থান: Abdus Salam’s Parents And Birth Place

বিজ্ঞানী সালামের জন্ম অবিভক্ত ভারতে ১৯২৩ খ্রিঃ। ১৯৪৭ খ্রিঃ দেশ বিভাগের পর তাঁর পরিবার পাকিস্তানের লাহোরের অধিবাসী হন। কিন্তু তার আগে কলকাতাতেই তিনি বাল্য ও কৈশোরের শিক্ষা লাভ করেন। পরে পাঞ্জাবের লাহোরে প্রখ্যাত সরকারী কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা সমাপ্ত করেন সালাম।

আবদুস সালামের শিক্ষাজীবন: Abdus Salam’s Educational Life

সালামের পরবর্তী পড়াশুনার ক্ষেত্র ছিল ইংলন্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সেখান থেকে পাশ করে বেরিয়ে ১৯৫৭ খ্রিঃ লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজ অব সায়ান্স অ্যান্ড টেকমোলজিতে অধ্যাপকের পদে যোগ দেন। তার বিষয় ছিল তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান ৷ এই কলেজে অধ্যাপনার ফাঁকেই সালাম ইতালিতে গড়ে তোলেন একটি গবেষণা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রের নাম ইন্টারন্যাশানাল সেন্টার অব থিওরিটিক্যাল ফিজিকস। অধ্যাপক সালাম এই বিজ্ঞান কেন্দ্রের সর্বময় অধিকর্তা। বর্তমানে এই সংস্থা বিজ্ঞানের অন্যতম গবেষণা কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের কাছে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

আবদুস সালামের কর্ম জীবন: Abdus Salam’s Work Life

এই কর্মক্ষেত্র ঘিরেই বর্তমানে চলেছে সালামের অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজ। তিনি এখানেই নিরলস গবেষণায় মগ্ন হয়ে আছেন তার তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি দেশ বিদেশের বহু ছাত্র ও গবেষক তার তত্ত্বাবধানে ভবিষ্যৎ বিজ্ঞানের অফুরন্ত সম্ভাবনা নিয়ে নিজেদের গবেষণার পথে এগিয়ে চলেছেন। পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক সালাম ব্যক্তিগত জীবনে একজন ঈশ্বরে সমর্পিত প্রাণ ভক্তিমান মানুষ ৷

তার ঈশ্বরবিশ্বাস বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে তথাকথিত বাধা হয়ে উঠতে পারেনি। গভীর ঈশ্বর বিশ্বাস থেকেই তিনি ব্যক্তিগত জীবনে লাভ করেছেন সরল ও অমায়িক চরিত্র। লাহোরে সরকারী কলেজে সালামের অঙ্কশাস্ত্রের শিক্ষাগুরু ছিলেন কলকাতার একজন বাঙ্গালী অধ্যাপক। সালামের জীবনে এই অধ্যাপকের অবদান ছিল অপরিসীম।

বিজ্ঞান সাধনায় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মান লাভের পর বিজ্ঞানী সালাম ব্যাকুল হয়ে ছুটে এসেছিলেন কলকাতায় তাঁর শিক্ষাগুরুর পদপ্রান্তে। বিখ্যাত অথচ বিস্মৃতপ্রায় সেই শিক্ষাগুরুকে সভক্তি প্রণাম জানিয়ে অন্তরের শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন। শিক্ষক ও ছাত্রের শাশ্বত পবিত্র সম্পর্ক সেদিন এই অবক্ষয়ের যুগে নতুন করে উজ্জ্বলতা লাভ করেছিল কৃতী বিজ্ঞানী সালামের চরিত্র মাধুর্যে।

পদার্থ বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে জানা গেছে বিশ্বব্রহ্মান্ডের সমস্ত বস্তুকণা থেকে গ্রহ নক্ষত্র পর্যন্ত সমস্ত কিছুর সৃষ্টি, রূপান্তর এবং কার্যকারণের মূলে রয়েছে চারটি বল বা শক্তির অসামান্য ও অপরিহার্য ভূমিকা। সেগুলি হল মাধ্যাকর্ষণ বল, উইক ফোর্স বা দুর্বল বল, তড়িৎ চৌম্বক বল এবং স্ট্রংফোর্স বা প্রবল বল। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই চারটি বলই বিশ্বব্রহ্মান্ডের সবকিছুকে ধারণ করে আছে। এই চারটি বলের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেই বিজ্ঞানীরা ক্ষান্ত হননি।

এদের মধ্যে একটি সমন্বয় সূত্র আবিষ্কারের জন্য আইনস্টাইন থেকে শুরু করে পরবর্তীকালের বহু বিজ্ঞানী গবেষণায় লিপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের আরব্ধ কাজটি অর্থাৎ উক্ত চারটি বলের সমন্বয় সূত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করলেন অধ্যাপক সালাম। সৃষ্টিতত্ত্বে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব অসামান্য। এই শক্তি আছে বলেই চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে।

আরও পড়ুন: জনি ওয়েইসমুলার জীবনী

আরও পড়ুন: গোবর গোহ জীবনী

আরও পড়ুন: উইলিয়াম গিলবার্ট গ্রেস জীবনী

আরও পড়ুন: রণজিৎ সিং জীবনী

আরও পড়ুন: গোষ্ঠ পাল জীবনী

এই শক্তির প্রভাবেই পৃথিবীসহ সৌরমন্ডলের সকল গ্রহ উপগ্রহ তাদের নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। মাটিতে বোঁটা ছিঁড়ে গাছের ফল আকাশে উঠে না গিয়ে মাটিতে পড়ছে, সমুদ্রে সুনির্দিষ্ট নিয়মে জোয়ার – ভাটা হচ্ছে, মহাকাশের গ্রহনক্ষত্র, ধূমকেতু — সবই যে যার নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে কাজ করে চলেছে — এই সবকিছুর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন, সমস্ত কিছুর মূলেই রয়েছে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি।

এই মহাশক্তির অস্তিত্ব না থাকলে প্রকৃতির শৃঙ্খলার রাজ্যে কোন কিছুকেই আমরা সুশৃঙ্খল নিয়মের অধীন দেখতে পেতাম না। আপাত দৃষ্টিতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ক্ষমতার মধ্যে যতই চমৎকারিত্ব থাক না কেন, বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে চারটি বলের মধ্যে সবচেয়ে কম ক্ষমতার অধিকারী হল মাধ্যাকর্ষণ বল। তাঁরা বলেছেন, পারমাণবিক কণার বল আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

যাইহোক, তড়িৎ চৌম্বক বলের প্রমাণ আমরা দেখতে পাই বেতার তরঙ্গ এবং আলোক তরঙ্গ সৃষ্টির মধ্যে। তড়িৎ ক্ষেত্র ও চৌম্বক ক্ষেত্র যে পরস্পর বিছিন্ন নয়, তা প্রমাণ করে বিজ্ঞানী ম্যাকসওয়েল আমাদের দেখিয়েছেন, এই দুই ক্ষেত্রের মধ্যে হয়েছে অবিচ্ছেদ্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তড়িৎ চৌম্বক বল সৃষ্টির পেছনে রয়েছে বিদ্যুৎ এবং তড়িৎশক্তির পারস্পরিক প্রতিক্রিয়ার ফল। এই বলের শক্তি ও মাধ্যাকর্ষণ শক্তির চেয়ে অনেকগুণ বেশি।

মাধ্যাকর্ষণ বা তড়িৎ চৌম্বক বলের অস্তিত্ব বাইরে থেকে বোঝা যায়। কিন্তু স্ট্রং ফোর্স বা প্রবল বল যাকে বলা হয় তাকে বাইরে থেকেবোঝার উপায় নেই। কেন না এই বল থাকে পরমাণুর অভ্যন্তরস্থ নিউক্লিয়াসের মধ্যে। নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে প্রোটন এবং ইলেকট্রন। প্রোটন হল পজিটিভ বিদ্যুৎ আধান। প্রতিটি প্রোটনকে ঘিরেই থাকে একটি তড়িৎ চৌম্বক বল। সব অণুর নিউক্লিয়াসেই থাকে একাধিক প্রোটন। ব্যাতিক্রম কেবল হাইড্রোজেন অণু।

যাইহোক, প্রোটনগুলি প্রতিটিই বৈদ্যুতিক গুণাগুণের বিচারে সমধর্মী। ফলে পরস্পরের মধ্যে বিকর্ষণ ঘটিত কারণে নিউক্লিয়াস থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসবারই কথা এবং সেক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসে একটি প্রোটনেরই থাকবার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, প্রোটন কণা গুলি ফলে জোটবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এই থেকেই বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন, তড়িৎ চৌম্বক বলের চেয়ে প্রোটনকণার পারস্পরিক আকর্ষণ বলের মাত্রা হাজার গুণ বেশি। এই বলই হল স্ট্রংফোর্স বা প্রবল বল।

নিউক্লিয়াসের মধ্যে পারস্পরিকপ্রচন্ড আকর্ষণের দুর্বল বল যাকে বলা হয়, তার ভূমিকা উপরিউক্ত তিনটি বলের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন রকমের। এই বলের প্রতিক্রিয়ায় মৌলকণার শক্তি কিছু মাত্রায় ক্ষরিত হয়ে যায় এবং ফলে স্থায়ী বা স্থিতিশীল মৌলকণায় রূপান্তরিত হয়। আইনস্টাইন থেকে শুরু করে পরবর্তী সব মৌলকণা পদার্থ বিজ্ঞানীই চারটি বলকে গন্ডিনির্দিষ্ট করতে চেষ্টা করেছেন। অর্থাৎ পরস্পরের মধ্যে একটা সমন্বয় ঘটাবার চেষ্টা করে চলেছেন।

তারা চাইছেন এমন একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে, যার দ্বারা বলা যায় চারটি বলকে পৃথক বলে মনে হলেও তারা একই সত্তার বহুমুখী প্রকাশ মাত্র। এই তত্ত্বটিরই নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন একীকৃত ক্ষেত্রতত্ত্ব। বিজ্ঞানী সালাম তড়িৎ চৌম্বক বল এবং দুবল বলের মধ্যে একটা সমন্বয় আনতে সক্ষম হয়েছেন। এটাই তাঁর পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্ব।

আবদুস সালামের পুরস্কার ও সম্মান: Abdus Salam’s Awards And Honors

১৯৬৩ খ্রিঃ অধ্যাপক সালাম এবং ভিলবার্গের গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্ত এই যে, তড়িৎ চৌম্বক এবং দুর্বল বলের প্রতিক্রিয়া একই বলসূত্রের দুটি ভিন্ন দিক। অধ্যাপক সালাম এবং ভিলবার্গ নিরস্ত হননি। চারটি বলের মধ্যে সমন্বয় ঘটাবার সাধনায় তাঁরা এখনো নিরলস সাধনায় মগ্ন হয়ে আছেন। একীকৃত ক্ষেত্র – তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই দুই বিজ্ঞানীর সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ রয়াল সুইডিশ আকাদেমি ১৯৭১ খ্রিঃ দুই বিজ্ঞানীকে নোবেল পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেছেন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দারিদ্র্য দুঃখ ক্ষুধাপ্রপীড়িত মানুষের কাছে পাকভারত উপমহাদেশের বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আবদুস সালাম বিজ্ঞান সাধনার ক্ষেত্রে এক প্রদীপ্ত আদর্শ স্বরূপ।

আরও পড়ুন: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ জীবনী

আরও পড়ুন: খান আবদুল গফফর খান জীবনী

আরও পড়ুন: ক্ষুদিরাম বসু জীবনী

আরও পড়ুন: অরবিন্দ ঘোষ জীবনী

আরও পড়ুন: বিনয় – বাদল – দীনেশ জীবনী

আবদুস সালামের মৃত্যু: Abdus Salam’s Death

১৯৯৬ খ্রিঃ ২১ শে নভেম্বর বিজ্ঞানী আবদুস সালাম পরলোক গমন করেন।

Leave a Reply