হারম্যান গ্রাসম্যান জীবনী: Bengaliportal.com আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে Hermann Grassmann Biography in Bengali. আপনারা যারা হারম্যান গ্রাসম্যান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হারম্যান গ্রাসম্যান এর জীবনী টি পড়ুন ও জ্ঞানভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।
- হারম্যান গ্রাসম্যান কে ছিলেন? Who is Hermann Grassmann?
- হারম্যান গ্রাসম্যান জীবনী – Hermann Grassmann Biography in Bengali
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর জন্ম: Hermann Grassmann’s Birthday
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Hermann Grassmann’s Parents And Birth Place
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর শিক্ষাজীবন: Hermann Grassmann’s Educational Life
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর কর্ম জীবন: Hermann Grassmann’s Work Life
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর রচনা: Written by Hermann Grassmann
- হারম্যান গ্রাসম্যান এর মৃত্যু: Hermann Grassmann’s Death
হারম্যান গ্রাসম্যান কে ছিলেন? Who is Hermann Grassmann?
হারম্যান গুন্থার গ্রাসম্যান (15 এপ্রিল 1809 – 26 সেপ্টেম্বর 1877) একজন জার্মান পলিম্যাথ ছিলেন, যিনি তার দিনে একজন ভাষাবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বর্তমানে একজন তত্ত্ববিদ হিসেবেও পরিচিত। তিনি একজন পদার্থবিদ, সাধারণ পণ্ডিত এবং প্রকাশকও ছিলেন। ষাটের দশকে না হওয়া পর্যন্ত তাঁর গাণিতিক কাজ খুব কমই লক্ষ্য করা যায়।
হারম্যান গ্রাসম্যান জীবনী – Hermann Grassmann Biography in Bengali
নাম | হারম্যান গ্রাসম্যান |
জন্ম | 15 এপ্রিল 1809 |
পিতা | Justus Günter Grassmann |
মাতা | Johanne Luise Friederike Medenwald |
জন্মস্থান | স্টেটিন, পোমেরেনিয়া প্রদেশ, প্রুশিয়া রাজ্য (বর্তমান সিজেসিন, পোল্যান্ড) |
জাতীয়তা | জার্মান |
পেশা | ভাষাবিদ |
মৃত্যু | 26 সেপ্টেম্বর 1877 (বয়স 68) |
হারম্যান গ্রাসম্যান এর জন্ম: Hermann Grassmann’s Birthday
হারম্যান গ্রাসম্যান 15 এপ্রিল 1809 জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: জুসেপ্পে গারিবালদি জীবনী
আরও পড়ুন: লিওন ট্রটস্কি জীবনী
আরও পড়ুন: ভিকাজী রুস্তম কামা জীবনী
আরও পড়ুন: বাল গঙ্গাধর তিলক জীবনী
আরও পড়ুন: বিপিনচন্দ্র পাল জীবনী
আরও পড়ুন: রানী প্রথম এলিজাবেথ জীবনী
হারম্যান গ্রাসম্যান এর পিতামাতা ও জন্মস্থান: Hermann Grassmann’s Parents And Birth Place
প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ ও ভাষাতাত্ত্বিক পন্ডিত গুনথের গ্রাসমান ভারতবাসীর কাছে একটি বিশেষ প্রিয় নাম। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যের ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ভারতবাসীর মনে তিনি চিরশ্রদ্ধার আসন লাভ করেছেন। বহুমুখী প্রতিভাধর গ্রাসমান ১৮০৯ খ্রিঃ ১৫ ই এপ্রিল বালটিক সাগরের উপকূলে স্টেটিন নামের এক ছোট শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন গণিতবিদ। অধ্যাপক হিসেবেও খ্যাতিলাভ করেছিলেন তিনি।
হারম্যান গ্রাসম্যান এর শিক্ষাজীবন: Hermann Grassmann’s Educational Life
বাল্যবয়স থেকেই পিতার কাছে গণিতের শিক্ষা লাভ করেছিলেন গ্রাসমান। আগ্রহ জন্মেছিল গণিতশাস্ত্রের প্রতি। পিতার শিক্ষা ও তত্ত্বাবধানে অতি অল্পবয়সেই উচ্চতর গণিতে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন তিনি। বিদ্যালয়ের পড়া শেষ হলে গ্রাসমান ভর্তি হলেন বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে গণিতের তিনবছরের পাঠক্রম কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স মাত্র আঠারো বছর। গণিতের শিক্ষা শেষ হলে বাড়িতে বসেই তিনি বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা আরম্ভ করলেন।
হারম্যান গ্রাসম্যান এর কর্ম জীবন: Hermann Grassmann’s Work Life
মাত্র চার বছরের চেষ্টাতেই গ্রীক, লাতিন প্রভৃতি কয়েকটি প্রাচীন ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করলেন। এরপর প্রবেশ করলেন কর্মজীবনে। একটি বিদ্যালয়ে গ্রীক লাতিন ও গণিতের শিক্ষকের কাজ নিলেন। কিছু দিনের মধ্যেই তিনি কর্মস্থল পরিবর্তন করলেন। বার্লিনের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল স্কুলে যোগ দিলেন। কিন্তু এখানেও বেশিদিন কাজ করলেন না। বার্লিনের বিখ্যাত ওটো স্কুলে গণিতের অধ্যাপকের পদ নিয়ে পূর্বতন কর্মস্থল ছেড়ে এলেন। তাঁব জীবনের বেশিরভাগ সময় এখানেই ব্যয়িত হয়েছে। গ্রাসমান ছিলেন প্রচারবিমুখ নীরব বিজ্ঞান – সাধক।
ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট গণিতজ্ঞদের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। গণিত বিষয়ে তার যাবতীয় গবেষণা তিনি তাঁর জীবদ্দশায় প্রকাশ করেননি। মৃত্যুর পর গবেষণামূলক সমস্ত প্রবন্ধসংকলিত হয়ে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। তার গবেষণাগুলি পণ্ডিতমহলে সমাদৃত হয়। বিন্দু, রেখা ও তলের বিশ্লেষণে ক্যালকুলাস প্রয়োগের সূত্রপাত গ্রাসমানই করেছিলেন। বীজগণিতের ওপরেও তার অবদান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই তাকে আধুনিক বীজগণিতের প্রবর্তকরূপে স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন। গ্রাসমানের উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব এই যে তাঁর সমূহ গবেষণাকে ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে আবিষ্কৃত হয়েছে বিখ্যাত ভেক্টর বিশ্লেষণ।
ভাষাতত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন গ্রাসমান। ১৮৬৫ খ্রিঃ তিনি ভাষাতত্ত্ব সম্বন্ধে একটি সূত্র উদ্ভাবন করেছিলেন। এই সূত্রানুসারে অন্যান্য প্রাচীন ভাষার সঙ্গে সংস্কৃত ভাষারও উৎপত্তির বিজ্ঞানসম্মত কারণ ব্যাখ্যা করেছিলেন। ভাষাতত্ত্বে গ্রাসমানের সূত্রটি গ্রাসমান’স ল নামে বর্তমানেও প্রচলিত রয়েছে। যে কজন বিদেশী মনীষী ভারত সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবশতঃ ভারতীয় ভাষা ও ভারততত্ত্ব চর্চা করেছিলেন, গ্রাসমান তাঁদের অন্যতম।
আরও পড়ুন: জীবনানন্দ দাশ জীবনী
আরও পড়ুন: সুকান্ত ভট্টাচার্য জীবনী
আরও পড়ুন: হােমার জীবনী
আরও পড়ুন: গল্পের রাজা ঈশপ জীবনী
আরও পড়ুন: দান্তে আলিঘিয়েরি জীবনী
হারম্যান গ্রাসম্যান এর রচনা: Written by Hermann Grassmann
ভারতীয় প্রাচীন সাহিত্য বিশেষ করে বেদ বেদান্ত বিষয়ে গ্রাসমানের আগ্রহ ছিল সুগভীর, এবিষয়ে তিনি দীর্ঘকাল গবেষণা করেন। ঋগ্বেদের অনুবাদ প্রকাশ করে গ্রাসমান ভারতবাসী মাত্রেরই কৃতজ্ঞতাভাজন হয়েছেন। তাঁর জীবনের স্মরণীয় কীর্তি ঋগ্বেদের অভিধান রচনা। ‘ভেরটের বুখৎসুম ঋগ্বেদ’ নামাঙ্কিত গ্রন্থটি পণ্ডিতমহলে সুপরিচিত। একটি বস্তুকেন্দ্রিক, অপরটি সংস্কৃতি কেন্দ্রিক এই দুই বিপরীতমুখী বিজ্ঞানের আশ্চর্য সহাবস্থান গ্রাসমান ব্যক্তি – প্রতিভার স্মরণীয় বৈশিষ্ট্য। যে কজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্বের চেষ্টা ও আগ্রহে জার্মানীতে ভারততত্ত্ব চর্চা প্রসার লাভ করেছিল, গ্রাসমান নিঃসন্দেহে তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিশিষ্ট। ”
হারম্যান গ্রাসম্যান এর মৃত্যু: Hermann Grassmann’s Death
১৮৭৭ খ্রিঃ ১৬ ই সেপ্টেম্বর বিশিষ্ট গণিতজ্ঞ ও ভাষাতাত্ত্বিক পন্ডিত গুনথের গ্রাসমান পরলোকগমন করেন।